
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়া হ্নীলা উম্মে সালমা মহিলা মাদ্রাসা ও তালিমুল কোরআন মডেল মহিলা হেফজ খানার ছাত্রী বাড়ী থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে শিক্ষকের হাতে আয়েশা সিদ্দিকা অপহরণের ১০ দিনেও সন্ধান মিলেনি বলে জানিয়েছে তার পরিবার ।
আয়েশা নামে হ্নীলা উম্মে সালমা মহিলা মাদ্রাসা ও তালিমুল কোরআন মডেল মহিলা হেফজ খানার ছাত্রী গত ৯ ফেব্রুয়ারি ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসেন । ২দিন বাড়িতে থাকার পর পুনরায় আয়েশা সিদ্দিকা কে টমটম যোগে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য দরগা কবরস্থানের রাস্তায় পৌছালে পশ্চিম সিকদার পাড়ার মৃত নুর কামালের ছেলে ইব্রাহিম রুহান (৩০) সহ তাহার অপরাপর সহযোগিরা টমটম গাড়ি থামিয়ে আয়েশা সিদ্দীকাকে অপহরন করে নিয়ে যায়। অপহরণের ১০ দিন পার হয়ে গেলেও ভিক্টিম উদ্ধার না হওয়ায় দিশেহারা পিতা – মাতা, আত্মীয়-স্বজন , তাহার সহপাঠী সহ স্বজনেরা। তাকে উদ্ধারে সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বাড়ী থেকে মাদ্রাসা যাওয়ার হারিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন খোঁজাখুঁজির পরেও কোন সন্ধ্যার না পাওয়াইনি আয়েশা সিদ্দিকা কে। পরে ভিক্টিম আয়েশা সিদ্দিকার মা সাজেদা আক্তার মুন্নী বাদি হয়ে টেকনাফ মডেল থানা একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেছেন। যেখানে পশ্চিম সিকদার পাড়া মৃত নুর কামালের ছেলে ইব্রাহীম রুহান (৩০), মৃত নুর কামালের স্ত্রী আছমা খাতুন ( ৫০) ও ছেলে মোঃ শাহীন (২০) সহ বিবাদী করে ৩/৪ জন কে অজ্ঞাত রাখা হয়। মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহীম রুহান তালিমুল কোরআন মডেল মহিলা হেফজ খানার শিক্ষক ও পরিচালক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভিক্টিম আয়েশা সিদ্দীকাকে কোরআন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ১বছর পূর্বে হ্নীলা উম্মে সালমা মহিলা মাদ্রাসা ও তালিমুল কোরআন মডেল মহিলা হেফজ খানায় ভর্তি করা হয়েছিল। মাদ্রাসা দুই টি পাশাপাশি হওয়ায় প্রতিদিন সকাল ৮টা হতে দুপুর ১ টা পর্যন্ত উম্মে সালমা মহিলা মাদ্রাসা এবং ১টা হতে পরের দিন সকাল ৮ টা পর্যন্ত তালিমুল কোরআন মডেল মহিলা হেফজ খানায় পড়া শোনা করে আসছিলেন আয়েশা সিদ্দিকা ।

এ বিষয়ে বিদেশ থেকে ছাত্রীর অভিভাবক আবছার কামাল জানান, যেখানে শিক্ষকেরা ছাত্রী বা শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাখতে দেখা শোনা করবে সেখানে যদি শিক্ষকেরাই অপহরণ করেন তাহলে আমাদের ছেলে মেয়েদের কিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাব। আমি একজন রেমিটেন্স যুদ্বা হিসেবে অপহরণ কারির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে মাদ্রাটির পরিচালক এনামুল হক মন্জু কে মুঠোফোন বার বার চেষ্ট করলেও ( 01814275435) নাম্বারে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ ওসমান গণী জানান, ছাত্রী অপহরণের বিষয়ে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।