আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তের জেরে দুই গ্রুপের উত্তেজনা।

তিমির বনিক মৌলভীবাজার:

মৌলভীবাজার:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় কমিটি বিলুপ্তের জেরে ছাত্রলীগের দুইগ্রুপ পৌরশহরে অবস্থান নেয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে। এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পুলিশ ছাত্রলীগের উভয়পক্ষকে স্ববাস্থান থেকে সরিয়ে দেয়। তবে ছাত্রলীগের একাংশের অভিযোগ, মিছিলে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী আহতও হয়েছেন।

রোববার(২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বড়লেখা পৌরশহরে এই ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে ছাত্রলীগের দুইগ্রুপের নেতারা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন। থানা পুলিশ ও স্থানীয় এবং ছাত্রলীগ সূত্রের বরাতে জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমীরুল হোসেন চৌধুরী (আমীন) ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বড়লেখা উপজেলা, পৌর, কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। পাশাপাশি বিগত (২০ ফেব্রুয়ারি) এর মধ্যে জেলা ছাত্রলীগ বরাবরে পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্তও আহ্বান করা হয়। এদিকে কমিটি বিলুপ্তির প্রতিবাদে গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদের নেতৃত্বে বড়লেখা উপজেলা, পৌর, কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে পৌর শহরের উত্তর বাজারের ডাকবাংলো এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। অন্যদিকে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ছাত্রলীগের ‘মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি’ বিলুপ্ত করায় জেলা ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়ে বড়লেখা পৌরসভার সামনে থেকে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (বিলুপ্ত কমিটি) তাওহিদুল ইসলাম ফরহাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ আনন্দ মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের (বিলুপ্ত কমিটি) অপর পক্ষ পৌরশহরের ডাকবাংলো এলাকায় পাল্টা অবস্থান নেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ ও বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী ছাত্রলীগের দুইগ্রুপকে বুঝিয়ে সরে যেতে অনুরোধ করেন। তখন মিছিল শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে (তাওহিদুল ইসলাম ফরহাদের গ্রুপের) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি-বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। মিছিলে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আইনজীবী জিল্লুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আছকির আলী, সাবেক উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক সামছুল ইসলাম টুকু, বড়লেখা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান পারভেজ অংশ নেন। পরে মিছিল করতে না পেরে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কটুক্তির প্রতিবাদে পিসি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (বিলুপ্ত কমিটি) তাওহিদুল ইসলাম ফরহাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর। অপরদিকে বড়লেখা পৌরশহরের ডাকবাংলো এলাকায় বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের (বিলুপ্ত কমিটি) সভাপতি ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদের উপস্থাপনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ছালেহ আহমদ জুয়েল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বড়লেখা সদর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জালাল আহমদ, বড়লেখা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমদ, বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ময়নুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমন আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাকের আহমদ ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলী হোসেন, বড়লেখা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের (বিলুপ্ত কমিটি) সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম ফরহাদ রোববার রাত আটটায় মুঠোফোনে বলেন, ‘আজকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলের আয়োজন করেছিলাম। মূলত উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের ‘মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি’ বিলুপ্ত করায় জেলা ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়ে এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে কটূক্তির প্রতিবাদে আমরা মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করি। মিছিল চলাকালে পুলিশ আমাদের বাঁধা প্রদান করে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। এতে আমাদের কয়েকজনের হাত কেটে গেছে। কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’ পুলিশের বাঁধা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা (ছাত্রলীগের অপর গ্রুপ) অন্যপাশে লাটিসোটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছিল। পুলিশ আমাদের বাঁধা দিচ্ছে মিছিল না করার জন্য। আমার বাড়ির সামনেও পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে পুলিশ বাঁধা দেবে কেন? তারা যখন (ছাত্রলীগের অপর গ্রুপ) মিছিল করল তখন পুলিশ বাঁধা দিল না ? ঘুরেফিরে তারা ‘লাগাবাজার’ মিছিল দিল। পুলিশ তাদের বাঁধা দিল না। অথচ এই কমিটির মেয়াদ শেষ এবং বিবাহিত ও অছাত্র দিয়ে কমিটি চলছিল।’উপজেলা ছাত্রলীগের (বিলুপ্ত কমিটি) সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই কালো টাকার বিনিময়ে জেলা ছাত্রলীগ বড়লেখা উপজেলা, পৌর, কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেছে।

মূলত একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে জেলা ছাত্রলীগ সুসংগঠিত বড়লেখা ছাত্রলীগকে অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিলুপ্ত করেছে। এর প্রতিবাদে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। আজকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়-এমন কয়েকজন পৌরশহরে মিছিল দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে তারা মিছিলের আয়োজন করে। বিষয়টি শুনে আমরা পৌরশহরে অবস্থান নেই। মিছিলে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের বেশিরভাগই বখাটে। এমনকি মাদক কারবারিরাও ছিল। পরে পুলিশ আমাদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে। আমরা ডাকবাংলোর সামনে অবস্থান করেছি।’বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ শহরের পৃথক দু’টি স্থানে অবস্থান নিয়েছিল। এতে উভয়গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দুইগ্রুপ মুখোমুখি হলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারত। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় দুইগ্রুপকে সরিয়ে দিয়েছি। লাঠিচার্জের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ