আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাগেরহাটে তৈরি হচ্ছে কাঠের বাইসাইকেল, যাচ্ছে ইউরোপে

মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট

বাগেরহাটে বিভিন্ন কাঠ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাইসাইকেল। চাকা থেকে শুরু করে পুরো সাইকেল তৈরিতেই ব্যবহৃত হচ্ছে কাঠ। দেশের বাইরে ‘বেবি ব্যালেন্স বাইকার’ হিসেবে ব্যবহৃত যানটি এরই মধ্যে গ্রিসে ২০ হাজার পিস রপ্তানি করা হয়েছে।

নজরকাড়া কাঠের এই সাইকেলটি তৈরি করছে বাগেরহাট বিসিক শিল্প নগরীর ন্যাচরাল ফাইবার নামে প্রতিষ্ঠান। কাঠের সাইকেলের পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানে কাঠ দিয়ে হোটেল বেড, সান বেড, কুকুর-বিড়ালের খেলনাসহ পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ধরণের ফার্নিচার তৈরি করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ সালে। প্রথম দিকে নারকেলের ছোবড়া দিয়ে ম্যাট্রেস, কয়ার ফেল্ট, কোকা পিট, ডিসপোজেবল স্লিপারসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে। ওই পণ্যগুলো দেশ বিক্রির পাশাপাশি বিদেশে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। আর ২০২৩ সাল থেকে কাঠের সাইকেল এবং কাঠের বিভিন্ন পণ্য তৈরি শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানে।

সরেজমিন ফ্যাক্টরি গিয়ে দেখা গেছে, একের পর এক হাত ঘুরে কাঠ দিয়ে সাইকেলের চাকা, ফ্রেম এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে। কাঠ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রাংশ সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে বাইসাইকেল বা ‘বেবি ব্যালেন্স বাইকার’। সাইকেল তৈরিতে আকাশমনি, গামারী, মেহগনিসহ মূল্যবান বিভিন্ন গাছ ব্যবহার করা হচ্ছে।

যেভাবে তৈরি হয় কাঠের সাইকেল কারিগর আব্বাস আলী জানান, প্রথমে সাইকেলের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়। এরপর বিভিন্ন অংশ জুড়ে তৈরি করা হয় ‘বেবি ব্যালেন্স বাইকার’ নামে সাইকেল। একটি সাইকেল তৈরিতে সময় লাগে দুই দিন।

শরিফুল ইসলাম জানান, সাইকেল তৈরি করতে কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ১১টি যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়। এরপর কাঠের এসব যন্ত্রাংশ ফিটিংস করে পুনাঙ্গ সাইকেলে তৈরি করা হয়। তার পর রঙ করে সাইকেল দৃষ্টিনন্দন করা হয়।

ঘুরছে সংসারের চাকাও কারখানাটির শ্রমিক রেখা রাণী জানান, কারখানায় অনেক শ্রমিকের হাতের ছোয়ায় তৈরি হয় কাঠের সাইকেল। তাদের হাতে তৈরি সাইকেল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে এটা অনেক আনন্দের। একই সঙ্গে এই কাজ করে সংসারের হালও ধরতে পেরেছি।

তন্নি জানান, তারা শুধু কাঠের সাইকেল নয়, কাঠ দিয়ে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ফার্নিচার তৈরি করছে। তার মতো বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিকের এই কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে।

উদ্যোক্তার কথা কাঠের সাইকেলে তৈরির উদ্যোক্তা মোস্তাফিজ আহম্মেদ। তিনি জানান, ২০২৩ সালের প্রথম দিকে তারা ইউরোপের দেশ গ্রিস থেকে তিন লাখ বেবি ব্যালেন্স বাইকারের অর্ডার পান। এছাড়া কাঠের তৈরি হোটেল বেড, সান বেড, কুকুর-বিড়ালের খেলনাসহ পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ধরণের ফার্নিচারের অর্ডার রয়েছে। অর্ডার অনুযায়ী কাঠের এসব পণ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তার ফ্যাক্টরিতে তৈরি কাঠের বেবি ব্যালেন্স বাইকার এবং কুকুর-বিড়ালের খেলনার প্রথম চালান ২০২৩ সালের ডিসেম্বর রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার পিস বেবি ব্যালেন্স বাইকার গ্রিসে এবং কুকুর-বিড়ালের বেশ কিছু খেলনা বেলজিয়ামে রপ্তানি করা হয়েছে।

এটি পর্যায়ক্রমে কাঠের সাইকেল এবং বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে রপ্তানি করা হবে। সাইকেলের দ্বিতীয় চালান শিগগিরই রপ্তানি হবে। বেবি ব্যালেন্স বাইকারের পাশাপাশি বড়দের বাইকারেরও অর্ডার পাওয়া গেছে। বিদেশের বাজারে একটি বেবি ব্যালেন্স বাইকার সেট ১০০ থেকে ১৫০ ইউরোতে বিক্রি হয় বলে তিনি জানান।

উদ্যোক্তার শঙ্কা নিয়ে মোস্তাফিজ বলেন, ফার্নিচারে প্রণোদনা রয়েছে। কিন্তু সেই প্রণোদানা পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে শংঙ্কিত। সরকার প্রণোদনা শতকরা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে এখন সাত শতাংশ করেছে। এই প্রণোদনা পেতে ফার্নিচার অ্যাসোসিয়েশনের মেম্বর শিপ নিতে হয়। বাণিজ্য এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে এখন পর্যন্ত কোনো জবাব পাইনি।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প করপোরেশনের বাগেরহাটের উপ-ব্যবস্থাপক মো.জহিরুল ইসলাম বলেন, পরিবেশবান্ধব এসব কাঠের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। এই ধরণের উদ্যোক্তাদের বিসিকের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ এবং ঋণের পাশাপাশি নানা ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে সাউর্দান মেডিকেল কলেজে আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থাপন ৬১টি গবেষণাপত্র

দেশি-বিদেশি গবেষকদের অংশগ্রহণে সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক প্রথম দেশি ও আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক আয়োজিত ‘এসএমসিএইচ সামিট-২০২৫’-এ উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন।সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দিনব্যাপি চলে এবং এতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গবেষকগণ স্বাস্থ্য শিক্ষা, মেডিকেল কারিকুলাম, অ্যাক্রেডিটেশন, তথ্য ও প্রযুক্তি, মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, শিশুস্বাস্থ্য, লিভার, হৃদরোগ, চক্ষু, গণস্বাস্থ্য, বার্ধ্যক্যজনিত রোগ, অনুজীববিদ্যা, মৌলিক চিকিৎসা বিদ্যাসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ে প্রায় ৬১টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, আমেরিকা ও লন্ডন থেকে আগত চার আর্ন্তজাতিক গবেষক তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।

দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম এ ফয়েজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক বাংলাদেশ মেডিকেল এডুকেশন অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবির তালুকদার, অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস, অধ্যাপক ডা. খন্দকার এ কে আজাদ, খ্যাতনামা শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবিদ হোসেন মোল্লা, খ্যাতনামা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমীন, বাংলাদেশ মেডিকেল রির্সাস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান খ্যাতনামা গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত, অধ্যাপক ডা. অনুরুদ্দ ঘোষসহ বাংলাদেশের খ্যাতনামা চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ও ঢাকা হতে আগত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে সাউদার্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয়ে সাইন্টিফিক প্রজেক্ট ‘নেক্টট জেনারেশন ইনোভেটরস’ উপস্থাপন করেন।
গত ১৬ অক্টোবর সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘এসএমসিএইচ সামিট-২০২৫’এর কনফারেন্স লোগো মোড়ক উম্মোচন, থিম উপস্থাপনা ও ব্যানার উম্মোচনের মাধ্যমে অফিসিয়ালভাবে কার্যক্রম শুরু হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজকে আয়োজন সফলভাবে শেষ হলো।

এতে সাবির্ক সহযোগিতায় ছিলেন সাউর্দান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জয়ব্রত দাশ, অর্গানাইর্জিং সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মেহেরুন্নিছা খানম, সাউর্দান মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম, এমডি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএমডিসি সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও সাউর্দান মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ডা. খুরশীদ জামিল, অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভপতি অধ্যাপক ডা. ধনঞ্জয় মজুমদার, মেডিকেল এডুকেশন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. মিনহাজুল আলম, এছাড়াও বিভিন্ন কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ, পৃষ্ঠপোষকবৃন্দ, উপদেষ্টাবৃন্দ, সকল চিকিৎসক, শিক্ষক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠান আয়োজন করার ব্যাপারে সর্বত্র সহযোগিতা করেন।

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ