আজঃ বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

বাগেরহাটে তৈরি হচ্ছে কাঠের বাইসাইকেল, যাচ্ছে ইউরোপে

মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট

বাগেরহাটে বিভিন্ন কাঠ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাইসাইকেল। চাকা থেকে শুরু করে পুরো সাইকেল তৈরিতেই ব্যবহৃত হচ্ছে কাঠ। দেশের বাইরে ‘বেবি ব্যালেন্স বাইকার’ হিসেবে ব্যবহৃত যানটি এরই মধ্যে গ্রিসে ২০ হাজার পিস রপ্তানি করা হয়েছে।

নজরকাড়া কাঠের এই সাইকেলটি তৈরি করছে বাগেরহাট বিসিক শিল্প নগরীর ন্যাচরাল ফাইবার নামে প্রতিষ্ঠান। কাঠের সাইকেলের পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানে কাঠ দিয়ে হোটেল বেড, সান বেড, কুকুর-বিড়ালের খেলনাসহ পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ধরণের ফার্নিচার তৈরি করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ সালে। প্রথম দিকে নারকেলের ছোবড়া দিয়ে ম্যাট্রেস, কয়ার ফেল্ট, কোকা পিট, ডিসপোজেবল স্লিপারসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে। ওই পণ্যগুলো দেশ বিক্রির পাশাপাশি বিদেশে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। আর ২০২৩ সাল থেকে কাঠের সাইকেল এবং কাঠের বিভিন্ন পণ্য তৈরি শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানে।

সরেজমিন ফ্যাক্টরি গিয়ে দেখা গেছে, একের পর এক হাত ঘুরে কাঠ দিয়ে সাইকেলের চাকা, ফ্রেম এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে। কাঠ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রাংশ সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে বাইসাইকেল বা ‘বেবি ব্যালেন্স বাইকার’। সাইকেল তৈরিতে আকাশমনি, গামারী, মেহগনিসহ মূল্যবান বিভিন্ন গাছ ব্যবহার করা হচ্ছে।

যেভাবে তৈরি হয় কাঠের সাইকেল কারিগর আব্বাস আলী জানান, প্রথমে সাইকেলের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়। এরপর বিভিন্ন অংশ জুড়ে তৈরি করা হয় ‘বেবি ব্যালেন্স বাইকার’ নামে সাইকেল। একটি সাইকেল তৈরিতে সময় লাগে দুই দিন।

শরিফুল ইসলাম জানান, সাইকেল তৈরি করতে কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ১১টি যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়। এরপর কাঠের এসব যন্ত্রাংশ ফিটিংস করে পুনাঙ্গ সাইকেলে তৈরি করা হয়। তার পর রঙ করে সাইকেল দৃষ্টিনন্দন করা হয়।

ঘুরছে সংসারের চাকাও কারখানাটির শ্রমিক রেখা রাণী জানান, কারখানায় অনেক শ্রমিকের হাতের ছোয়ায় তৈরি হয় কাঠের সাইকেল। তাদের হাতে তৈরি সাইকেল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে এটা অনেক আনন্দের। একই সঙ্গে এই কাজ করে সংসারের হালও ধরতে পেরেছি।

তন্নি জানান, তারা শুধু কাঠের সাইকেল নয়, কাঠ দিয়ে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ফার্নিচার তৈরি করছে। তার মতো বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিকের এই কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে।

উদ্যোক্তার কথা কাঠের সাইকেলে তৈরির উদ্যোক্তা মোস্তাফিজ আহম্মেদ। তিনি জানান, ২০২৩ সালের প্রথম দিকে তারা ইউরোপের দেশ গ্রিস থেকে তিন লাখ বেবি ব্যালেন্স বাইকারের অর্ডার পান। এছাড়া কাঠের তৈরি হোটেল বেড, সান বেড, কুকুর-বিড়ালের খেলনাসহ পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ধরণের ফার্নিচারের অর্ডার রয়েছে। অর্ডার অনুযায়ী কাঠের এসব পণ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তার ফ্যাক্টরিতে তৈরি কাঠের বেবি ব্যালেন্স বাইকার এবং কুকুর-বিড়ালের খেলনার প্রথম চালান ২০২৩ সালের ডিসেম্বর রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার পিস বেবি ব্যালেন্স বাইকার গ্রিসে এবং কুকুর-বিড়ালের বেশ কিছু খেলনা বেলজিয়ামে রপ্তানি করা হয়েছে।

এটি পর্যায়ক্রমে কাঠের সাইকেল এবং বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে রপ্তানি করা হবে। সাইকেলের দ্বিতীয় চালান শিগগিরই রপ্তানি হবে। বেবি ব্যালেন্স বাইকারের পাশাপাশি বড়দের বাইকারেরও অর্ডার পাওয়া গেছে। বিদেশের বাজারে একটি বেবি ব্যালেন্স বাইকার সেট ১০০ থেকে ১৫০ ইউরোতে বিক্রি হয় বলে তিনি জানান।

উদ্যোক্তার শঙ্কা নিয়ে মোস্তাফিজ বলেন, ফার্নিচারে প্রণোদনা রয়েছে। কিন্তু সেই প্রণোদানা পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে শংঙ্কিত। সরকার প্রণোদনা শতকরা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে এখন সাত শতাংশ করেছে। এই প্রণোদনা পেতে ফার্নিচার অ্যাসোসিয়েশনের মেম্বর শিপ নিতে হয়। বাণিজ্য এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে এখন পর্যন্ত কোনো জবাব পাইনি।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প করপোরেশনের বাগেরহাটের উপ-ব্যবস্থাপক মো.জহিরুল ইসলাম বলেন, পরিবেশবান্ধব এসব কাঠের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। এই ধরণের উদ্যোক্তাদের বিসিকের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ এবং ঋণের পাশাপাশি নানা ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

শেখ ফয়সালের স্বপ্ন ছোঁয়ার শুরু গোল্ডেন দিয়ে

নিয়মিত অধ্যয়ন, একাগ্রতা আর স্বপ্ন দেখার সাহস—এই তিনটি বিষয়কে পাথেয় করে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র শেখ ফয়সাল ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৪৬ পেয়ে ব্যতিক্রমী কৃতিত্ব অর্জন করেছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ সব বিষয়ে ফয়সাল A+ (অর্থাৎ ৮০-এর বেশি নম্বর) পেয়েছে। গণিতে তার নম্বর ৯৮, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৯, রসায়ন ও উচ্চতর গণিতে ১০০ করে—প্রতিটি বিষয়ের ফলাফলে নিখুঁত স্থিরতা দেখা গেছে।

ফয়সালের বাবা শেখ ফারিদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে কর্মরত। মা তোহমিনা আক্তার একজন গৃহিণী।পিতা শেখ ফারিদ বলেন, আমরা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছি। ফয়সালের সাফল্য আমাদের জন্য বিরাট আনন্দ।

মা তোহমিনা আক্তার বলেন, “ফয়সাল ছোটবেলা থেকেই বইপাগল। পড়াশোনার বাইরে সময় কাটে জ্ঞানের খোঁজে। ওর এই আগ্রহ আমাদের আশীর্বাদ মনে হয়।ফয়সালের স্বপ্ন একজন গবেষক বিজ্ঞানী হওয়া।আমি এমন কিছু উদ্ভাবন করতে চাই যা মানুষের জীবনকে সহজ করবে—বিশেষ করে পরিবেশ, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে,”—বলেছে ফয়সাল।

তার প্রিয় বিষয় পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত। সে বিজ্ঞানভিত্তিক ডকুমেন্টারি দেখে, অনলাইন কোর্স করে এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।অধ্যয়ন অভ্যাস ও সময় ব্যবস্থাপনা

ফয়সালের প্রতিদিনের রুটিন সময়মাফিক ও নিয়মানুবর্তী। দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা লেখাপড়ায় সময় দেয়, আর প্রতি সপ্তাহে একটি দিন শুধুই নিজের মানসিক চর্চা ও জ্ঞানভিত্তিক বইপড়ায় ব্যয় করে।

সে বলে, সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে বইয়ের ঘ্রাণ বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি বিষয়ে বুঝে পড়ি—মুখস্থের উপর নির্ভর করি না।কলেজিয়েট স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “ফয়সাল পরিশ্রমী ও শৃঙ্খলাপরায়ণ। ওর মতো ছাত্র একটা প্রতিষ্ঠানের গর্ব। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে সে দেশের সম্পদে পরিণত হবে।

ফয়সালের ইচ্ছা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ বা নটর ডেম কলেজে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু করা। এরপর তার লক্ষ্য বুয়েট বা আন্তর্জাতিক কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ও গবেষণা নিয়ে পড়াশোনা করা।আমি শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য কিছু করতে চাই,”—জানায় শেখ ফয়সাল।

কবি আল মাহমুদের সাহিত্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য করার দাবি জানিয়েছে বরিশালের লেখক সমাজ ।

সোনালী কাবিনের কবি, সমকালীন বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে জীবনানন্দের জনপদ বরিশালে। শেকড় সাহিত্য সংসদ আয়োজিত আল মাহমুদ জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বাংলা সাহিত্যে সমকালীন কবিদের প্রধান কবি হচ্ছেন আল মাহমুদ। তিনি এদেশের মানুষের বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে সাহিত্য রচনা করেছেন, তাঁর সাহিত্যকে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।

একই সাথে কবি আল মাহমুদের সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাংলা বিভাগে পাঠ্যভুক্ত করে পড়াতে হবে। কবি আল মাহমুদ এর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তারা বলেন- “গাঙের ঢেউয়ের মতো বলো কন্যা কবুল কবুল” ; “আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে / হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে।

-এমন অসংখ্য হৃদয়পঙক্তির উদগাতা সমসাময়িক বাংলা কবিতার রাজপুত্র কবি আল মাহমুদ।
মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ যিনি ‘আল মাহমুদ’ নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী সরকারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী সংবাদপত্র দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বাংলা কবিতার অনন্য কণ্ঠস্বর কবি আল মাহমুদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বাবা মীর আবদুর রব। মা রওশন আরা মীর।

স্ত্রী সৈয়দা নাদিরা বেগম। পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ের জনক তিনি। কবিতা লিখে পেয়েছেন মানুষের ভালোবাসা, প্রভূত খ্যাতি ও সম্মাননা।

আধুনিক কবিতায় লোকজ উপাদান ছড়িয়ে দেওয়া কবি আল মাহমুদ পঞ্চাশের দশকের কবিতার অন্যতম প্রধান পুরুষ। তিরিশের আধুনিক কবিরা যখন পাশ্চাত্যের প্রভাবে নাগরিক, নৈর্ব্যক্তিক ও খানিক নিরাশাবাদিতার দ্বারা প্রভাবিত আল মাহমুদ তখন দেশজাত, মানবিকতা, সাম্যবাদ ও এতে লগ্ন থাকার আকুতি জানিয়েছিলেন কবিতায়। বাংলার পাঠক সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। আজ সেই কবির ৮৯ তম জন্মদিন । সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে ১৯৫৪ সালে মাহমুদ ঢাকা আগমন করেন।

 

সমকালীন বাংলা সাপ্তাহিক পত্র/পত্রিকার মধ্যে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলা পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৫৫ সাল কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলা পত্রিকার চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সেখানে সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে তিনি ভারত গমন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। যুদ্ধের পরে দৈনিক গণকণ্ঠ নামক পত্রিকায় প্রতিষ্ঠা-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সম্পাদক থাকাকালীন সরকারের বিরুদ্ধে লেখার কারণে এক বছরের জন্য কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়।
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গল্প লেখার দিকে মনোযোগী হন। ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোটগল্প গ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি পরিচালক হন। পরিচালক পদ থেকে ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান না ফেরার দেশে। শারীরিকভাবে তিনি নেই কিন্তু বাংলা সাহিত্যে কবি আল মাহমুদের অবস্থান চিরস্থায়ী। কবিতায় আল মাহমুদ এমন এক স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেন- যা কালের সাক্ষী । শুধু কবিতা নয়, সমকালীন গল্প-গদ্যের অসাধারণ রূপকার আল মাহমুদ।
বরিশালের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শেকড় সাহিত্য সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে কবি আল মাহমুদ ও তার সাহিত্যকে চরম অবহেলা করা হয়েছে। কবির মৃত্যুর পর বাংলা একাডেমিতে তাঁর জানাজা পর্যন্ত পড়তে দেয়া হয়নি। যারা এ কাজ করেছে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সম্প্রতি বরিশাল সদর রোডে দৈনিক বাংলাদেশ বাণী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শেকড় সাহিত্য সংসদের সহসভাপতি কবি আল হাফিজ। প্রধান অতিথি ছিলেন নব্বই দশকের খ্যাতিমান কবি নয়ন আহমেদ। মূখ্য আলোচক ছিলেন অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কবি মাহবুবুল হক।

কবি আল মাহমুদের বর্ণাঢ্য কর্মময় ও সাহিত্য জীবন নিয়ে আলোচনা করেন শেকড় সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক কবি ও গবেষক পথিক মোস্তফা, বরিশাল সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক ও দৈনিক বাংলাদেশ বাণী সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দীন, কবি খৈয়াম আজাদ, গবেষক ও কলামিস্ট মাহমুদ ইউসুফ, কবি সজীব তাওহীদ, কবি আহমেদ বেলাল, কবি সাইফুল্লাহ সাঈফ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি মৃম্ময় হাসান।

 

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ