
চট্টগ্রাম নগরীতে কলেজ ছাত্র জয়দ্বীপ দাশ হত্যার আসামি শহিদুল ইসলাম শাহিন ওরফে সাজ্জাদ ৩ দিনের রিমান্ডে।
কক্সবাজারের বাসিন্দা কক্সবাজার সদর দক্ষিণ খুরুস্কুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা জয়শ্রী পালের একমাত্র পুত্র সন্তান মিরসরাই কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র জয়দ্বীপ দাশকে ২০২১ সালে বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে কক্সবাজার থেকে বাসযোগে চট্টগ্রামের পটিয়া নিয়ে আসে আসামি শহিদুল ইসলাম শাহিন ওরফে সাজ্জাদ ও অনিরুদ্ধ বড়ুয়া উশান পিতা অরুপ বড়ুয়া তপু বঙ্গবন্ধু সড়ক সদর কক্সবাজার,

আসামীদ্বয় পরস্পর যোগসাজশে নিহত জয়দ্বীপকে গভীর রাতে মোটর বাইকের মাঝখানে বসিয়ে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে আসে, তারা মোটরবাইকে শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে গুরাগুরি করে রাত সাড়ে তিনটা নাগাদ বাইক দুর্ঘটনার গল্প সাজিয়ে সিএনজি টেক্সিযোগে নিহত জয়দ্বীপের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেল ড্রাইভকরা ১ নং আসামি শহিদুল ইসলাম শাহিন ওরফে সাজ্জাদ ও পেছনের সিটে বসা ২ নং আসামি উশান বড়ুয়া এবং তাদের চালিত মোটরসাইকেল সম্পুর্ন অক্ষত থাকলেও মাঝখানে বসা জয়দ্বীপ দাশ মৃত।

রহস্যজনক এ মৃত্যু নিয়ে জনমনে বিভিন্ন মন্তব্যের জন্ম দেয়, নিহত জয়দ্বীপের মা জানান, আসামী দ্বয় তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে,
পরবর্তীতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় এবিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা, মামলার তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে,
গত ১১ ফেব্রুয়ারী নগরীর নতুন ব্রীজ
এলাকা থেকে পিবিআইর হাতে গ্রেফতার হন ১ নং আসামি শহিদুল ইসলাম শাহিন ওরফে সাজ্জাদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজি এনায়েত কবির আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।