আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন

ডেস্ক নিউজ:

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৭ই মার্চ উদযাপিত হয়েছে। এ দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচি শুরু হয় ৭ই মার্চ বৃহস্পতিবার কাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, সিভিল সার্জন কার্যালয়, রেলওয়ে পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, আরআরএফ, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, আনসার-ভিডিপি, জেলা শিক্ষা অফিস, জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিস, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, খাদ্য বিভাগ, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা শিশু একাডেমি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, সাধারণ বীমা, বন বিভাগসহ, জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, সর্বস্তরের জনসাধারণ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পুুষ্পস্তবক অর্পণের পর জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ৭ই মার্চ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম, মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, রেঞ্জ ডিআইজি নুরেআলম মিনা, পুলিশ সুপার এস. এম শফিউল্লাহ্, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধা মোজাফ্ফর আহমেদ জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধা এ. কে. এম সরোয়ার কামাল। এতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছড়াপাঠ, ৭ মার্চের ভাষণ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে একই স্থানে বিকাল ৩টা থেকে জেলা তথ্য অফিস ও পিআইডি কর্তৃক আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের তত্তাবধানে ডিসি হিল, সি আর বি, টাইগারপাস মোড় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, জীবন ও কর্মের উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, ৭ই মার্চের ভাষনে আছে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ এখানে মুক্তি কথাটির নানা অর্থ রয়েছে। এর একটি অর্থ হল অর্থনৈতিক মুক্তি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি আজ সারা বিশ্বের একজন নেতাতে পরিণত হয়েছে। তাঁর ভাষণে মানুষ মন্ত্রমুগ্ধের মত হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এশিয়া মহাদেশে অনেক নেতা রয়েছে কিন্তু দেশের স্বাধীনতাকে জনগণের হাতে তুলে দিতে পারার মত নেতা একজনই আছে। স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে এ ভাষণে গুরুত্ব অপরিসীম । তাই ইউনেস্কো এ ভাষণকে ঐতিহ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ ভাষণের অর্থ হচ্ছে কোন ধরনের অন্যায়, অপশক্তি, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কাছে মাথা নত না করা। যখনই দেশের কোন দুর্যোগ আসবে বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের মাধ্যমে আমাদের মনশক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের ভাষণে দেশের মুক্তিকামী মানুষ আন্দোলনের শক্তি, উৎসাহ খুজে পায় যা পরবর্তীতে দেশের আপামর জনগনকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি নুরেআলম মিনা তার সুদীর্ঘ বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি আলোকপাত করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করা পর্যন্ত বাঙালির গৌরবের ইতিহাস তুলে ধরেন। পাকিস্তানি শাসনামলের বঞ্চনার ইতিহাস কিভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উজ্জীবিত বাঙালি বিজয়ের ইতিহাসে রূপান্তর করে তা তার বক্তৃতায় উঠে আসে।
সভাপতির বক্তব্যে ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এখানে মুক্তি বলতে তিনি বুঝিয়েছিলেন ‘ফ্রিডম ফ্রম প্রোভার্টি, ‘ফ্রিডম ফ্রম হাংগ্রি’। জাতির জনকের সেই স্বপ্ন পূরণে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। স্বাধীনতার নেপথ্যের সকল তথ্য এক এক করে তুলে ধরার জন্য অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণায় ৭ই মার্চের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আলোকিত হয়ে দেশকে ভালোবাসার জন্য আহবান জানান।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ রাজনীতির কবি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর কাব্যমালার অনন্য নিদর্শন। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এই ভাষণ যুগে যুগে সকল অবহেলিত, বঞ্চিত ও স্বদীনতাকামী জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো এই ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল (মেমোরী অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিষ্টার-এ অর্ন্তভূক্তিকরণ) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এই ভাষণের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ প্রদত্ত ভাষণের দিনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কিডনি চিকিৎসা সহজলভ্য করতে হবে:চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, অথচ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। চিকিৎসার ব্যয়ভার অধিকাংশ মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই কিডনি চিকিৎসা সহজলভ্য করতে হলে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, কিডনি রোগের চিকিৎসায় অন্যতম প্রধান উপায় হলো ডায়ালাইসিস। কিন্তু চট্টগ্রামের মতো বড় শহরেও ডায়ালাইসিস সেন্টারের সংখ্যা সীমিত। এতে রোগীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় এবং অনেকে সময়মতো চিকিৎসা পান না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চায়, তাই আমরা চাই নগরীতে ডায়ালাইসিস সেন্টারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হোক। তিনি আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে কম খরচে বা বিনামূল্যে ডায়ালাইসিস সেবা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও এ বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

কিডনি রোগের অন্যতম কারণ সম্পর্কে সচেতনতার অভাবের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, শুরুতে এই রোগ ধরা না পড়লে পরবর্তীতে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তাই কিডনি রোগের বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও সামাজিক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষকে কিডনি রোগের ঝুঁকি সম্পর্কে জানাতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত পানি পান করার গুরুত্ব বোঝাতে হবে। শুধু চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নই যথেষ্ট নয়, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, শুধু কিডনি রোগ নয়, অন্যান্য জটিল রোগের চিকিৎসা সহজলভ্য করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চট্টগ্রামে একটি অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে কিডনি রোগীদের জন্য বিশেষ সেবা নিশ্চিত করা হবে।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কিডনী রোগ বিভাগ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনী দিবস ‘২০২৫ পালিত হয়েছে। এবারের কিডনী দিবসের প্রতিপাদ্য ’আপনার কিডনী কি সুস্থ? দ্রুত শনাক্ত করুন, কিডনী স্বাস্থ্য সুরক্ষা করুন।’
বিশ্ব কিডনী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীদের প্রাথমিক কিডনী রোগ সনাক্তকরন বিষয়ক সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচী আগামী ১২ থেকে ১৭ এপ্রিল নেফ্রোলজি বিভাগে আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়াও কিডনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বৈজ্ঞানিক সেমিনার, আলোচনা সভা, রেলি, হাসপাতালে আগত রোগী ও স্বজনদের মাঝে সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনের নিচতলায় কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। কিডনী রোগ বিভাগ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা মো নুরুল হুদার সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ ওমর ফারুক ইউসুফ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও কিডনী রোগ বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ইমরান বিন ইউনুস, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের

পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন ,চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ আব্দুর রব, চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা এম এ কাসেম, অধ্যাপক ডাঃ এ এম এম এহতেশামুল হক, ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ কাজী মোঃ মনোয়ারুল করিম বাবর। আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাঃ মোঃ ফয়েজুর রহমান।

সেমিনারে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন ডা রোসান্না বিনতে কামাল। কিডনী রোগ বিভাগের বিগত বছরের কার্যক্রমগুলো তুলে ধরা ও পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা মেরিনা আরজুমান্দ।
সভাশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মাহতাবুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নেফ্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শফিউল হায়দার রুশনী ও ডাঃ রফিকুল হাসান। নেফ্রোলজি বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ইমরান বিন ইউনুস চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হওয়ায় নেফ্রোলজি বিভাগের পক্ষ থেকে উনাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

সেমিনারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত সকল শিক্ষক ও চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার শেষে রোগী ও সাধারণ জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন। শোভাযাত্রা নতুন একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে গোলচত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পুরো অনুষ্ঠানে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করেন ডাঃ মোহাম্মদ আবদুল কাদের, ডাঃ জাহেদ উদ্দিন। উল্লেখ্য প্রতি বছর বিশ্বব্যাপি কিডনী রোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনী দিবস পালিত হয়ে থাকে।

চট্টগ্রামে নোংরা পরিবেশে মিষ্টান্ন তৈরি, জরিমানা গুনল দোকানদার

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার নগরীর রিয়াজ উদ্দিন বাজারের তিন পুল এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান কালে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টান্ন দ্রব্য তৈরি ও বিক্রি করার অপরাধে মক্কা সুইটসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ