
“আসুন স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখাই, স্বপ্নকে ছড়িয়ে দেই” এই স্লোগানে ফুলের হাসি ফাউন্ডেশনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কার্যকরী কমিটির অভিষেক উপলক্ষে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে আয়োজন করা হয় ‘ইচ্ছে পূরণ’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গুণীজন সম্মাননা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জাতীয় সংগীত শেষে মহান ভাষা শহীদ, ১৯৭১ এর স্বাধীনতা ও ২৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে অপরাজেয় বাংলাদেশের ইনচার্জ জিনাত আরা বেগমের তত্ত্বাবধানে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত শিল্পী জাহিদ অন্তুর পরিবেশনায় মুখর হয়ে উঠে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি হল।
ফুলের হাসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও বাচিক শিল্পী আশিক আরেফিন এবং সংগঠক তসলিম হাসান হৃদয়ের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, জীবন্ত কিংবদন্তী রবি চৌধুরী।
এতে প্রধান আলোচক ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম- ২ কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মো: শওকত হোসেন (পিপিএম), ফুলের হাসি ফাউন্ডেশন উপদেষ্টা লায়ন নবাব হোসেন মুন্না এমজেএফ, উপদেষ্টা আবু তাহের চৌধুরী, লেখক নেছার আহমেদ খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আবদুল নুর, ক্যাপ্টেন মুসলিম ফারুক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কারু কৃষান সহ অনেকেই।
৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ড.মোহাম্মদ সানাউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান হৃদয় মনোনীত হন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী রবি চৌধুরী বলেন, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ফুলের হাসি ফাউন্ডেশনের পথচলার ৪ বছরে তারা মানবিক কার্যক্রমের সাথে তিনি নিজেও জড়িত, সেই সাথে ফুলের হাসি ফাউন্ডেশনের প্রতি শুভকামনা ও নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানান।
বেওয়ারিশ সেবা
ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন বলেন, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে এই উদ্যোগ অসাধারণ। আশা করি ফুলের হাসি ফাউন্ডেশন সব সময় মানবিক কার্যক্রম এভাবেই চালিয়ে যাবেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. সানাউল্লাহ বলেন, আমি নতুন কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পাশাপাশি, আশা করি সমাজের বিত্তবানরাও গরীব, অসহায়দের সাহায্য এগিয়ে আসবেন।
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা শেষে সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে এমন ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ফুলের হাসি সম্মাননা দেওয়া হয়।