আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে সম্মেলনের মাধ্যমে নবযাত্রা শুরু হলো এম. এ. লতিফ এমপি’র স্মার্ট জেনারেশন সোসাইটির

ডেস্ক নিউজ:

চট্টগ্রামে সম্মেলনের মাধ্যমে নবযাত্রা শুরু হলো এম. এ. লতিফ এমপি’র স্মার্ট জেনারেশন সোসাইটির
ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার বিকল্প নেই-অর্থ প্রতিমন্ত্রী
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টির বিকল্প নেইঃ এম. এ. লতিফ এমপি

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ভিশন ২০৪১ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমাজের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সকল সেবা পৌঁছে দিতে শিক্ষিত তরুণ, যুবক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এম. এ. লতিফ এমপি এর উদ্যোগে যাত্রা শুরু হয়েছে “স্মার্ট জেনারেশন সোসাইটি”। ৯ মার্চ বিকেলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে নবগঠিত স্মার্ট জেনারেশন সোসাইটির সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ¯^প্নদ্রষ্টা, প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসন থেকে চারবার নির্বাচিত ও জনপ্রিয় সংসদ সদস্য এম. এ. লতিফ। ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকের আহমদ খোকন’র সঞ্চালনায় উক্ত সম্মলনে প্রধান অতিথি অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি ও বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এর শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, কাউন্সিলরবৃন্দ গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, জওহর লাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ, ৩৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন কবি, ৪১ নং ওয়ার্ড এর নুরুল আলম, চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদ, ¯^াধীনতা নারী শক্তি’র পরিচালকবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

প্রধান অতিথি ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেন-স্মার্ট বাংলাদেশের ¯^প্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করায় আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। দেশের ইতিহাসে নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সততা ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। একই সাথে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করে যাব। তিনি আরো বলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন বলেই মন্ত্রী সভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রামের কৃতি সন্তানদের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে ¯^প্ন সারথী হিসেবে কাজ করে যাব আমরা। একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে আগামীর তারুণ্যে শক্তিকে আরো উজ্জীবিত করতে এম. এ. লতিফ এমপি যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা দেশের সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জন্য অনুস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সিটি মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন-বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে টানেল, বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর, এলিভেটেড এ·প্রেসওয়েসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এর সুফল পেতে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এজন্য স্মার্ট জেনারেশন তৈরি করতে হবে। যারা হবে প্রযুক্তিতে পারদর্শী মেধাবী গোষ্ঠি। যারাই আগামীর উন্নত বাংলাদেশের কারিগর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সিটিজেন গড়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন সংসদ সদস্য এম. এ. লতিফ তা অনুসরণযোগ্য। সকলে যদি এভাবে এগিয়ে আসে তাহলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট ও ¯^নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

সভাপতির বক্তব্যে এম. এ. লতিফ এম.পি. বলেন-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্ব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আমরা এখন নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হচ্ছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে কল-কারখানায় ব্যবহার করা হচ্ছে রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি। তাই প্রযুক্তির এই লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আধুনিক, দ¶, প্রশি¶িত প্রজন্ম গড়ে তোলা প্রয়োজন। তিনি বলেন-বঙ্গবন্ধু কন্যার এবারের নির্বাচনে ইশতেহারে ছিল স্মার্ট বাংলাদেশ। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেনের কোন বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে হাতিয়ার হবে স্মার্ট জেনারেশন সোসাইটি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাউজানে সরকারি রাস্তার ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি স্থানীয়দের

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম গুজরা এলাকায় সরকারি রাস্তার ওপর অনুমোদনবিহীন নকশায় বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, জাল কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি রাস্তার ওপর ভবন নির্মাণ করে স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় জনসাধারণ ভবনটি ভেঙে রাস্তা উন্মুক্ত করার জোর দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাফর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাউজানের নোয়াপাড়া পশ্চিম গুজরার আহমদুর রহমানের বাড়ির আলাউদ্দিনের পুত্র নুরুল ইসলাম ও তার পুত্ররা— মো. জাহেদুল ইসলাম, মো. শাহেদুল ইসলাম, নিজামুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম— যৌথভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি রাস্তা বন্দোবস্তে নিয়ে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করে আসছেন।

তবে সরকারি নথি অনুযায়ী, উক্ত জায়গাটি পশ্চিম গুজরা এলাকার মৃত আছদ আলীর পুত্র হাজী আকাম উদ্দিন বন্দোবস্ত মামলা মূলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বৈধভাবে বন্দোবস্তে নিয়েছিলেন। এটি মূলত সরকার ঘোষিত জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা হওয়ায় তিনি জীবদ্দশায় রাস্তা দখল না করে সাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রেখেছিলেন।

১৯৯৭ সালের ২ মার্চ আকাম উদ্দিন নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে জায়গাটির কোনো ওয়ারিশ না থাকায় তা স্থানীয় জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত সরকারি রাস্তা হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

অভিযোগ রয়েছে, দুই বছর আগে নুরুল ইসলাম নিজেকে মৃত আকাম উদ্দিনের পালকপুত্র দাবি করে উক্ত জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। স্থানীয়রা রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নির্মাণ বন্ধের অনুরোধ করলেও তিনি তা অগ্রাহ্য করে জোরপূর্বক দুই তলা ভবন নির্মাণ করেন এবং এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় মো. জাফর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (উত্তর), চট্টগ্রামে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৭ ধারায় মামলা (নং-৭২/২০২৫, রাউজান) দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী এস.এম. ছানাউল করিম তদন্ত পরিচালনা করে ২৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উক্ত তফসীলোক্ত জায়গাটি সত্যিই আকাম উদ্দিন বন্দোবস্তে নিয়েছিলেন, তবে নুরুল ইসলাম তার কোনো ওয়ারিশ নন। আর.এস. ও পি.এস. রেকর্ড অনুযায়ী জায়গাটি “রাস্তা” শ্রেণিভুক্ত সরকারি সম্পত্তি। সুতরাং ব্যক্তিগত মালিকানা দাবি করে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ আইনত অপরাধ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “তফসীলোক্ত জায়গাটি আর.এস. ও পি.এস. জরিপ অনুযায়ী সরকারিকৃত রাস্তা হিসেবে চিহ্নিত। উক্ত জায়গায় নির্মাণাধীন ভবন আইনগতভাবে অননুমোদিত, যা চলাচল ব্যাহত করছে। অতএব, বন্দোবস্ত বাতিল করে ভবন উচ্ছেদপূর্বক জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভবন নির্মাণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী, মসজিদ ও মাদরাসামুখী মুসল্লি এবং সাধারণ পথচারীরা বাধ্য হচ্ছেন বিকল্প পথে চলাচল করতে।

এ প্রসঙ্গে এলাকার সচেতন মহল বলছেন, “রাস্তাঘাটের ওপর ব্যক্তিগত দখল বন্ধ করতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। রাস্তা জনগণের সম্পদ— একে কেউ ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না।”

তারা আরও বলেন, “প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপে উক্ত রাস্তা দখলমুক্ত করে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সকলের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাস্তা যেন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে না থাকে, সে বিষয়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।”

সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, সরকারি রাস্তার ওপর কোনো স্থাপনা নির্মাণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন— দ্রুত তদন্ত সমাপ্ত করে ভবনটি উচ্ছেদ, রাস্তা দখলমুক্ত করা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

চলাচলের জন্য উন্মুক্ত সরকারি রাস্তা সকলের মৌলিক অধিকার— এই অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এখন প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করছে রাউজানবাসী।

বে টার্মিনাল চালু হলে আমদানি-রপ্তানি খাতে নতুন যুগের সূচনা হবে : চবক চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মুনিরুজ্জামান বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল প্রতীক্ষিত বে টার্মিনাল অপারেশনে যাবে। এই টার্মিনাল চালু হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও আমদানি-রপ্তানি খাতে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। সোমবার সকালে বন্দর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত “জেনারেল মার্কেট এনগেজমেন্ট কনফারেন্স ফর দ্য বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

রিয়ার অ্যাডমিরাল মুনিরুজ্জামান বলেন, বে টার্মিনাল শুধু চট্টগ্রাম নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। এটি চালু হলে দেশের রপ্তানি সক্ষমতা ও জাহাজ আগমনের সময় নাটকীয়ভাবে কমে আসবে। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও আসবে আমূল পরিবর্তন।

তিনি আরও বলেন, বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের নকশা ও প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওছার রশিদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ক্রমবর্ধমান চাপ কমাতে বে টার্মিনাল প্রকল্পটি সময়ের দাবি। চট্টগ্রাম বন্দরের সব স্টেকহোল্ডার চান, বে টার্মিনাল দ্রুত বাস্তবায়িত হোক। প্রকল্পের আওতায় সাগরে ব্রেকওয়াটার ও নেভিগেশন চ্যানেল নির্মাণের পাশাপাশি টার্মিনাল এলাকায় রেল ও সড়ক সংযোগ, কনটেইনার ইয়ার্ড, জেটি এবং আধুনিক সেবা অবকাঠামো তৈরি করা হবে।

প্রেজেন্টেশন প্রদর্শনীতে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে ‘বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটি নগরীর উত্তর হালিশহরের আনন্দবাজার এলাকায় গড়ে তোলা হবে।বন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, বে টার্মিনাল চালু হলে বছরে কমপক্ষে ৩০ লাখ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সম্ভব হবে, যা বর্তমান সক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন প্রকল্পের সম্ভাব্য দেশি ও বিদেশি ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরা, বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রকৌশলী ও পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা।সভায় বক্তারা বলেন, বে টার্মিনাল সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ আঞ্চলিক বাণিজ্যের অন্যতম লজিস্টিক হাব হিসেবে গড়ে উঠবে এবং চট্টগ্রাম বন্দরের শতবর্ষী ঐতিহ্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ