আজঃ শুক্রবার ২১ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলা:

ফটিকছড়িতে দুই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন।

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:

বিভিন্ন জল্পনা কল্পনা, উদ্বেগ উৎকন্ঠা পেরিয়ে সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় ফটিকছড়ির ২ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ হয়।
এই দুই টি ইউনিয়ন হল ২১ নং খিরাম ইউনিয়ন ও ১৪ নং নানুপুর ইউনিয়ন পরিষদ। নানুপুর ইউনিয়ন নিয়ে সবার দৃষ্টি ছিল নানুপুরের দিকে কারন এই ইউনিয়নে ছিল দুই জন দায়িত্ববান হেভি ওয়েট দুই রাজনীতিবীদ। একজন ফটিকছড়ির বর্তমান এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ও আরেকজন হল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পুরাতন রাজনীতিবীদ এটি এম পিয়ারুল ইসলাম। দুজনেরই ইউনিয়ন হল এই নানুপুর। তাই পুরো উপজেলার পোকাস ছিল এই ইউনিয়নের দিকে। আর শিল্পপতী হিসেবে এম পির চাচা নূরু নবী রোশনের রয়েছে আলাদা একটা ইমেজ আর অপরদিকে পরাজিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান  শফিউল আলম অপেক্ষাকৃত বয়সে অনেক ছোট এবং সম্পদের দিক দিয়ে রোশন থেকে পিছিয়ে হলও বিগত পাঁচ বছরে নানুপুর ইউনিয়নে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধন করেন। বর্তমানে নির্বাচন করতে হলে অর্থ সম্পদেরও আলাদা একটা কদর আছে। আর অপর দিকে অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে নির্বাচনে খেলেছেন  ২১ নং খিরামের বর্তমান প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন। তুলনা মূলক ছোট ইউনিয়ন হলেও প্রার্থী ছিলেন ৩ জন। ২ জন প্রার্থী একই এলাকার হওয়ায় অন্য প্রার্থী সোহরাব ছিলেন ভোটের অংকে এগিয়ে এবং সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি তার স্বপদ আবার ধরে রেখেছেন।
দু বিজয়ী প্রার্থীর মার্কা ছিল আনারস। রসিক মানুষ বলে বেড়াচ্ছে ২ ইউনিয়নের জনগণ মজেছে রসালো ফল আনারসে। আবার বলে বেড়াচ্ছে সৌভাগ্যের প্রতিক এখন আনারস। কারন, বিগত উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তৈয়ব আনারস নিয়ে জয় লাভ করেন, আবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে  এটি এম  পেয়ারুল ইসলামও আনারস প্রতিক নিয়ে জয়লাভ করেন।  উল্লেখ্য, নানুপুর আর খিরাম আগে এক ইউনিয়ন ছিল। দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর বিগত পাঁচ বছর আগে খিরামে প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়। সেই সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিক নিয়ে শহীদুল্লাহ্ নির্বাচন করেন। সেই নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত বয়সে অনেক ছোট টগবগে তরুণ সোহরাব তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়াই করে চমক দেখান। মাত্র ৩ ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী কে হারিয়ে খিরামের মসনদে বসেন। প্রথম ২ বছর খিরামে বিভিন্ন বিছিন্ন ঘটনা ঘটে এবং অনেকটা ইমেজ সংকটে পরে এই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সোহরাব। পরবর্তী ৩ বছর অনেকটা ঘুছিয়ে আনেন এবং বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে চমক দেখান। পরিস্থিতি মোটামুটি নিজের অনুকূলে নিয়ে আসেন এবং ভোটের মাঠ গোছাতে সক্ষম হয়। অপর পক্ষে দুই প্রার্থী একই ঘরনার হয়ে যাওয়ায় তাদের নির্বাচনী মাঠ কিছুটা কঠিন হয়। আজকে ৯ মার্চ এর নির্বাচনে সোহরাব আনারস প্রতিক নিয়ে ২৫৯৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত খিরামের অভিভাবক নির্বাচিত হন। অপর দিকে শিল্পপতি নরুনবী রৌশন ১৪ নং নানুপুর ইউনিয়ন হতে আনারস প্রতিক নিয়ে ৭১৫৩ ভোট পেয়ে নানুপুরের নতুন অভিভাবক নির্বাচিত হন। এই দুই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ হার্ডলাইনে। নির্বাচনী এলাকায় ২ একজনকে একজায়গায় দাঁড়াতে দেয়নি। পুলিশ, RAB, বিজিবি, ছিল কড়া নজরদারিতে। উপজেলা প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ তৎপর। দুই ইউনিয়নে ছিল ২ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ম্যাজিসট্রেট, মেবাইল কোর্ট সহ সকল নির্বাচনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা নির্বাচনী প্রধান কর্মকর্তা একটু সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস পেলেন এবং জনগণ কে ধন্যবাদ দেন।
এখন জনগণের জল্পনা কল্পনা রমজানের পরে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এখন হতে এই নিয়ে চলতেছে নানা নাটকীয়তা। শেষ মেস অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১১ মে পর্যন্ত।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৃদ্ধার মৃত্যুতে ঘর ভাগের দাবিতে দাফনে বাধা!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর আমুচিয়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টায়। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন সালমা খাতুন(৭৬) নামের বৃদ্ধা। বৃদ্ধার জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিলো বাবার বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ঘর ভাগের দাবি। শেষতক স্থানীয় এক যুবদল নেতা রোকন উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পূরণ করা হয় বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছে।
সালমা খাতুন বোয়ালখালী উপজেলার ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের খান বাহাদুরপাড়ার মরহুম চুন্নু মিয়া টেন্ডলের মেয়ে। তাঁর বিয়ে হয়েছিলো কধুরখীলে। তবে বেশিদিন ঠাঁই হয়নি স্বামীর সংসারে। একমাত্র কন্যা জাহানারা বেগমকে নিয়ে ৫০ বছর আগে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। অদৃষ্টের নিয়তিকে মেনে নিয়ে বাবার করে দেওয়া ঘরে মেয়েকে জীবন যাপন করেন। মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। সালমা খাতুনের দুই ভাই। বড় ভাই মারা গেছেন। ছোট ভাই ও দুই ভাইয়ের ছেলেদের সংসারেরও ঠাঁই হলো না তার।সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যান। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুমার মেয়ে জাহানারা বলেন, ‘মায়ের শেষ ইচ্ছে ছিলো আমার নানার বাড়িতে যেন দাফন করা হয়। নয়তো আমার শশুর বাড়িতেই দাফনের ব্যবস্থা করেছিলাম। তিনি জানান, ‘ইচ্ছে অনুসারে পৈতৃক বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। যোহরের নামাজের পর জানাজার সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে সালমার মরদেহ বাবার বাড়ির উঠোন অবধি পৌঁছালেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি সালমা খাতুনের সস্মৃতি বিজড়িত ঘরে। সেই ঘরটি দুইভাগে ভাগ না হলে দাফন করতে দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। ফুফু সালমা খাতুনের ঘরটি দুই ভাগের দাবি তুলে এই বাধ সাধে দুই ভাইয়ে ছেলেরা।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো.রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সালমা খাতুন সম্পর্কে আমারও ফুফু হন। তাঁর দুই ভাইয়ের সন্তানরা ঘরটি। ভাগ না করলে দাফন করতে বাধা দিচ্ছিল। এক প্রকার মারামারি করার উপক্রম। এ ঘটনায় উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে পড়েন। মো.রোকন জানান, ‘খবর পেয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। তারা মানছিলো না। পরে প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে জানালে তারা কিছুটা নিবৃত্ত হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বোয়ালখালীতে লবন কারখানায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর লবন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের মিলিটারি পুল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা এবং বিএসটিআই চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার জেরিন তাসনিম ও পরীক্ষক প্রিময় মজুমদার জয়ের, উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে নানা অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লবণ প্যাকেট করে একাধিক নামে লবণ বাজারজাত করছে কারখানাগুলো। অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই আইন এবং ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আহমেদ সল্ট রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রিজের

সুপারভাইজার দীপক তালুকদারকে ১ লাখ টাকা এবং করিম সল্ট ক্রসিং এন্ড রিফাইনারির সাইগর হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসহ ল্যাব স্থাপনসহ মান সম্পন্ন লবণ বাজারজাত করার জন্য নিদের্শ দেয়া হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ