আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

দু'দিনে প্রায় ১৫হাজার বই বিনিময় হয়েছে

বইবন্ধু বই বিনিময় উৎসব শেষ হলো

প্রেস রিলিজ

সারিবদ্ধভাবে ব্যুথে সাজানো রয়েছে বই। আর চারপাশে মানুষের আনাগোনা। অনেকেই অবাক হয়ে দেখছে কি হচ্ছে এখানে। বলছিলাম বইবন্ধু বই বিনিময় উৎসবের কথা। চট্টগ্রামে শেষ হলো দু’দিন ব্যাপী বইবন্ধু বই বিনিময় উৎসব। এবারের উৎসবে দু’দিনে প্রায় ১৫হাজার বই বিনিময় হয়েছে।

এবার বই বিনিময় উৎসবের যৌথ আয়োজনে রয়েছে JCI Dhaka Aspirants এবং সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন।

বইকে সহজলভ্য করে সবার হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে বইবন্ধু। গণ পরিবহন পাঠাগার, হাসপাতাল পাঠাগার, তৃতীয় লিঙ্গদের জন্য পাঠাগার, সেলুন পাঠাগার হিসেবে “নরসুন্দর পাঠাগার”, বীচ পাঠাগার, বইবন্ধু টু আওয়ার্স লাইব্রেরি, দুই টাকার বুক কাউন্টার, স্ব-শিক্ষার পাঠশালা, সীড ফর প্লাস্টিকসহ নানা কার্যক্রম নিয়ে আগাতে থাকে বইবন্ধু।

২০২১ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রবীন্দ্র সরোবরে বইবন্ধু প্রথমবার বই বিনিময় উৎসব করে। এতে ব্যাপক সাড়া জাগে বইপ্রেমী মহলে। একই বছরে চট্টগ্রাম পর্বও অনুষ্ঠিত হয় অক্টোবরে। এরপর আরও দু’বার ঢাকা-চট্টগ্রামে বই বিনিময় উৎসব আয়োজিত হয়। এবার তৃতীয়বারের মত বই বিনিময় উৎসব আয়োজিত হয়েছে চট্টগ্রামে। সবমিলিয়ে পঞ্চম বারের মত আয়োজিত হয়েছে এই উৎসব৷

এই উৎসবের উদ্বোধন করেন এডভোকেট এ,কে,এম দাউদুর রহমান মিনা, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন। দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, উপদেষ্টা বইবন্ধু এবং লোকাল ভাইস প্রেসিডেন্ট জেসিআই ঢাকা এসপিরেন্টস। এতে আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোটারীয়ান এবং শিক্ষাবিদ মুজিবুর রহমান, ব্যারিস্টার আবিদুর রহমান, সহ-সভাপতি জেসিআই ঢাকা এসপিরেন্টস, শিশু সংগঠক তরিকুল ইসলাম বিপু প্রমুখ।

বইপ্রেমীদের এই মিলনমেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে লেখক-পাঠকসহ নানা গুণীজনের সমাগম ছিলো। দু’দিন ব্যাপী এই কর্মযজ্ঞে পরিশ্রম করে গেছেন বইবন্ধুর শতাধিক সদস্য। উৎসবের দু’দিনে প্রায় ১৫হাজার বই বিনিময় হয়েছে।বইবন্ধু বই বিনিময় উৎসব শেষ হলো

সারিবদ্ধভাবে ব্যুথে সাজানো রয়েছে বই। আর চারপাশে মানুষের আনাগোনা। অনেকেই অবাক হয়ে দেখছে কি হচ্ছে এখানে। বলছিলাম বইবন্ধু বই বিনিময় উৎসবের কথা। চট্টগ্রামে শেষ হলো দু’দিন ব্যাপী বইবন্ধু বই বিনিময় উৎসব। এবারের উৎসবে দু’দিনে প্রায় ১৫হাজার বই বিনিময় হয়েছে।

এবার বই বিনিময় উৎসবের যৌথ আয়োজনে রয়েছে JCI Dhaka Aspirants এবং সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন।

বইকে সহজলভ্য করে সবার হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে বইবন্ধু। গণ পরিবহন পাঠাগার, হাসপাতাল পাঠাগার, তৃতীয় লিঙ্গদের জন্য পাঠাগার, সেলুন পাঠাগার হিসেবে “নরসুন্দর পাঠাগার”, বীচ পাঠাগার, বইবন্ধু টু আওয়ার্স লাইব্রেরি, দুই টাকার বুক কাউন্টার, স্ব-শিক্ষার পাঠশালা, সীড ফর প্লাস্টিকসহ নানা কার্যক্রম নিয়ে আগাতে থাকে বইবন্ধু।

২০২১ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রবীন্দ্র সরোবরে বইবন্ধু প্রথমবার বই বিনিময় উৎসব করে। এতে ব্যাপক সাড়া জাগে বইপ্রেমী মহলে। একই বছরে চট্টগ্রাম পর্বও অনুষ্ঠিত হয় অক্টোবরে। এরপর আরও দু’বার ঢাকা-চট্টগ্রামে বই বিনিময় উৎসব আয়োজিত হয়। এবার তৃতীয়বারের মত বই বিনিময় উৎসব আয়োজিত হয়েছে চট্টগ্রামে। সবমিলিয়ে পঞ্চম বারের মত আয়োজিত হয়েছে এই উৎসব৷

এই উৎসবের উদ্বোধন করেন এডভোকেট এ,কে,এম দাউদুর রহমান মিনা, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন। দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, উপদেষ্টা বইবন্ধু এবং লোকাল ভাইস প্রেসিডেন্ট জেসিআই ঢাকা এসপিরেন্টস। এতে আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোটারীয়ান এবং শিক্ষাবিদ মুজিবুর রহমান, ব্যারিস্টার আবিদুর রহমান, সহ-সভাপতি জেসিআই ঢাকা এসপিরেন্টস, শিশু সংগঠক তরিকুল ইসলাম বিপু প্রমুখ।

বইপ্রেমীদের এই মিলনমেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে লেখক-পাঠকসহ নানা গুণীজনের সমাগম ছিলো। দু’দিন ব্যাপী এই কর্মযজ্ঞে পরিশ্রম করে গেছেন বইবন্ধুর শতাধিক সদস্য। উৎসবের দু’দিনে প্রায় ১৫হাজার বই বিনিময় হয়েছে।বইবন্ধু বই বিনিময় উৎসব শেষ হলো

সারিবদ্ধভাবে ব্যুথে সাজানো রয়েছে বই। আর চারপাশে মানুষের আনাগোনা। অনেকেই অবাক হয়ে দেখছে কি হচ্ছে এখানে। বলছিলাম বইবন্ধু বই বিনিময় উৎসবের কথা। চট্টগ্রামে শেষ হলো দু’দিন ব্যাপী বইবন্ধু বই বিনিময় উৎসব। এবারের উৎসবে দু’দিনে প্রায় ১৫হাজার বই বিনিময় হয়েছে।

এবার বই বিনিময় উৎসবের যৌথ আয়োজনে রয়েছে JCI Dhaka Aspirants এবং সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন।

বইকে সহজলভ্য করে সবার হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে বইবন্ধু। গণ পরিবহন পাঠাগার, হাসপাতাল পাঠাগার, তৃতীয় লিঙ্গদের জন্য পাঠাগার, সেলুন পাঠাগার হিসেবে “নরসুন্দর পাঠাগার”, বীচ পাঠাগার, বইবন্ধু টু আওয়ার্স লাইব্রেরি, দুই টাকার বুক কাউন্টার, স্ব-শিক্ষার পাঠশালা, সীড ফর প্লাস্টিকসহ নানা কার্যক্রম নিয়ে আগাতে থাকে বইবন্ধু।

২০২১ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রবীন্দ্র সরোবরে বইবন্ধু প্রথমবার বই বিনিময় উৎসব করে। এতে ব্যাপক সাড়া জাগে বইপ্রেমী মহলে। একই বছরে চট্টগ্রাম পর্বও অনুষ্ঠিত হয় অক্টোবরে। এরপর আরও দু’বার ঢাকা-চট্টগ্রামে বই বিনিময় উৎসব আয়োজিত হয়। এবার তৃতীয়বারের মত বই বিনিময় উৎসব আয়োজিত হয়েছে চট্টগ্রামে। সবমিলিয়ে পঞ্চম বারের মত আয়োজিত হয়েছে এই উৎসব৷

এই উৎসবের উদ্বোধন করেন এডভোকেট এ,কে,এম দাউদুর রহমান মিনা, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন। দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, উপদেষ্টা বইবন্ধু এবং লোকাল ভাইস প্রেসিডেন্ট জেসিআই ঢাকা এসপিরেন্টস। এতে আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোটারীয়ান এবং শিক্ষাবিদ মুজিবুর রহমান, ব্যারিস্টার আবিদুর রহমান, সহ-সভাপতি জেসিআই ঢাকা এসপিরেন্টস, শিশু সংগঠক তরিকুল ইসলাম বিপু প্রমুখ।

বইপ্রেমীদের এই মিলনমেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে লেখক-পাঠকসহ নানা গুণীজনের সমাগম ছিলো। দু’দিন ব্যাপী এই কর্মযজ্ঞে পরিশ্রম করে গেছেন বইবন্ধুর শতাধিক সদস্য। উৎসবের দু’দিনে প্রায় ১৫হাজার বই বিনিময় হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।


চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গাঙ্গেয় বদ্বীপের সংগীত ব্যক্তিত্ব যোগী স্বপন কুমার দাশ’র রচিত আধ্যাত্মিক ও দেহতত্ত্ব বিষয়ক গান নিয়ে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাংবাদিক কিরন শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদীপ প্রজ্জ্বলক ও প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম এর পরিচালক মো.মাহফুজুল হক। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর প্রখ্যাত সাধক শ্রীমৎ স্বামী সত্যানন্দ ব্রহ্মচারী’জীকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে ‘খুঁজি তাঁরে’ অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা রাখাল চন্দ্র ঘোষ (যুদ্ধকালিন কমান্ডার), আব্দুর রহিম (লোক ও মরমি শিল্পী), রূপম ভট্টাচার্য (সাংবাদিক), স ম জিয়াউর রহমান(সাংবাদিক), দিদারুল ইসলাম (সংগীত পরিচালক ও কন্ঠ শিল্পী), তন্দ্রা দাশগুপ্তা, সংগীত শিল্পী সঞ্জয় রক্ষিত সহ প্রমুখ। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত

ছিলেন পাপিয়া আহমেদ (সংগীত প্রযোজক বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম), অপু বর্মন (সংগীত শিল্পী বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন এবং সংগীত শিক্ষক জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম), অপু সেনগুপ্ত (বিশিষ্ট গীতিকার বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন), দীপ্ত দত্ত সংগীত শিল্পী (বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন)।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন, খ্যাতনামা মরমি কন্ঠ শিল্পী শিমুল শীল, বাউল শিল্পী বাবুল শীল, অভিষেক দাশ, বাউল জুয়েল দ্বীপ, শিউলী চৌধুরী, আনন্দ প্রকৃতি(মো:তৌহিদুল ইসলাম), আধাত্মিক শিল্পী সুরনাথ, কাওয়ালী শিল্পী মেঘলা। ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি প্রতিযোগিতার সেরা কন্ঠ শিল্পী বাঁধন ঘোষ, ইন্দ্রিলা ঘরজা, মিম দাশ, অধরা চৌধুরী রাত্রি, আরাধ্যা মজুমদার, সৈয়দ রাসতিন, অরূপ কুমার শীল, ঊর্মি নাগ সংগীত পরিবেশন করেন।

যন্ত্র সংগীত শিল্পীতে ছিলেন- কীবোর্ডে রুবেল ঘোষ, অক্টোপ্যাডে পাপন, তবলায় উৎস, বাংলা ঢোলে হৃদয় বাঁশিতে নিলয়। সংগীত তত্বাবধানে যোগী স্বপন কুমার দাশ, অনুষ্ঠান তত্বাবধানে মো: মোহসীন(সাধারণ সম্পাদক, ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি সংসদ)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মো: সাইফুর রহমান ও ববিতা ইসলাম।

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ