আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

হাজীদের লাগেজে যে ৩০টি পণ্য পাওয়া গেলে রেখে দেবে সউদী

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পবিত্র হজ পালন শেষে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন হাজীরা। ফিরে যাওয়ার সময় বেশিরভাগ হাজীই আত্মীয়-স্বজন ও পরিবার-পরিজনের জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসেন।
তবে সউদী আরবের রাজধানী জেদ্দার কিং আব্দুলআজিজ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, দেশ ফেরত হাজি বা সাধারণ যাত্রীদের কারও লাগেজে ‘নির্দিষ্ট ৩০টি পণ্য’ পাওয়া গেলে সেগুলো জব্দ করা হবে এবং এগুলো ফেরত পাওয়ার জন্য কোনো দাবি করলেও, সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশনা সকল যাত্রীর উদ্দেশ্যে দিলেও, বিশেষভাবে হাজিদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তারা যেন নিষিদ্ধ এ ৩০টি পণ্য নিয়ে বিমানে ওঠার চেষ্টা না করেন।
এ ৩০টি পণ্যকে আবার দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি পণ্য নিয়ে (হাতে বহন করা যায় লাগেজে নিয়ে) বিমানের কেবিনে ওঠা যাবে না। আর ১৪টি পণ্য কোনোভাবেই কোনো লাগেজে করে বিমানে বহন করা যাবে না।

হাতের লাগেজে করে যেসব পণ্য নিয়ে কেবিনে ওঠা যাবে নাÑ
ছুরি, সংকুচিত গ্যাস, বিষাক্ত তরল, ব্লেড, বেসবল ব্যাট, বৈদ্যুতিক স্কেটবোর্ড, বিস্ফোরক, ক্র্যাকার, আগ্নেয়াস্ত্র, চৌম্বকীয় পদার্থ, তেজস্ক্রিয় বা ক্ষয়কারী উপাদান, যে কোনও বিপজ্জনক সরঞ্জাম, নেলকাটার, কাঁচি এবং চাপাতি।

কোনোভাবেই লাগেজে বহন করা যাবে না যেসব পণ্যÑ
জৈব পারক্সাইড, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, বৈদ্যুতিক শক ডিভাইস, নিষ্ক্রিয় করার ডিভাইস, তরল অক্সিজেন ডিভাইস, সংক্রামক জৈবিক উপকরণ, ম্যাচ, লাইটার, বিস্ফোরক বা ক্র্যাকার, দাহ্য তরল, সংকুচিত গ্যাস, অস্ত্র সদৃশ বস্তু, চৌম্বকীয় উপকরণ এবং দ্রাবক পণ্য।
এদিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, বিমানে কোন পণ্য বহন করা যাবে, আর কোনগুলো বহন করা যাবে না- সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তারা যেন নিজ নিজ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ।


সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ইরান।


সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।


সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ