
চট্টগ্রাম নগরীতে দুই তরমুজের দোকানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মূল্য তালিকা না থাকায় গতকাল মঙ্গলবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ পরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহর নেতৃত্ব দেন এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আজ নগরীতে তরমুজ বিক্রির প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। তদারকিকালে মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করায় প্রতিষ্ঠান দুইটিকে জরিমানা করা হয়।
তারা ক্রয় রশিদ ও বিক্রয় রশিদ দেখা পারেন নাই। মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করলে বিক্রেতারা ইচ্ছা মতো দাম নেন। বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। আমরা একজন ভোক্তার কাছে তথ্য পেয়েছি একটু আগে তার কাছ থেকে এক পিচ তরমুজ ৮০০ টাকা চেয়েছেন।তারই মূল্য তালিকা নাই আর মূল্য তালিকা না থাকায় এরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এদিকে ফলমন্ডি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে খোলা জায়গায় বেশ কয়েকটি তরমুজের দোকান দেখা গেছে। সেখানেও দৃশ্যমান কোন মূল্য তালিকা দেখা যায়নি। তবে ওই সব দোকানগুলোতে ভোক্তাধিকারের পক্ষ থেকে কোন অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি।
ফ্লাইওভারের নিচে এসব দোকানে অভিযান পরিচালনা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফলমন্ডি মার্কেটের দোকানিরা।
এর আগে ২নং গেইটের এক বাটার শো-রুমে পণ্যের উপর মূল্যের স্টিকারে অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়া ঐ শো-রুমকে সর্তকতা করতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এই ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ পরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ওই বাটার শো-রুমে বক্সে থাকা পণ্যগুলো মূল্য ছাপানো থাকালেও দৃশ্যমান স্থানে যে পণ্যগুলো রয়েছে সেসব পণ্যের উপর যে মূল্য স্টীকার রয়েছে সেখানে মূল্য পরিবর্তনের চিহ্ন দেখা যায় এবং অনেক পণ্যে মূল্যের ছাপানো ছিল না, তাদেরকে সর্তক করা হয়েছে এবং সতর্কতা হিসাবে ২০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।