আজঃ শুক্রবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

নোয়াখালী:

হাতিয়াতে আসছেন সুইডিশ রাজকন্যা, চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

রিপন মজুমদার নোয়াখালী:

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন সুইডিশ রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। তার এ সফরের অংশ হিসেবে ২০ মার্চ চট্রগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারযোগে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সফরের কথা রয়েছে। এ সময় তিনি বুড়িরচর ইউনিয়নের নতুন সুইচ বাজার পরিদর্শন করবেন এবং গুচ্ছ গ্রামের জেলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়া নলচিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার পরিদর্শন করবেন তিনি। তারপর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভাসানচর যাবেন এবং ভাসানচর ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করবেন।
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান দৈনিক বাংলা খবর কে বলেন, রাষ্ট্রীয় অতিথি হাতিয়ায় আগমনে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি, র‍্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, গোয়েন্দা নজরদারিসহ সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে আগামী ১৮-২১ মার্চ সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এর মধ্যে ২০ মার্চ তিনি হাতিয়া আসবেন। তিনি হাতিয়ার বুড়িরচর ও ভাসানচর পরিদর্শন করবেন। জেলে পরিবার ও রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের জীবনযাত্রার বিষয়ে জানতে চাইবেন। তার আগমনকে ঘিরে বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস (রাজকন্যা) ভিক্টোরিয়া খুলনার কয়রায় পৌঁছেছেন। বুধবার (২০ মার্চ) নোয়াখালীর হাতিয়ায় সফর করবেন তিনি। রাজকন্যার আগমনকে ঘিরে প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ মুক্ত সাংবাদিকতার এই সময়ে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে : মুহাম্মদ আবদুল্লাহ

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘বর্তমান সময়ে গণমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছেন। এ সুযোগে যাতে অপতথ্য ছড়ানো না হয়। মুক্ত সাংবাদিকতার এই সময়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবশনে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিকদের প্রতি বছর ফেলোশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অসচ্ছল প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনার কাজ চলছে। এ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রনয়ণের উদ্যোগ নিয়েছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।সাংবাদিকদের সন্তাদের স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা ও সার্বিক কল্যাণে বহুমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে কল্যাণ ট্রাস্ট। ট্রাস্টের সহায়তা প্রকৃত প্রাপ্যরাই পাবেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ এর সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম মাওলা মুরাদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এডহক কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের উপপরিচালক (উপসচিব) স্থানীয় সরকার মো. নোমান হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন

সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাংবাদিক মাহবুব মাওলা রিপন, মজুমদার নাজিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি জেলার ২৭ জন গণমাধ্যমকর্মীর মধ্যে চেক বিতরণ করা হয়।

মাতারবাড়ি দেশিয় অর্থনীতির গেম চেঞ্জার।

ছবি-১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিজনেস সামিটে নতুন বিনিয়োগ আসায় চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)’র চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান। চবক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের কারণে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৩৮তম বন্দর দিবস উপলক্ষে শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে চবক সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের গতি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিযোগী বিশ্বে টিকতে হলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। পাঁচ বছর পর ৫ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনারে হ্যান্ডলিং করতে হবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি হয়েছে। এ মাস দেশ ও বন্দরের জন্য সৌভাগ্যের। ২০২৯ সালে মাতারবাড়ি সমুদ্র্রবন্দর অপারেশনে চলে যাবে।
এ সময় চবক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম বড় সম্ভাবনা। তাদের কর্মসংস্থান করতে হবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার হবে সিঙ্গাপুর। বিনিয়োগকারী প্রস্তুত। নিরাপত্তা, আস্থা, সুন্দর পরিবেশ চায় তারা। মেরিটাইম ও পোর্ট সিকিউরিটি নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চায়।
বন্দর ও কাস্টমসের সমন্বয়ে সুফল পাওয়ার কথা জানিয়ে এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, বন্দর ও কাস্টমসকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। এর সুফল দেখতে পাচ্ছেন। নিলামে গতি এসেছে। বন্দরে ইউএস এইডের অর্থায়নে রেফার কনটেইনার ইয়ার্ড ও কোল্ড স্টোরেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অটোমেশনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ই-টিকিটিং চালু করায় সব সিস্টেমে চলে আসছে। মেরিটাইম সিঙ্গেল উইন্ডো চালু করছি। এতে বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। পেমেন্ট ডিজিটাল হয়ে যাবে। ডিজিটালাইজেশন ও ডি-কার্বোনাইজেশনের বিকল্প নেই। জুনের মধ্যে বন্দরের পুরো কার্যক্রম অটোমেশন করে ফেলব। গ্রিন মেরিটাইম করিডোর হবে চট্টগ্রাম বন্দর। মাতারবাড়ি, বে-টার্মিনাল, লালদিয়া হবে গ্রিন পোর্ট। এ টার্মিনালগুলো চালু হলে নতুন শিপিং রুট খুলে যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, বে-টার্মিনাল হলে টানেলের ব্যবহার বেড়ে যাবে। ৬৬৩ জনকে পদোন্নতি এবং ৩৬৩ জন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি বন্দর যাতে ব্যবহারবান্ধব হয়। ১৬ মিটার ড্রাফট মেইনটেইনের উপযোগী দুইটি ড্রেজার কিনবে বন্দর।‘বে-টার্মিনালের কন্টেইনার টার্মিনাল-১ এবং কন্টেইনার টার্মিনাল-২ নির্মাণের জন্য পিপিপি অংশীদার পিএসএ সিঙ্গাপুর এবং ডিপি ওয়ার্ল্ডের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত ২০ এপ্রিল বে-টার্মিনালের ডিপিপি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া, গতকাল বে-টার্মিনালের চ্যানেলে ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্প আগামী ২০২৯-২০৩০ সালের মধ্যে সমাপ্ত করা সম্ভব হবে।
মাতারবাড়িকে দেশিয় অর্থনীতির গেম চেঞ্জার উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের অর্থনীতির গেম চেঞ্জার খ্যাত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পটির প্যাকেজ-১ ( ২টি জেটি নির্মাণ) এর জন্য জাপানিজ প্রতিষ্ঠান পেন্টা ওশান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও টোয়া কর্পোরেশনের সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তি স্বাক্ষর গত ২২ এপ্রিল সম্পন্ন হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ২০২৯ সাল নাগাদ অপারেশনে আসবে বলে আশা করা যায়। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরকে রিজিওনাল ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসাবে রূপ দেয়ার লক্ষ্যে বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসাবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
মাতারবাড়ি প্রকল্প নিয়ে চেয়ারম্যান এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসাবে জাইকার সহযোগিতায় বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পটির ২য় সংশোধিত ডিপিপি গত বছরের ৭ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় সিভিল, ড্রেজিং, কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি এবং জাহাজসমূহ ক্রয় কার্যক্রম প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি ক্রয় চুক্তি ইতোমধ্যে সম্পাদিত হয়েছে। সিভিল ও ড্রেজিং কার্যক্রমের চুক্তি অতি শিগগিরই সম্পাদিত হবে এবং নির্মাণ কার্যক্রম অতিদ্রুত শুরু করা হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ