আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

মানববন্ধন ও সমাবেশ চসিক কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নূর মোস্তফা টিনুর মুক্তির দাবিতে চকবাজার ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষের উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নূর মোস্তফা টিনুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ও সমাবেশ করেছে চকবাজার ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষ। মানববন্ধন সমাবেশে চকবাজার ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ কাউন্সিলের মুক্তির দাবিতে ব্যানার নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে কাউন্সিলর টিনুর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, কাউন্সিলর মো. নূর মোস্তফা টিনু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে ছাত্র অবস্থা থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছেন। চট্টগ্রামের একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি দিন-রাত চট্টগ্রামের শিক্ষার জোন হিসেবে পরিচিত ৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৪৮টি কোচিং সেন্টার সম্বলিত চকবাজারবাসীর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কাউন্সিলর টিনু চকবাজারে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে সবসময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছেন। টিনুর নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কবল থেকে চকবাজার মুক্ত হয়েছে। তার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে চকবাজার ওয়ার্ডে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বেআইনি কর্মকান্ড অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। একটি কুচক্রি মহল সরকার ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি নষ্টের উদ্দেশ্যে চকবাজার এলাকায় বিদ্যমান শান্তি-শৃঙ্খলার পরিবেশ বিনষ্ট করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য এই জঘন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। চলমান চকবাজার ওয়ার্ডের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত করতে এবং সন্ত্রাস, পরিচ্ছন্নতা ও মাদকমুক্ত ওয়ার্ডে পরিণত করার সংগ্রামে কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুকে বিরত রাখতে ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। অবিলম্বে উক্ত মামলা প্রত্যাহার পূর্বক টিনুর নিঃশর্ত দাবি জানাচ্ছি।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সদস্য ও ওয়ার্ড সচিব মোহাম্মদ তারেক সুলতানের সভাপতিত্বে এবং নিজাম উদ্দিন আহাদ ও মিঠুন চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও পূর্ব কাপাসগোলা মহল্লা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা বাচা, চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মিন্টু, চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক মুজিবুর, আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, বাদুরতলা মহল্লা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের রণি, মতি টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক, সিটি কর্পোরেশন খেলোয়াড় একাদশের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, আসাদুর রহমান, মোহাম্মদ আনোয়ার, মো. ইমরুল হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা মো. নুরুন্নবী, যুব সংগঠক বিপ্লব দে, মহানগর তাঁতী লীগের সদস্য সজল দত্ত, মহানগর ছাত্রলীগের উপ-পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল, উপ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অভিক, চকবাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ইভান, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, আমির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন সুমন, শামীম হোসেন, নাসির উদ্দীন রিপন, মোহাম্মদ সুমন, মোহাম্মদ আসাদ, বোরহান উদ্দিন, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ নাসের, গিয়াস উদ্দিন সাজিদ, মোহাম্মদ মিজানুর, সৌরভ উদ্দিন বাপ্পা, ছোটন মিত্র, মোহাম্মদ ইমাম হোসেন, আলাউদ্দিন আরিফ, শফিউল আজম, মো. জুলকাস, ইমন রশিদ সায়েদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ