
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তার হাবিবুল ইসলাম চৌধুরী সরকারী দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক হয়েও কলেজে অধ্যাপনা করছেন না। এমনকি রাঙামাটিতে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন না, এমনটি অভিযোগ করেছেন রাঙামাটি রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য শামসুল আলম।
তিনি অভিযোগে জানান, ডা. হাবিবুল ইসলাম চৌধুরী রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক। ক্যাডিওলজির মত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। অথচ তিনি চট্টগ্রাম নগরীর মেহদীবাগস্থ ন্যাশনাল হসপিটাল চট্টগ্রাম এন্ড সিগমা ল্যাব লিমিটেডে সাপ্তাহে ছয়দিন চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ন্যাশনাল হসপিটালের সাপ্তাহে ৬ দিন রোগী দেখছেন। তবে কার্ডে চমেক এর সহকারী অধ্যাপক লেখা রয়েছে। রাঙামাটি সরকারী মেডিকেল কলেজের একজন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন না করে চট্টগ্রাম নগরীতে রোগী দেখছেন। যার ফলে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি ডা. হাবিবুল ইসলাম চৌধুরী যাতে কলেজে নিয়মিত পাঠদান করেন।
এদিকে রোগী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ মনে করেন,শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতালে রোগী দেখছেন, বিষযটি তেমন নয়। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের বিশ্বাসী। কারণ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকার জন্য নগরীতে রোগী দেখেন এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করছেন।
আর ন্যাশনাল হসপিটালের ব্যাক্তিগত চেম্বারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহায়ক জানান, তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেলে কর্মরত রয়েছেন এবং চমেকের হৃদরোগ বিভাগের একজন ডাক্তার বলে জানান। এ ব্যাপারে ডা. হাবিবুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেনি।
তার চেম্বার সহযোগি জানান, শুক্রবার ব্যাতিত তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত দর্শটা পর্য়ন্ত রোগী দেখে থাকেন। এদিকে তার দায়িত্বের অবেহেলার জন্য রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে রোগী কল্যাণ সমিতি অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। এ ব্যাপারে ডা. হাবিবুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্যের জন্য বারবার ফোন দিয়েও তিনি রিসিভ করেননি। রোগী রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে পরিচালক, মহা পরিচালক, স্বাস্থ্য সচিব সহ বিভিন্ন দপ্তরে এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমান সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেখানে ডাক্তারদের নিজ দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়েছেন, সারাদেশ ছুটে বেড়াচ্ছেন এবং দুর্নীতির জিরো টলারেন্সে মন্ত্রনালয়েকে আনার চেষ্টা করছেন, সেখানে একজন কার্ডিওলজি বিভাগের সরকারী এ ডাক্তার দায়িত্ব অবহেলা করে চলেছেন। পার্বত্য এ জনপদে কার্ডিওলজি বিভাগের এ ডাক্তার দায়িত্বপালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসাসেবা গ্রহনের রোগীরা।রোগী কল্যাণ সমিতি,রাঙামাটি বলছেন ডাঃ হাবিবুল ইসলাম রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক আবার ন্যাশনাল প্রাইভেট হসপিটালের ব্যক্তিগত সহকারী বলছেন তিনি চমেক এর ডাক্তার। কোনটি সত্য।