
একাত্তরের ২৫ মার্চকে জাতিসংঘ গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না কেন, এ প্রশ্ন তুলেছেন চট্টগ্রামের সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নেতারা। গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের এক আলোচনা সভায় একথা বলেন সংগঠকরা। জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
নগরীর দোস্ত বিল্ডিংয়ে সংগঠনের কার্যালয়ে মহানগর সভাপতি সরফরাজ খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সভায় জেলা সভাপতি নুরুল আলম মন্টু, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, মহানগর সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মালেক খান, নারী বিষয়ক সম্পাদক সাইফুন নাহার খুশী, সম্পাদক মঈনুল আলম খান, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের আশেক মাহমুদ মামুন, রাজীব চন্দ ও কোহিনুর আকতার বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ ভয়াল কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র, নিরাপরাধ ও ঘুমন্ত সাধারণ বাঙালির ওপর যেভাবে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, সেটা পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম ও ভয়াবহ জেনোসাইড। একটি জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতা ও স্বাধিকারের দাবিকে চিরতরে মুছে দেয়ার নারকীয় পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেজন্য অপারেশন সার্চলাইট নামে ভয়াবহতম এ গণহত্যা চালানো হয়েছিল। ২০১৭ সালের ১১ মার্চ সংসদে ২৫ মার্চকে জাতীয় ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করা হয় উল্লেখ করে তারা বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ইতিহাসের ভয়ানক গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা বারবার জাতিসংঘের কাছে পাকিস্তানিদের সংঘঠিত ভয়াবহ এ গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে আসছি। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে আর্মেনিয় গণহত্যা, ইহুদি গণহত্যাসহ বেশ কয়েকটি দেশে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু এ বিশ্বসংস্থা বাঙালি নিধনের দিনটিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। কেন দিচ্ছে না, এ প্রশ্ন আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের কাছে রাখছি। বিশ্ব সংস্থাটির এ মনোভাব দুঃখজনক।