আজঃ শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

স্বাধীনতা দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন জেলা প্রশাসন অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে চসিক অস্থায়ী শহিদ মিনারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতা দিবসের চট্টগ্রামে স্বাধীনতা দিবসে জেলা প্রশাসন নগরীর দক্ষিণ কাট্টলীতে নবনির্মিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করেছে। তবে প্রথমবার হওয়ায় এবং দূরত্বের কারণে সরকারি সংস্থা ছাড়া রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সেখানে যাবে কি না, সেটা নিয়ে সংশয় আছে।
অন্যদিকে এবারও মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গনে অস্থায়ী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করেছে সিটি করপোরেশন। সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এ শহিদ মিনারেই ফুল দেবেন।
চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও অস্থায়ী শহীদ মিনারে মেয়র মহোদয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কাউন্সিলররা এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে। কাল (আজ) মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে অস্থায়ী শহিদ মিনারে ফুল দেবেন মেয়র। এরপর সর্বস্তরের মানুষের জন্য শহিদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
সংস্কারকাজের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার বন্ধ থাকায় গত তিনবছর ধরে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গনেই শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি আয়োজন করে আসছে চসিক। গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার আংশিক খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সংস্কার করা এ শহিদ মিনার নিয়ে আপত্তি জানান সংস্কৃতিকর্মীরা। তাদের দাবির মুখে মেয়র প্রয়োজনীয় পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল না দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন।
চসিকের খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন মেয়র। এরপর চসিক কার্যালয়ে নির্মিত মুজিব কর্ণারের উদ্বোধন করবেন মেয়র।
এদিকে গত ২৩ মার্চ নগরীর দক্ষিণ কাট্টলীতে জেলা প্রশাসনের নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সর্বস্তরের জনতাকে স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসনের খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের কমর্সূচি শুরু হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের সব আয়োজন করা হয়েছে। এরপর নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে হবে।
চট্টগ্রাম নগরীর মূল কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত নিউমার্কেট মোড় থেকে কাট্টলীর অস্থায়ী স্মৃতিসৌধের দূরত্ব সড়কপথে ১৪ কিলোমিটারেরও বেশি। স্মৃতিসৌধে যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে। সেখান থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত হেঁটে যেতে সময় লাগবে অন্তঃত আধাঘন্টা। এছাড়া নগরীর অলঙ্কার কিংবা সাগরিকা মোড় হয়েও স্মৃতিসৌধে যাওয়া যাবে। কিন্তু শহরতলীর এলাকা হওয়ায় নিয়মিত গণপরিবহনের সংকট রয়েছে। দূরবর্তী স্থানে নির্মিত এ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন নিয়ে ইতোমধ্যে সংশয়ের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মীরা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন।

সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরে এরা। চলে যায় একেবারে গ্রামের ভিতর। পুরাতন কাগজ, বই, কার্টুন, পুরাতন টিন, নষ্ট বোতল, নষ্ট প্লাস্টিকের কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাল সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে আসে তাদের মহাজনের কাছে। মহাজন সেগুলো একটা দাম ধরে কিনে নেয়।

কথা হলো শহিদুল নামের একজনের সাথে। মোটামুটি যা হয় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার । তারপর মহাজন সেগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কাগজ আলাদা, টিন আলাদা, লোহা আলাদা। মহাজনের রয়েছে ৩ জন লোক। তাদের কাজ এগুলো বাছাই করা বস্তায় ভর্তি করে ওজন দেয়া। তারপর সেগুলো যাবে রাজশাহী বিসিক এলাকায়, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো কিনে নিয়ে। তারা আবার এগুলো নিয়ে, মেশিনের সাহায্যে কুচি, কুচি করে ঢাকাতে পা ঠায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। ঢাকা যাবে আবার এগুলো বিভিন্ন জায়গায়। এসব দিয়ে আবার নতুন করে জিনিস তৈরি করা হবে। এই ভাবে চলে কিছু মানুষের জীবন জিবিকা।এই পুরাতন জিনিস গুলো আবার নতুন রুপে বাজারে আসবে, এই রিসাইকেল হয়ে ।

নেত্রকোনায় বন্ধু ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন।

নেত্রকোণায় বন্ধু ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রা
শামীম তালুকদার, নেত্রকোণা
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো—
নেত্রকোণায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বন্ধু ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।এতে বন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি খায়রুল রশিদ খান পাঠানের নেতৃত্বে অধিকাংশ বন্ধুদের উপস্হিতিতে ১লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।আনন্দ শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

উল্লেখ্য যে, সমাজসেবা অধিদপ্তর কতৃক নিবন্ধনকৃত(রেজি: নং-নেত্র :০৭৪৮) বন্ধু ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা লাভ করে ও সেবামূলক সমাজকর্ম করে যাচ্ছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ