আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

স্বাধীনতা দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন জেলা প্রশাসন অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে চসিক অস্থায়ী শহিদ মিনারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতা দিবসের চট্টগ্রামে স্বাধীনতা দিবসে জেলা প্রশাসন নগরীর দক্ষিণ কাট্টলীতে নবনির্মিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করেছে। তবে প্রথমবার হওয়ায় এবং দূরত্বের কারণে সরকারি সংস্থা ছাড়া রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সেখানে যাবে কি না, সেটা নিয়ে সংশয় আছে।
অন্যদিকে এবারও মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গনে অস্থায়ী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করেছে সিটি করপোরেশন। সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এ শহিদ মিনারেই ফুল দেবেন।
চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও অস্থায়ী শহীদ মিনারে মেয়র মহোদয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কাউন্সিলররা এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে। কাল (আজ) মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে অস্থায়ী শহিদ মিনারে ফুল দেবেন মেয়র। এরপর সর্বস্তরের মানুষের জন্য শহিদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
সংস্কারকাজের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার বন্ধ থাকায় গত তিনবছর ধরে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গনেই শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি আয়োজন করে আসছে চসিক। গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার আংশিক খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সংস্কার করা এ শহিদ মিনার নিয়ে আপত্তি জানান সংস্কৃতিকর্মীরা। তাদের দাবির মুখে মেয়র প্রয়োজনীয় পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল না দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন।
চসিকের খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন মেয়র। এরপর চসিক কার্যালয়ে নির্মিত মুজিব কর্ণারের উদ্বোধন করবেন মেয়র।
এদিকে গত ২৩ মার্চ নগরীর দক্ষিণ কাট্টলীতে জেলা প্রশাসনের নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সর্বস্তরের জনতাকে স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসনের খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের কমর্সূচি শুরু হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের সব আয়োজন করা হয়েছে। এরপর নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে হবে।
চট্টগ্রাম নগরীর মূল কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত নিউমার্কেট মোড় থেকে কাট্টলীর অস্থায়ী স্মৃতিসৌধের দূরত্ব সড়কপথে ১৪ কিলোমিটারেরও বেশি। স্মৃতিসৌধে যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে। সেখান থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত হেঁটে যেতে সময় লাগবে অন্তঃত আধাঘন্টা। এছাড়া নগরীর অলঙ্কার কিংবা সাগরিকা মোড় হয়েও স্মৃতিসৌধে যাওয়া যাবে। কিন্তু শহরতলীর এলাকা হওয়ায় নিয়মিত গণপরিবহনের সংকট রয়েছে। দূরবর্তী স্থানে নির্মিত এ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন নিয়ে ইতোমধ্যে সংশয়ের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মীরা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ