আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী চট্টগ্রাম রেঞ্জ কর্তৃক মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করেছে। মহান স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব অনুসারে এ দিবসটি যথাযোগ্যভাবে পালনের উদ্দেশে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদরদপ্তরের নির্দেশনা ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ উপমহাপরিচালকের সার্বিক তত্বাবধানে চট্টগ্রাম রেঞ্জাধীন সকল ব্যাটালিয়ন, জেলা ও জোন কার্যলয় সমূহে আলোকসজ্জা, ব্যানার প্রদর্শন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে প্রতীকী ব্ল্যাক আউট, স্বাধীনতা দিবস, স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পন, মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী সকল বীর শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত ইফতার পরবর্তী প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
দু-পর্বের এ কর্মসূচীতে ২৫ মার্চ/২৪ বাদ যোহর মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদগণের আত্মার শান্তি কামনা এবং বাহিনীর উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়। এতে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বত:¯ফূর্তভবে অংশগ্রহণ করেন। এ দিন রাত ১১:০০ টা হতে ১১:০১ মিনিট পর্যন্ত এক মিনিটের জন্য প্রতীকী ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করা হয়।
২৬ মার্চ/২৪ ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাহাড়তলী থানার উত্তর কাট্টলীতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে জেলা প্রশাসন,চট্টগ্রাম নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন করে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উক্ত কর্মসূচীতে চট্টগ্রাম রেঞ্জ উপমহাপরিচালক জনাব মোঃ সাইফুল্লাহ্ রাসেল বিএএম, পিএএমএস, ৩১ আনসার ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক ও উত্তর জোন অধিনায়ক (সিএমএ) জনাব নাজমুল হক নুরনবী, চট্রগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট ও দক্ষিণ জোন অধিনায়ক (সিএমএ) জনাব এ এইচ এম সাইফূল্লাহ হাবিব, সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট ফরিদা পারভীন সুলতানা সহ রেঞ্জ, ব্যাটালিয়ন এবং জোনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
অতঃপর সকাল ০৮:০০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম কর্তৃক এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আয়োজিত প্যারেড, বর্ণাঢ্য রেলী ও মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। প্যারেডে অন্যান্য বাহিনী ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংষ্কৃতিক সংগঠনের ন্যায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ব্যাটালিয়ন আনসার, সাধারণ আনসার এবং গ্রাম প্রতিরক্ষা দল সহ ৩টি কন্টিনজেন্ট অংশ গ্রহণ করে।
প্যারেড শেষে ফয়’সস্থ লেক রেঞ্জ কার্যালয় হল রুমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী উপস্থিত সকল সদস্যদেরকে পাঠ করে শোনানো হয়। এছাড়াও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র/ভিডিও ‘বাংলার মাটি বাংলার জল ও স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’ প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র করকে (অব: থানা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা) সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। বাদ যোহর মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোওয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সর্বশেষ ইফতার পরবর্তীতে প্রতিভোজ আয়োজন করা হয়। উক্ত প্রতিভোজ অনুষ্ঠানে উপমহাপরিচালক জনাব মোঃ সাইফুল্লাহ্ রাসেল বিএএম, পিএএমএস চট্টগ্রাম রেঞ্জ সহ ৩১ আনসার ব্যাটালিয়ন ও জেলা আনসার ও ভিডিপি চট্টগ্রাম জেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারী অংশগ্রহণ করে।
গণসংযোগ সহকারী
সিহাব মোল্লা
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী
চট্টগ্রাম পার্বত্র রেঞ্জ,চট্টগ্রাম।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চুয়ান্নটি বছর

স্বাধীনতার চুয়ান্নটি বছর চলেছে একই নীতিতে!
সত্যিই এবার পরিবর্তন প্রয়োজন।
স্বপ্ন আর আশা,
এই নিয়ে দেশের মানুষের বেঁচে থাকা।

কেহ দেশের শান্তি ফেরাতে দিয়েছেন প্রাণ,
কেহ আবার সব ভুলে গিয়ে নিজের সুবিধা আর আসন পাওয়া নিয়ে ব্যস্ততা,
আর এক শ্রেণীর মানুষের নেই ঘুম!

সুন্দর স্বপ্নময় দেশ গড়তে,
সর্ব প্রথম আইন,
বিচার ব্যবস্থা আর প্রশাসনের সঠিক উন্নয়ন প্রয়োজন। এই তিনটি যেন কারো ব্যক্তিগত কারো সম্পত্তি না হয়।

বিগত চুয়ান্ন বছর পর আবারও দেশ ও দেশের মানুষের নতুন অধ্যায়!
যেন বিগত দিন, মাস, বছর পর বছর আর নয়,
সর্বত্র হোক বিরাজমান সত্য ও সততার আগমন।

রঙের দেখা

একেক পাখির একেক রং,
ফুলের সুগন্ধে মন ছুঁয়ে রয়!
নীল আকাশে সাদা মেঘের ক্ষণে ক্ষণে মেলা হয়।

হরেক রঙের মানুষের দেখা,
ভিন্ন ভিন্ন দেশে। ভাষাও আবার ভিন্ন হয়,
আবহাওয়াও ভিন্ন রুপে।

একই দেশের মানুষ মোরা ভিন্ন ভিন্ন ভবের।
আচার- আচরণও হয় ভিন্ন!

চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলাতে জীবনে সকলেই চিন্তিত! হয়তো প্রকাশ ভঙ্গি ভিন্ন।

সকাল সন্ধ্যা! কতো স্মৃতি আর অনুভূতি আসে বারে বারে এ মনে!
মনের অজান্তেই কথা হয়,
চুপিচুপি একাকী নিরজনে!

ফুলদানিতে কতো ফুল রাখি,
আস্তে আস্তে শুকিয়ে,
নয় তো ঝড়ে যায়!
চেনা চেনা কতো মানুষও আবার,
দুঃসময়ে দূরে সরে চলে যায়!

দুনিয়ায় আসা হয় একা,
একা চলে যেতে হয়!
এর বিকল্পও নেই,
তবুও মানুষের সাথে মানুষের অবিচার অবক্ষয়!

দুনিয়ায় কতো কিছু,
কতো রঙে ভরা,
শুধু রক্তের একটিই রঙ!
মানুষ, দেশ, জাতি যেমনই হোক, সকলের রক্তের রঙ লাল।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ