আজঃ শুক্রবার ১৬ মে, ২০২৫

চসিকে মশক নিয়ন্ত্রণে ক্রাস প্রোগ্রাম বা গবেষনার পরিবর্তে মশক নিধন কার্যক্রমের যথাযথ তদারকি নিশ্চিতের আহবান

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন(চসিক) এলাকায় মশক নিয়ন্ত্রণে ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। শনিবার নগরীর হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজার সংলগ্ন মহেশখালে এর উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। আর এ সময় আগামি এপ্রিল মাসের মধ্যে মশা নিয়ে গবেষণার জন্য চসিকের উদ্যোগে একটি গবেষণাগার চালুর ঘোষণা দেন। মশক নিয়ন্ত্রণে ক্রাস প্রোগ্রাম বা গবেষনা পরিবর্তে চলমান পরিস্কার পরিছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম যথাযথ মনিটিরিং এর আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মশক নিয়ন্ত্রণে ক্রাস প্রোগ্রাম শুরু করার সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, পরিস্কার পরিচন্নতা ও মশক নিধক সিটি করপোরেশনের অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হলেও সিটি করপোরেশনের চলমান কাজের অগ্রগতিতে তা মনে হয় না। আবার চলমান কাজের মান তদারকির ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম ও দুর্বলতার কারনে সিটি করপোরেশনের অধিবাসীরা সেখান থেকে কাংখিত সেবা পাচ্ছে না। সিটিকরপোরেশন পরিচালিত পরিস্কার পরিছন্নতা কাজে বিপুল পরিমান পরিছন্ন কর্মী, সুপারভাইজারসহ নানা লোকবল নিয়োগ করা হলেও মাঠে তাদের দেখা মেলা ভার। যার কারণে সিটি করপোশেনের বিপুল অর্থ ব্যয় হলেও সেবার মানের কোন পরিবর্তন হয়নি।
বিবৃতিতে নেতৃবন্দ আরও বলেন সিটি করপোরেশনের দাবি অনুযায়ী ৪১টি ওয়ার্ডে নিয়মমাফিক মশার ওষুধ ছিটানোর কথা বলা হলেও দৃশ্যত নগরীর অধিকাংশ এলাকায় এধরনের কার্যক্রম দৃশ্যমান হবার দৃষ্ঠান্ত নাই। বিষয়টি অনেকটাই “কাজীর গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নাই” সেরকমই। মশক নিধন কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মীদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কাগজে কলমে হিসাব প্রদানের পরিবর্তে সত্যিকার অর্থে তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা দরকার।
নেতৃবন্দ আরও বলেন, মশক নিধনে গবেষনাগার স্থাপন বা ল্যাব স্থাপনের পরিবর্তে কীটতত্ত্ববিদদের সার্বিক পরামর্শে সত্যিকারের মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে অবশ্যই নগরবাসী উপকৃত হবেন। আর নিয়মমাফিক মশার ওষুধ ছিটানোর কথা বলে কোথাও ফগার মেশিন বা মশক নিধন কর্মীর দেখা মিলছে না? তাহলে গবেষনা করেও কোন কাংখিত ফলাফল আশা করা যাবে না।
মশা নিয়ন্ত্রণে চাই জনসচেতনতা সৃষ্ঠি বিষয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাসা-বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি, নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলার বিষয়ে সচেতনতার পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন। সিটি করপোরেশনের পরিছন্ন কর্মীরা নালা নর্দমা থেকে ময়লা-আবর্জনা তুলে আবার সেখানেই নিক্ষেপন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না হবার কারনে ময়লা ও বাসায় জমে থাকা পানি থেকে মশার প্রজনন বাড়ছে। একই সাথে স্থানীয় মশক নিয়ন্ত্রন কার্যক্রমে কাউন্সিলরদের তদারকি নিশ্চিত করতে হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহীর বাজারে এসেছে লিচু

রাজশাহীর বাজারে উঠেছে লিচু ।রাস্তার পাশে ফুট পাতে বিক্রি করছে এই লিচু ।এই লিচু অত্যন্ত সুস্বাদু ফল । বছরে একবার হয় এই লিচু ফল। জেনে নেওয়া যাক উপকারিতা কি কি?লিচু শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

লিচুতে ভিটামিন সি আছে, যা ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী।ফ্ল্যাভানয়েডস নামের একটি উপাদান থাকে লিচুতে, যা স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। পাকা লিচু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। কারণ, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট।

লিচুতে থাকা পটাসিয়াম আমাদের রক্ত ও নালির চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বাড়ায়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।পাশাপাশি বাজারে আনারস, ডাব ও বিক্রি হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে মানুষ ডাবের পানি খাচ্ছে। আনারস খাচ্ছেন। অল্প কিছু আম ও বাজারে আসছে। আসলে বৈশাখ মানেই তো নানান রকমের ফলের সমারহ।

প্রচন্ড গরমে লিচু, আম, ডাবের পানি যেটাই খাবেন, এ যেন এক অমৃত স্বাদ। সৃষ্টিকর্তার এক অসীম নিয়ামত , এই স্বাদু ফল ।

বাঁশের নানান ধরনের ব্যবহার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে।

রাস্তার পাশে বাঁশের আড়ত দেখে দাঁড়ালাম ।কথা হলো বাঁশের আরতের মালিকের সাথে।আমাদের দেশে প্রাচীনতম একটি উদ্ভিদ বাঁশ। বাঁশ আমাদের বিভিন্ন কাজে আসে। আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলগুলোতে বাঁশ দেখা যায়। বাঁশ পাওয়া যায় না এমন কোন এলাকা নেই। গ্রামের দিকে গেলে অনেক বাঁশের ঝাড় রয়েছে ।তবে এগুলো সংখ্যা কম ।

বাঁশ দিয়ে নানান রকম কাজ করা হয়। বাঁশ দিয়ে বাড়ি তৈরি করা যায়। বাড়ির খুটি তৈরিতে বাঁশ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বেড়া ,টং এবং ডেকোরেশন এর কাজ করতে গেলে প্রচুর পরিমাণে বাঁশের দরকার হয়। এছাড়াও এখন অনেক পরিমাণে বাড়ির কাজ হচ্ছে এজন্য বাড়িতে কাজ করতে বাঁশের প্রচুর দরকার হয়

এজন্য রাজমিস্ত্রিরা বাঁশ প্রচুর পরিমাণে কিনে নিয়ে গিয়ে বাড়ির কাজে ব্যবহার করে। এছাড়াও বাঁশ এখন ঢাকা সহ বড় বড় শহরে ট্র্যাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এজন্য বাঁশের দাম অনেক বেশি। একটি বাঁশ কিনতে গেলে ৪০০ টাকা লাগে।রাজশাহীর, মৌগাছিতে প্রচুর পানের চাষ হয় । পানের বরজ বানাতে এই বাশের ব্যপক ব্যবহার হয় ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ