আজঃ শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

বিরতি রেষ্টুরেন্টে যাত্রীদের সেহেরী ও ইফতারির গলাকাটা মূল্য আদায় করছে–দেখার কেউ নেই

এম মনির চৌধুরী রানা

দেশের সড়ক, রেল ও নৌ-পথে যাতায়াতের সময়ে হাইওয়ের বিরতি রেষ্টুরেন্টগুলো যাত্রীসাধারণের সেহেরী ও ইফতারিতে অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের কারণে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র যাত্রীরা দুর্ভোগে পরছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সড়ক পথে দুরপাল্লার যাতায়াতে মাঝপথে বাস কোম্পানী কর্তৃক নির্ধারিত বিরতি রেষ্টুরেন্টগুলোতে বাসের যাত্রীসাধারণকে সেহেরী ও ইফতারি করতে হয়। এতে দেখা যাচ্ছে, ইফতারিতে ১টি পেয়াজু , ১টি বেগুনী, ১পিস জিলাপি, ১/২টি খেজুর, ১টি আলুর চপ, ৫০ গ্রাম মুড়ি, ৫০ গ্রাম ছোলা, ১টি ছোট সাইজের কলা অথবা ১ পিছ ৪ ভাগের ১ অংশ আপেল, ১ গ্লাস সরবত, ২৫০এমএল ১ বোতল পানি সরবরাহ করে থাকে। এসব ইফতারি যেকোন সাধারণ রেস্টুরেন্ট থেকে কিনতে সাধারণত ৮০ থেকে ৯০ টাকা লাগলে কুমিল্লা, লোহাগড়া, বগুড়া, সিরাজগঞ্জের যে কোন হাইওয়ে বিরতি রেষ্টুরেন্টগুলোতে এইরকম ইফতারির প্লেট প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হারে মূল্য আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যেসব কোম্পানির বাস যেসব রেস্টুরেন্টে যাত্রা বিরতিদেয় ঐসব রেষ্টুরেন্টগুলোর সাথে বাস কোম্পানীর বড় অংকের বাৎসরিক কমিশন বানিজ্য রয়েছে। এছাড়াও বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারিসহ কোম্পানির অন্যান্য স্টাফেরা এসব রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন বিনামূল্য খাওয়া দাওয়া করে। এসব কারণে রেষ্টুরেন্টগুলো যাত্রীসাধারণের কাছে পরিবেশিত প্রতিটি খাবারের গলাকাটা মূল্য আদায় করছে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। সেহেরীতে ছোট ছোট ৫পিছ গরুর মাংস এসব হোটেলগুলো ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ৩পিস মাংস থাকলে ১পিস হাড্ডি, ১পিস চবি থাকে। ২৫০ গ্রাম সাইজের ১পিস তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ২০০ গ্রাম সাইজের রুই ২৫০ টাকা, ২০০ গ্রাম ওজনে ২পিস পাবদা ২০০ টাকা হারে মূল্য আদায় করা হচ্ছে। অধিকাংশ রেষ্টুরেন্টে কেউ ১ প্লেট ভাত খেলেও ৩ প্লেট ভাতের বিল আদায়ের অপকৌশল হিসেবে জন প্রতি ভাতের বিল ৫০/৬০ টাকা হারে আদায় করছেন। দেড় কাপের সমপরিমান পাতলা ডালের মূল্য ২০ টাকা আদায় করছেন যা ১ প্লেট ভাত কোনরকমে ভেজানো যায়। এদিকে রেলপথে চলাচলকারী ট্রেনে যাত্রীদের সেহেরী ও ইফতারির মূল্য তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি কোচে লাগানো এবং রশিদ প্রদান করে মূল্য আদায়ের নিয়ম লংঘন করে ইচ্ছেমত মূল্য আদায় করছেন রেল কর্তৃকপক্ষের নিযুক্ত বেসরকারী ইজারাদারেরা। নৌ-পথের বিলাশবহুল লঞ্চের কেন্টিনগুলোতে পরিবেশিত সেহেরি ও ইফতারির গলাকাটা মূল্য আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সাধারণ যাত্রীদের সেহেরি ও ইফতারির মূল্য নিয়ন্ত্রনে রেষ্টুরেন্ট মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন।

সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরে এরা। চলে যায় একেবারে গ্রামের ভিতর। পুরাতন কাগজ, বই, কার্টুন, পুরাতন টিন, নষ্ট বোতল, নষ্ট প্লাস্টিকের কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাল সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে আসে তাদের মহাজনের কাছে। মহাজন সেগুলো একটা দাম ধরে কিনে নেয়।

কথা হলো শহিদুল নামের একজনের সাথে। মোটামুটি যা হয় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার । তারপর মহাজন সেগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কাগজ আলাদা, টিন আলাদা, লোহা আলাদা। মহাজনের রয়েছে ৩ জন লোক। তাদের কাজ এগুলো বাছাই করা বস্তায় ভর্তি করে ওজন দেয়া। তারপর সেগুলো যাবে রাজশাহী বিসিক এলাকায়, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো কিনে নিয়ে। তারা আবার এগুলো নিয়ে, মেশিনের সাহায্যে কুচি, কুচি করে ঢাকাতে পা ঠায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। ঢাকা যাবে আবার এগুলো বিভিন্ন জায়গায়। এসব দিয়ে আবার নতুন করে জিনিস তৈরি করা হবে। এই ভাবে চলে কিছু মানুষের জীবন জিবিকা।এই পুরাতন জিনিস গুলো আবার নতুন রুপে বাজারে আসবে, এই রিসাইকেল হয়ে ।

সিংগাইরে সন্ত্রসীরা হামলা চালিয়ে ভেঙে দিলো সাংবাদিকের হাত।

মানিকগঞ্জের সিংগাইর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি এবং দৈনিক ফুলকির স্টাফ রিপোর্টার মাসুম বাদশার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তার বাম হাত।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০ টার দিকে উপজেলার ধল্লা বাজারস্থ তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ধল্লা পল্লী উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার অফিসে ঢুকে ধল্লা মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম (৫৩) এর নেতৃত্বে ধল্লা লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন গাদুর ছেলে হুমায়ন (৪০), তুফান আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন (৪০), কাউছারের ছেলে জিসান (২২) ও জোনাব আলীর ছেলে ওয়াজ উদ্দিন (৪৫) সহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন দা,চাপাটি, লোহার রড ও লাঠিশোটা নিয়ে সাংবাদিক মাসুম বাদশা’র ওপর হামলা চালায়। এলোপাথাড়ী মারপিটের সময় হুমায়নের রডের আঘাতে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। এ সময় আনোয়ার দা দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেয়, যা ডান হাতের কব্জিতে লাগে। তার ডাক চিৎকারে ওই অফিসের লোকজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক মাসুম বাদশাহ বলেন, হামলাকারীরা এলাকার মাদসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত । তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সেকেন্ড ইন কমান্ড হুমায়নের ভাই ও বোনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক ফুলকি পত্রিকায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। এরই জের ধরে তারা হামলা ও হত্যার পরিকল্পনা করে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তারা খোলোশ পাল্টে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দিয়ে অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং আমার কাছে চাঁদাদাবি করে। সংবাদ প্রকাশ ও চাঁদা না দেয়ার জের ধরে আমাকে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

এ দিকে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সিংগাইর প্রেসক্লাবের এক জরুরি সভায় নিন্দা প্রস্তাবে জড়িতদের শাস্তি দাবি করা হয়। এ ছাড়া সিংগাইর ও মানিকগঞ্জের অগনিত সাংবাদিক এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার খবর শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ