আজঃ বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

চিংড়ি চাষীদের জন্য সতর্কবার্তা

ইব্রাহীম হোসেন

আগামী এক সপ্তাহ খুলনা যশোর বাগেরহাট সাতক্ষীরা
অঞ্চলসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। দিনের
তাপমাত্রা 36-40°C হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সনাতন
চিংড়ি চাষীদের জন্য এই তাপমাত্রা বিপজ্জনক। যাদের
ঘের বা পুকুরের পানির গভীরতা চার ফুটের কম আছে
তাদের পুকুরের পানির তাপমাত্রা 34°C অতিক্রম করতে পারে। খুলনা বাগেরহাট সাতক্ষীরা অঞ্চলের
অধিকাংশ সনাতন চিংড়ি চাষী ঘেরের পানির গভীরতা
২’৫ ফুটের বেশি রাখতে চান না। সেইসাথে অধিকাংশ
খামারি জলজ শেওলা (কাটা শেওলা, ঝাঝি, স্পাইরোগাইরা, বিভিন্ন ধরনের ফিলামেন্টাস এলগি)
দিয়ে ঘের ভরিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। দিনের তীব্র
সূর্যের আলোয় জলজ শেওলা সালোকসংশ্লেসনের জন্য
মাত্রাতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) গ্রহণ করে
এবং পানিতে দ্রবীভূত কার্বন ডাই অক্সাইড শেষ হয়ে
গেলে আয়োনিত বাই কার্বোনেট (HCO3) ভেঙে কার্বন
ডাই অক্সাইডে পরিণত করে গ্রহণ করে। ফলে পানির
এলকালিনিটি দ্রুত কমে যায়। দিনে পানির পিএইচ রাতে ৭’৬ এবং দিনে ৯’৫ অতিক্রম করে। চিংড়ি পিএইচ এরওঠানামা ০’৫ এর বেশি সহ্য করতে পারে না। অন্যদিকেপানির তাপমাত্রা ৩৩°C অতিক্রম করলে চিংড়ির পেশিতে পীড়নে কারনে চিংড়ি শরীর বেকিয়ে দুর্বলভাবে(Mussel cramp) চলাফেরা করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে চিংড়ির মড়ক দেখা দেয়।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ঘেরের জলজ
শেওলার পরিমাণ কোনোভাবেই ৩০% অতিক্রম করতে
দেওয়া যাবে না অর্থাৎ ঘেরের শ্যাওলা তুলে ফেলে দিতে
হবে। পানির পিএইচ সকাল সাতটায় বিকেল তিনটায়
মেপে দেখতে হবে। পিএইচ ০’৫ এর বেশি ওঠানামা করলে খুব সকালে বা সন্ধ্যায় একর প্রতি ১২-২৫ কেজি
(পানির গভীরতা অনুযায়ী)ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ও
৪-৬ কেজি সোডিয়াম বাই কার্বোনেট (খাওয়ার সোডা)
প্রয়োগ করতে হবে। এলকালিনিটি ৬০ পিপিএম এর
কম হলে ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে পানির গভীরতা বাড়াতে
হবে এলকালিনিটি ৮০ পিপিএম এর বেশি হলে জোয়ারের পানি দিয়ে পানির গভীরতা বাড়াতে হবে।
চিংড়ির Mussel cramp দেখা গেলে একর প্রতি ৪-৬
কেজি পটাসিয়াম ক্লোরাইড অথবা এমওপি সার
(১-১’৫ পিপিএম হারে) সন্ধ্যায় পানিতে গুলে প্রয়োগ করতে হবে। ঘেরে ব্যপকভাবে চিংড়ি মড়ক দেখা দিলে
চিংড়ি ধরে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। রোগাক্রান্ত
চিংড়ি চিকিৎসার জন্য অকারণ টাকা করলে আর্থিক
ক্ষতির সম্ভাবনা খুব বেশি।
শুভ কামনা সকল চিংড়ি ও মাছ চাষীদের জন্য।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন।

সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরে এরা। চলে যায় একেবারে গ্রামের ভিতর। পুরাতন কাগজ, বই, কার্টুন, পুরাতন টিন, নষ্ট বোতল, নষ্ট প্লাস্টিকের কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাল সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে আসে তাদের মহাজনের কাছে। মহাজন সেগুলো একটা দাম ধরে কিনে নেয়।

কথা হলো শহিদুল নামের একজনের সাথে। মোটামুটি যা হয় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার । তারপর মহাজন সেগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কাগজ আলাদা, টিন আলাদা, লোহা আলাদা। মহাজনের রয়েছে ৩ জন লোক। তাদের কাজ এগুলো বাছাই করা বস্তায় ভর্তি করে ওজন দেয়া। তারপর সেগুলো যাবে রাজশাহী বিসিক এলাকায়, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো কিনে নিয়ে। তারা আবার এগুলো নিয়ে, মেশিনের সাহায্যে কুচি, কুচি করে ঢাকাতে পা ঠায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। ঢাকা যাবে আবার এগুলো বিভিন্ন জায়গায়। এসব দিয়ে আবার নতুন করে জিনিস তৈরি করা হবে। এই ভাবে চলে কিছু মানুষের জীবন জিবিকা।এই পুরাতন জিনিস গুলো আবার নতুন রুপে বাজারে আসবে, এই রিসাইকেল হয়ে ।

সিংগাইরে সন্ত্রসীরা হামলা চালিয়ে ভেঙে দিলো সাংবাদিকের হাত।

মানিকগঞ্জের সিংগাইর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি এবং দৈনিক ফুলকির স্টাফ রিপোর্টার মাসুম বাদশার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তার বাম হাত।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০ টার দিকে উপজেলার ধল্লা বাজারস্থ তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ধল্লা পল্লী উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার অফিসে ঢুকে ধল্লা মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম (৫৩) এর নেতৃত্বে ধল্লা লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন গাদুর ছেলে হুমায়ন (৪০), তুফান আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন (৪০), কাউছারের ছেলে জিসান (২২) ও জোনাব আলীর ছেলে ওয়াজ উদ্দিন (৪৫) সহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন দা,চাপাটি, লোহার রড ও লাঠিশোটা নিয়ে সাংবাদিক মাসুম বাদশা’র ওপর হামলা চালায়। এলোপাথাড়ী মারপিটের সময় হুমায়নের রডের আঘাতে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। এ সময় আনোয়ার দা দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেয়, যা ডান হাতের কব্জিতে লাগে। তার ডাক চিৎকারে ওই অফিসের লোকজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক মাসুম বাদশাহ বলেন, হামলাকারীরা এলাকার মাদসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত । তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সেকেন্ড ইন কমান্ড হুমায়নের ভাই ও বোনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক ফুলকি পত্রিকায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। এরই জের ধরে তারা হামলা ও হত্যার পরিকল্পনা করে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তারা খোলোশ পাল্টে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দিয়ে অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং আমার কাছে চাঁদাদাবি করে। সংবাদ প্রকাশ ও চাঁদা না দেয়ার জের ধরে আমাকে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

এ দিকে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সিংগাইর প্রেসক্লাবের এক জরুরি সভায় নিন্দা প্রস্তাবে জড়িতদের শাস্তি দাবি করা হয়। এ ছাড়া সিংগাইর ও মানিকগঞ্জের অগনিত সাংবাদিক এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার খবর শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ