আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

মৌলভীবাজার:

শ্রীমঙ্গল ‘পর্যটন কল্যাণ পরিষদ’ নামক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ।

তিমির বনিক মৌলভীবাজার:

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ‘পর্যটন কল্যাণ পরিষদ’ নামক সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও আত্মপ্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার রাধানগর গ্রামে পর্যটন কল্যাণে ব্রীজের নিচে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করার মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রমের সূচনা লগ্নের মাধ্যমে এর আত্মপ্রকাশ করা হয়।

গত সোমবার (১লা এপ্রিল) উপজেলার রাধানগরে অবস্থিত চামং রেস্টুরেন্ট এন্ড ইকো ক্যাফেতে আয়োজিত এক সভায় ‘পর্যটন কল্যাণ পরিষদ’ রাধানগর, শ্রীমঙ্গল নামক সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে কুমকুম হাবিবাকে আহ্বায়ক ও মো. তারিকুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়। অন্যান্যরা হলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শামসুল হক, সদস্য তাপস দাশ, মো. শহীদুল হক, তানভীর লিংকন, নাজমুল আহসান মিরাজ।

সংগঠনের সদস্যরা জানান, ‘শ্রীমঙ্গল পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র রাধানগর গ্রাম। এই গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা। ১ থেকে ৫ তারকা পর্যন্ত প্রায় অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন হোটেল, মোটৈল রিসোর্ট, ইকো কটেজ, রেস্টুরেন্ট এখন এই ছোট্ট রাধানগর গ্রামেই। কিন্তু এখানে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, সারা বছর এখানে বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে। এছাড়া এই রাধানগর গ্রামকে ঘিরে রয়েছে অনেক চা বাগান, উঁচুনিচু টিলা, পাহাড়ি আঁকাবাঁকা গ্রামীণ জনপদ, আনারস বাগান, লেবু বাগান এবং অসাধারণ এক ঝিরি/ছড়া বয়ে চলেছে, যা খুব সহজেই পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। কিন্ত এই ঝিরিতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এর ময়লা, বাসাবাড়ির ময়লা ফেলে পুরো ঝিরি জুড়েই পরিনত হয়েছে আবর্জনার বাগাড়।

আরো জানান, ‘রাধানগর এলাকায় প্রবেশের পরই কিছু দূর সামনে এগুলে চোঁখে পড়ে এক অসাধারণ সুন্দর ব্রীজ। এই ব্রীজের নিচে একসময় স্থানীয় মানুষ এসে বসতো, গল্প করতো এবং ঝিরির পানির ধারার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতো। কিন্তু এখন এই ব্রীজের নিচ ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। তাই এই গ্রামের পর্যটনকে সমৃদ্ধ করতে এবং একটি মডেল ইকো ট্যুরিজম ভিলেজ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অত্র গ্রামের সকল পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে গত ১লা এপ্রিল ‘পর্যটন কল্যাণ পরিষদ’ নামে এক সংগঠন গঠন করা হয়।’

সদস্যরা বলেন, ‘আসন্ন ঈদকে ঘিরে এই গ্রামে ব্যাপক পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যাবে। কিন্তু রাধানগরে প্রবেশ করেই ব্রিজের নিচে এই ময়লার স্তুপ খুব সহজেই পর্যটকদের নজর কারবে। তাই রাধানগর গ্রামের পর্যটন কল্যাণের প্রথম ধাপ হিসেবে সেই ব্রীজের নিচের সকল আবর্জনা পরিষ্কার করে এই সংগঠনের কার্যক্রমের সূচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধারাবাহিকভাবে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে যতদিন পর্যন্ত এই গ্রাম একটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসেবে রুপান্তরিত না হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হোসেনপুরে বিএনপি নেতার খাবার বিতরণ।

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায়-কিশোরগঞ্জের-হোসেনপুরে পাঁচশত অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠ পৌর বিএনপির সভাপতি একে. এম. শফিকুল হক শফিকের উদ্যোগে নতুন বাজার মোড়ে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সেলিম, পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার মাসুম বাবুল, পৌর ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল খালেক, পৌর ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পৌর ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি আবুল কাশেম, উপজেলা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোল্লা, জেলা জাসাস সদস্য স্বপন মিয়া, পৌর সদস্য সচিব রিমন মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক পৌর রুমান মিয়া,

পৌর বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জজ মিয়াসহ পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।এ সময় পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়। এ কর্মসূচিতে অবস্থিত অসহায় মানুষরা খাবার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ