আজঃ বৃহস্পতিবার ২২ মে, ২০২৫

কিশোরগঞ্জ:

হোসেনপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচাতো ভাইকে ছুরিকাঘাতে খুন।

তৌহিদুল ইসলাম সরকার স্টাফ রিপোর্টার:

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সবুজ মিয়া (৪৭) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।

মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দপুর বাঘারিচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

নিহত সবুজ মিয়া ও গুরুতর আহত হারেছ মিয়া হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দপুর বাঘারিচর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ (মধুর বাপের) ছেলে।

হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফসলি জমি নিয়ে নিহত সবুজ মিয়া ও হারেছ মিয়ার সাথে তাদেরই চাচাতো ভাই হাকিম এবং চাচা গফুর মাস্টারের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিলো। এ জমি নিয়ে মামলাও মোকদ্দমা চলছে। মঙ্গলবার সকালে তাদের মধ্যে বিরোধপূর্ণ ফসলি জমি নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। পরে এর জের ধরে বিকেল তিনটার দিকে হাকিম, গফুর মাস্টারসহ ৮-১০ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সবুজ মিয়া ও হারেছ মিয়ার ওপর হামলা চালায়। এতে সবুজ মিয়া ও হারেছ মিয়া গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার ছোট ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন।

নিহত সবুজ মিয়ার চাচা আব্দুল লতিফ কাজল বলেন, সবুজ মিয়া, হারেছ মিয়া এবং তাদের চাচাতো ভাই ও চাচার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ। আজ যে ঘটনা ঘটেছে তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমি সবুজ হত্যার বিচার চাই।

হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সবুজ মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পতেঙ্গায় ধর্ষন মামলার আসামি গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার ধর্ষণ মামলার এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ওই আসামী হলেন, মো. আনিসুল ইসলাম রিকনকে (২৮)। আনিসুল ইসলাম রিকন কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার সিকদার বাড়ির মো. ছাবেরের ছেলে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পতেঙ্গা থানাধীন বিজয়নগর এলাকা থেকে খুলশী থানার ধর্ষণ মামলার আসামি আনিসুলকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে খুলশী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নেত্রকোনায় পাহাড় না কেটেই রাস্তায় উন্নয়ন।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের একটি পুরোনো পাহাড়ি পথকে চলাচলযোগ্য করতে গিয়ে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ উঠলেও স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি, কাটা হয়নি গাছও। সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছগুলো সরিয়েই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী সুবেন ঘাঘড়ার টিলা থেকে চৈতানগর মহসিন মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ কয়েক দশক ধরে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এবং পর্যটকদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্ষায় কাঁদায় মাখা পিচ্ছিল এই পথে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে স্থানীয় প্রশাসন কাবিখা প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির সমতলকরণ ও মাটি ফেলার কাজ শুরু করেছে।

লেংঙ্গুরা ইউপি চেয়ারম্যান ও কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “এটি বহু পুরোনো চলাচলের রাস্তা। এখানে কোনো নতুন পাহাড় কাটা হয়নি। ঝড়ে ভেঙে পড়া কিছু গাছ রাস্তা থেকে সরিয়ে সংস্কারকাজ চলছে। এলাকাবাসীর বহুদিনের চাওয়া ছিল এই পথটি উন্নয়ন করার—এখন সেটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে।”

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের গা ঘেঁষা পুরোনো এই পথে মাটি ফেলে সমান করা হয়েছে। আশপাশে পাহাড় কাটা বা গাছ কাটার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, এটি পুরোনো পথ, নতুন করে কিছুই ধ্বংস করা হয়নি।

এই পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন নব্বই বছরের ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর সদস্য সুবেন মানখিন। তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে এই রাস্তা দিয়ে বাবা-দাদার সঙ্গে চলাফেরা করেছি। অনেক কষ্ট করে চলতে হতো। এখন রাস্তা সংস্কার হওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

স্থানীয়রা—তপন সাংমা, চুহিন হাজং, জুই ঘ্রা, পীযূষ বণিক ও রফিকুল ইসলাম—সবাই বলেন, “এটি পুরোনো রাস্তা, নতুন করে কিছুই কাটা হয়নি। বরং আমাদের চলাচলের সুবিধার জন্য যেই পথে আমরা আগে চলতাম, সেটাই উন্নয়ন করা হচ্ছে। এজন্য আমরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।” একইসঙ্গে তারা রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানান সরকারের কাছে।

এ বিষয়ে লেংঙ্গুরা বনবিভাগের বিট অফিসে কর্মরত বনরক্ষী আখতারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, “এই রাস্তা পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ও পর্যটকদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। পুরোনো রাস্তাটিকে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন করে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি।”

স্থানীয়দের অভিমত, উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনগণের স্বার্থ—উভয়কেই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই প্রকল্পে সেই ভারসাম্য বজায় রেখেই কাজ হচ্ছে বলে তারা মত দিয়েছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ