
শিকড় থেকে ছিটকে পড়া হাজারো ভাসমান ছিন্নমূল নদীশিশুদের কথা আমরা খুব কমই জানি। এই শিশুরাই হবে আগামীর বাংলাদেশ অথচ এভাবে বেড়ে উঠা নদী শিশুদের অন্ন, বস্র,বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের জন্য হাহাকার ও আর্তনাদ যমুনা পাড়ের বাতাস ভারী হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
কারা এই নদী শিশু ?

নদীভাঙনে যমুনার বিস্তীর্ণ দুই পাড়ে ঠাঁই নেওয়া হাজার হাজার ছিন্নমূল ভাসমান নি:স্ব পরিবারের ভাগ্যাহত শিশুদের যাপিত জীবন আর দুঃখের দহনে করুণ রোদনে তীলে তীলে ক্ষয়ে যাওয়া স্বপ্নের খসখসে বাস্তবতাই-নদীশিশু। অভাব অনটন আর অবহেলাই যাদের একমাত্র নিয়তি। কারো বাবা নেই, থাকলেও মায়ের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। কারো মা নেই। কারো মা প্রবাসে থাকেন, কারোর মা আবার ঢাকায় গার্মেন্টসের সেলাই দিদি। সকাল থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত যমুনা পাড়েই এরা পড়ে থাকে। কেউ ছাগল চড়ায়, কেউ গরু চড়ায়, কেউ মাছ ধরে, কৃষি জমিতে কাজ করে, এভাবে কোন না কোনভাবেই যমুনা তীরেই কাটে এদের দিনমান।
নদীশিশুদের পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের মাঝে কিছুটা আনন্দ ছড়িয়ে দিতে কোয়ালিটি লাইফ ফাউন্ডেশন ইতিমধ্যে স্থানীয় সংগঠন তৃনমূল দারিদ্র নির্মূল পরিষদের সহযোগিতায় প্রায় দেড় শতাধিক নদী শিশুদের তালিকা সম্পন্ন করেছে এবং তাদের জন্য আগামীকাল ঈদ আনন্দ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে । যমুনার পাড়ে তাদের জন্য দুপুরে চিকেন বিরিয়ানি রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে আর সাথে থাকবে ডিম, ড্রিংক্স ও সালাদ । দুপুরের আগে থেকে চলবে নদীতে সাঁতার প্রতিযোগিতা আর বিকেলে চলবে দৌড় প্রতিযোগিতা এবং প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও পুরষ্কার বিতরণ। সাথে থাকবে চরের তরমুজ, জুস, ক্যান্ডি ।
