আজঃ মঙ্গলবার ২০ মে, ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব
‘এই বৈশাখে বৈশ্বিক বৈভবে’এঅন্চলের গানগুলোকে ধারণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বাঙালির শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলা নববর্ষ’ দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখের গান ও নৃত্য, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা, কাবাডি খেলা, বউচি খেলা, জারুলতলার বৈশাখী মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং ব্যান্ডদল ‘বে অব বেঙ্গল’-এর মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশনা। সকাল ১০:৩০ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বর (জিরো পয়েন্ট) থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের এর নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে চবি জারুলতলায় বৈশাখী মঞ্চে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে চবি জারুলতলার বৈশাখী মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বৈশাখী মঞ্চে জাতীয় সংগীত, বৈশাখের গান ও নৃত্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী পর্বের সূচনা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ কেন্দ্রীয় উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী ও চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ কেন্দ্রীয় উদ্যাপন পরিষদের সদস্য-সচিব ও চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি সিনেট সদস্য ও চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক, চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, চবি অফিসার সমিতির সভাপতি রশিদুল হায়দার জাবেদ, চবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ সুমন (সুমন মামুন) এবং চবি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী হোছাইন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য ও চবি অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তন্ময়ী হাসান। সকাল ৯ টায় ‘বাংলা নববর্ষ’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। এতে চবি মাননীয় উপ-উপাচার্যদ্বয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত সকলকে বাংলা নববর্ষের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। বাংলা নববর্ষ আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবন ধারার সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। বিশ্বায়নের প্রভাবে আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য-মূল্যবোধ সাংস্কৃতিক চর্চাকে উৎসাহিত করতে পহেলা বৈশাখের প্রভাতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার আজ আনন্দে উদ্বেলিত। উপাচার্য বলেন, “বিগত বছরের সমস্ত গ্লানিকে মুছে ফেলে অতীতের গৌরব ও সৌন্দর্যকে পুজিঁ করে বর্তমান কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও ভবিষ্যত অগ্রযাত্রায় আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। সামনে থাকা অফুরন্ত স্বপ্ন ও অনন্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে তুলতে হবে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ’। তিনি আরও বলেন, “এসো সবাই বৈশাখের নবজাগরণে নতুন উদ্যেমে জেগে উঠি। উপাচার্য নতুন বছরের নতুন দিনে এ বিশ^বিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং বিশ্ব র‌্যাংকিংএ নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে প্রত্যেকে দ্বায়িত্ব স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সম্পাদনের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

দিনব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে চবি মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা, বুদ্ধিজীবী চত্বরে কাবাডি খেলা ও চাকসু প্রাঙ্গণে বউচি খেলা। বিকেলে জারুলতলার বৈশাখী মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং ব্যান্ডদল ‘বে অব বেঙ্গল’-এর মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশনা। সবশেষে মাননীয় উপাচার্য গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী আয়োজন সমূহে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, চবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, অনুষদ সমূহের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি এবং ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি -চট্টগ্রাম,রহমতগঞ্জের আহ্বায়ক কমিটি গঠন।

বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি -চট্টগ্রাম,রহমতগঞ্জের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সর্বস্তরের ঠিকাদারদের অনাস্থাজনিত কারণে বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি, চট্টগ্রাম জোন, রহমতঞ্জ চট্টগ্রামের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে উক্ত এডহক কমিটি

অনুমোদন দেয়া হয়। বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সামছুল কাউনাইন(কুতুব) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে চট্টগ্রাম জোনাল কমিটি বিলুপ্ত করে প্রস্তাবিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি আগামী ৬ মাসের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির তিন সমদস্য হলেন,মেসার্স ইমাম হোসেনের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ ইমাম হোসেন, মেসার্স হাবিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী

মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মেসার্স ঐশী এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী এস.এম. আবু ছালেহ। চিঠিতে অনুমোদিত এডহক কমিটি ৬ মাসের মধ্যে সমিতির কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি নির্বাচিত করার কথা বলা হয়।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতির (রেজিঃ নং-টি.ও-৩২৮(১৬)-৯৪) এর আওতাধীন বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি, চট্টগ্রাম জোন, রহমতঞ্জ।

ভোলা- বরিশাল সেতু দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৮ দাবি নিয়ে মানববন্ধন

চট্টগ্রামস্থ ভোলাবাসীর সর্ব ঐক্য মানববন্ধন সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। ভোলা জেলা সমিতি-চট্টগ্রাম এর সহযোগিতায় মানববনআধন থেকে ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো, ভোলা-বরিশাল সেতুর কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন, চট্টগ্রামে অবস্থানরত সকল ভোলাবাসীর সুবিধার্থে ইলিশা-মতিরহাট ফেরী ঘাটের কাজ বাস্তবায়ন, ভোলার প্রত্যেক ঘরে ঘরে গ্যাস লাইন দ্বারা ভোলায় উত্তোলিত গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ, নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় ভোলার চতুর্দিকে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ,

বিদ্যমান জরাজীর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও উন্নতমানের হাসপাতাল স্থাপন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারি উদ্যোগ, গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কলকারখানা স্থাপন, চরাঞ্চলের উন্নয়নে গবেষণা ভিত্তিক উদ্যোগ।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামস্থ ভোলাবাসির সর্ব ঐক্য মানববন্ধন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক লায়ন আতিকুল্লাহ বাহার। যুগ্ম আহবায়ক মো: ফিরোজ চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক কিরন শর্মা, সদস্যসচিব- মাহবুবুর রহমান সেলিম, যুগ্ম সচিব আলী আজগর, সদস্য (অর্থ) কাঞ্চন মাঝি,সদস্য (মিডিয়া) নুরুন্নবী শাওনসহ ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। মানবন্ধনে ভোলা জেলা সমিতি-চট্টগ্রাম সহ ভোলার ২৫ টি পেশাজীবী সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন -অন্তবর্তী সরকার ভোলা – বরিশাল সেতু আগামী জানুয়ারি ২০২৬ উদ্বোধন করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এজন্য একনেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেয়ার জন্য মানব বন্ধন
থেকে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

জেলা ভোলায় প্রাকৃতিক গ্যাস খনি রয়েছে। এখানকার গ্যাস সম্পদ রয়েছে ব্যবহারের জন্য জনপদের মানুষ দাবিদার।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ