আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

দেবহাটায় ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ৪ বার গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগ

দেবহাটা( সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

 দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ৪ বার গর্ভের সন্তান নষ্ট সহ শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে (১৫ এপ্রিল) দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শামিমা খাতুন (২১) নামের ওই ভূক্তভোগী নারী।
ভূক্তভোগী নারী জানান, আনুমানিক ৩ বছর পূর্বে ভেন্নাপোতা গ্রামের মোশারফ হোসেনের পুত্র ও কুলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদুর রহমান (জুয়েল) সাথে ইসলামী শরিয়াত অনুযায়ী বিবাহ হয়। বিবাহের পরে জানতে পারি জুয়েলের আরো স্ত্রী আছে। তার স্ত্রী থাকা পরেও
বিষয়টি গোপন রেখে আমাকে বিবাহ করে। বিষয়টি নিয়ে কমবেশি সংসারে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। দাম্পত্য জীবনে ঔরসে আমার গর্ভে বিভিন্ন সময় ৪টা সন্তান আসে। কিন্তু যতবার সন্তান আসে ততবার সে বিভিন্ন বাহানায় ঔষধের মাধ্যমে গর্ভপাত করায়। আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক সন্তান নষ্ট করেও সে থেমে থাকেনি। তাছাড়া বিবাহের পর থেকে সে ঠিকতম ভরন পোষণ না দিয়ে উল্টো কারণে অকারণে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন দিয়ে আসছে। তার নির্যাতন সয্য করতে না পেরে ১৫দিন পূর্বে তালাক প্রদান করি। কিন্তু তালাক দেওয়ার পর থেকে জুয়েল ও তার ভাই জিল্লুর রহমান আমাকে জীবন নাশের হুমকীসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতির হুমকী দেখিয়ে আসছে। গত ১০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে আমি ভেন্নাপোতা গ্রামে আমার নানী সফুরা খাতুন (৬০) এর বাড়িতে অবস্থান করি। জুয়েল সেখানে এসে আমাকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে জখম করে চলে যায়। বিয়ষটি নিয়ে কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে জানানো হয়েছে। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা ও ডিবি পুলিশ দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
জাহিদুর রহমান (জুয়েল) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কি বলবো, আমি কিছুই করিনি।
এ বিষয়ে কুলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আছাদুল হক বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন জঘন্ন কাজ করায় আমি নিজেও লজ্জিত। তালাক দেওয়ার পরও সেই স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন বিষয় মেনে নেওয়ার মত না। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কাপাসগোলায় টিসিভি টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শনে যুগ্ম সচিব

‘টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধ করব টাইফয়েড মুক্ত বাংলাদেশ গড়বো’Ñশ্লোগানে ১লা নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত কমিউনিটি পর্যায়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে স্বাস্থ্য বিভাগে ৪১টি ওয়ার্ডের সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরে কম বয়সে সকল শিশুকে বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা দেয়া হচ্ছে।

১৬নং চকবাজার ওয়ার্ডে নাজমাঈ ডেমিরেল সিটি কর্পোরেশন দাতব্য চিকিৎসালয় গতকাল ঢাকা হইতে আগত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (জনসাস্থ্য) ডা. শিব্বির আহমেদ ওসমানী কাপাসগোলা ইপিআই জোনের অধীন দেবপাহাড সমাজসেবা কার্যালয়ে ঞঈঠ টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন ও দেবপাহাড সংলগ্ন বস্তিতে জঈগ করেন, সাথে ছিলেন ডা. ইমং প্রু, ডিভিশনাল কো-ডিনেটর (ডঐঙ), ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, চসিক ও ডা. খাদিজা আহমেদ, ঝওগঙ(ডঐঙ)। এ সময় কাপাসগোলা জোনের ইপিআই টেকনিশিয়ান ও বেসরকারি সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

নেত্রকোনায় হুইল চেয়ার বিতরণ।

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানীতে অংশ নিয়ে গত বুধবার তিনজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের নিকট হুইল চেয়ারের আবেদন করেন।

এরই প্রেক্ষিত মঙ্গলবার সকালে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম সরদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুন মুন জাহান লিজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন, সর্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা বিনতে রফিক, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা সঞ্জীব চক্রবর্তী প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, প্রতি বুধবার জেলার বিভিন্ন এলাক হতে আগত সাধারন নাগরিকদের জন্য গণশুনানীর কার্যক্রম চলমান থাকবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ