আজঃ রবিবার ১৬ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে স্বর্ণের বড় চালান উদ্ধার ঃ আটক ৩ যাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে স্বর্ণের বড় চালানসহ ৩ যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজার চকরিয়ার মোবারক আলি, সাতকানিয়ার মোহাম্মদ নাজমুল হক এবং সন্দ্বীপের মোহাম্মদ আনোয়ার শাহ।গতকাল সোমবার সকালে সন্দেহ হলে এনএসআই ও কাস্টমস এর যৌথ অভিযানে তল্লাশির মাধ্যমে ৩ জন যাত্রীর কাছ থেকে নিখাঁদ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

এনএসআই ও কাস্টমস সূত্র জানায়, আনুমানিক ১ কেজির উপরে স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। তারা এই স্বর্ণ তাদের কাপড়ে পেস্টিং করে কম্বলের ভিতরে মুড়িয়ে সুকৌশলে লুকায়িত অবস্থায় বহন করছিল। ইতোপূর্বে, উক্ত যাত্রীরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ইএ-১৪৮ ফ্লাইট যোগে দুবাই থেকে সকাল সাড়ে ৬টায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিষয়টি নজরাধীন বলে তারা জানায়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য রুয়েট ছাত্রের

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(রুয়েট)স্থাপত্য বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ওয়াকার কামাল অতুল নামে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(ফেসবুক) ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সমালোচনা ও প্রতিবাদ করতে দেখা দিয়েছে।

কয়েকটি ফেইসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, তার ফেইসবুক আইডি থেকে গত ১৩ই মার্চ একটি পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে হজকে পূজার সাথে তুলনা করে এবং কাবা শরীফকে অবমাননা করে পোস্ট পরিলক্ষিত হয়।

পোস্টের ক্যাপশনে তিনি মন্তব্য করে বলেন, “একুশে ফেব্রুয়ারিতে ফুল দিয়ে খাম্বা পূজা করা হারাম, কিন্তু সেই খাম্বা cubic হলে সেটার পূজা করা আরাম।”

তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুক) প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সেখানে কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফিফ রহমান নামে একজন লিখেছেন,“সারকাজম করতে করতে আমরা রুয়েটিয়ান রা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছি না?? বাকস্বাধীনতা আছে বলেই যা ইচ্ছে তাই বলতে পারি?? নিদিষ্ট কোন ব্যক্তি নিয়ে মজা করতে গিয়ে পবিত্র “কাবা ঘর”কে – cubic খাম্বা এবং “হজ্জ” করাকে – পুজা করার সাথে তুলনা করা কোন পর্যায়ের অসুস্থ মস্তিষ্কের উদাহরণ..!!!”

আশিকুর রহমান আশিক নামে যন্ত্রকৌশল ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের একজন লিখেছেন, ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ যেন দ্বিতীয়বার আর কেউ সুযোগ না পায়।’

রাকিব রহমান নামে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ২০২০-২১শিক্ষাবর্ষের অন্য একজন লিখেছেন,“ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং কাবা ঘর ও হজ্ব সম্পর্কে কটূক্তি করায় উপযুক্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

ফাহিমুল হাসান নামে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন,“আর্কিটেকচার ২০ এর অতুল আমাদের পবিত্র কাবাশরিফ নিয়ে যেভাবে কটূক্তি করেছে এটা কখনোই কাম্য নয়!এই ইসলাম অবমানাকারীর বিরুদ্ধে কঠোর স্টেপ নেয়ার জন্য আমার ভার্সিটির প্রশাসন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!আমার প্রিয় বন্ধু বান্ধব, সিনিয়র,জুনিয়র সবাইকে এই ইসলাম অবমানকারীর বিরুদ্ধে এক হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি!”

উক্ত বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর মো.রবিউল ইসলাম সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,“ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানা রাষ্ট্রীয় অপরাধ,সে খুব খারাপ কাজ করেছে।এমন কর্মকাণ্ড সমাজের শান্তি বিনষ্ট করার আশঙ্কা সৃষ্টি করে।”

এদিকে ধর্মীয় অবমাননার কারণে তাঁর সহপাঠীরা তার ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানিয়েছে,পাশপাশি ফৌজদারি অপরাধ করার দায়ে প্রশাসনকেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাতে দেখা গিয়েছে অনেককে।

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সালিসীদের বাঁধার মুখে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রীর পরিবার আইনি সহায়তা নিতে পারছেন না!

সালিসীদের বাঁধার মুখে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রীর পরিবার আইনি সহায়তা নিতে পারছেন না!অভিযুক্তর নাম, মানিক লাল দাস (৩০)। সে সুনামগঞ্জের শাল্লার উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের পুটকা গ্রামের প্রভাবশালী সুদর্শন দাসের গুণধর ছেলে।

শনিবার শাল্লার ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় এলাকার লোকজন জানান, শাল্লার প্রত্যন্ত এলাকায় স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া দরিদ্র পরিবারের এক শিশু কন্যাকে তাদেও বাড়ির পাশেই মায়ের সামনে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধায় উপজেলার পুটকা গ্রামের বখাটে মাদকাসক্ত মানিক লাল দাস জোর পূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।

বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার রাতেই পুটকা গ্রামে থাকা ভিকটিমের এক আত্বীয়ের বাড়িতে সালিস বৈঠকে বসেন গ্রামের তিন পাড়ার কয়েকজন প্রভাবশালী সালিসীগণ।
ওই সালিস বৈঠকে স্থানীয় ইউপি সদস্য দ্বিজেন্দ্র সহ গ্রাম্য সালিসী রণজিৎ সরকার,বকুল দাস,বিকাশ দাস, সচিন্দ দাস, রানু দাস, কৃষ্ণপদ দাস, রাজ কুমার দাস, সোম চাঁদ দাস, সুনিল দাস, ইন্দ্রজিৎ দাস, সজল দাস, আশিষ দাস কেনু দাস সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী পরিবারের বখাটে মানিক লাল দাসকে সালিস বৈঠকে আনা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে সালিসীগণের সামনে মানিক উপস্থিত হলেও ছিলেন নেশাগ্রস্থ্য। ভবিষ্যতে এ ধরণের আর কোন ঘটনা ঘটাবেনা মানিক, ভিকটিমের পরিবার যেন থানায় গিয়ে অভিযোগ না করে এসব বলে কোন রকম ধামাচাঁপা দিয়ে সালিসের সমাপ্তি ঘটে ওই রাতে।

তবে এ ধরণের ঘটনায় ধামাচাঁপা বিষয়টি কোন কোন সালিসীগণ এমনকি গ্রামের মানুষজন অনেকটা উদ্ভেগ প্রকাশ করে বললেন, এঘটনার পুর্বেও গ্রামে কমপক্ষে তিনটি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটিয়েছে মানিক লাল দাস। বরাবরই পারিবারীক প্রভাবে প্রতিটি ঘটনা এভাবেই ধামাচাঁপা দেয়া হয়েছে।

শনিবার শাল্লার পুটকা গ্রামে গেল বৃহস্পতিবার রাতে সালিসে উপস্থিত থাকা রণজিৎ সরকার বলেন, সালিসে আমি একা নই ইউপি সদস্য দ্বিজেন্দ্র বাবু সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সালিসীগণ গ্রামবাসীকে নিয়ে সালিসে বসার পর অভিযুক্ত মানিককে সালিনস বৈঠকে উপস্থিত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নেশাগ্রস্থ্য হয়ে সালিসীগণ ও গ্রামবাসীর সামনে উপস্থিত হয়েছেন মানিক লাল দাস।

শাল্লার পুটকা গ্রামে সালিস বৈঠকে থাকা বিকাশ দাস বলেন, ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি এভাবে ধামাচাপা দেয়া আদৌ ঠিক হয়নি। তিনি আরো বলেন, গ্রামের অনেক নারী , কিশোরী, শিশুকন্যারা মানিক লাল দাসের ভয়ে শঙ্কিত হয়ে বসবাস করছেন।

শাল্লায় প্রত্যন্ত গ্রামে যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া শিশুকন্যা ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বললেন, এরকম ঘটনা শুনে মর্মাহত হয়েছি, ভিকটিমকে আইনি সহায়তা দিতে আইন শুস্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করি, যেন ভবিষ্যতে এ ধরণের অপকর্ম করার মত দু:সাহস দৃষ্টতা যেন কেউ দেখাতে না পারে, এসব ঘটনা যেন আর দেশবাসীকে আর দেখতে হয় না হয় ।

শনিবার ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর পরিবার জানায়, আমরা আইনি সহায়তা পেতে থানায় াভিযোগ করতে চাইলেও গ্রাম্য সালিসীগণের কারো কারো নিষেধ থাকায় থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে পারছিনা।
শনিবার সকালে জানতে চাইলে শাল্লা থানার ওসি মো..শফিকুল ইসলাম বলেন,এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চালিয়েও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ