আজঃ শনিবার ১৭ মে, ২০২৫

দেবহাটায় ফলন্ত আম গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:

 দেবহাটার হাদিপুুরের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যর ফলন্ত আম গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ প্রতিকার পেতে ওই ভূক্তভোগী সন্যাসির চক গ্রামের মৃত গহর আলীর ছেলে আবু তালেব গাজী স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবু তালেব গাজী জানান, দেবহাটার রামনাথপুর মৌজার এসএ-২৭, বিআরএস- ২১০৩ নং খতিয়ানে এসএ-২৭৯২/৫৪৭৪ দাগে ১৬ শতক, এসএ-২৭৯১/৫৪৭৫ দাগে ১৪ শতক জমি ক্রয় করেন। ১৬ শতক জমির মধ্যে বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে। সম্পত্তি কেনার পর থেকে সে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু গত ২০ এপ্রিল ওই জমিতে থাকা একটি ফল সহ আমগাছ রামনাথপুরের ফরমান পেয়াদার ছেলে এছাক পেয়াদা কাউকে কিছু না বলে গোপনে গাছ কেটে আত্নসাৎ করার চেষ্টা করে। পরে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ততক্ষণে গাছ কেটে ফেলা হয়। পরে বাধা দিলে এছাক সহ তার লোকজন হুমকি ধামকি দিতে থাকে। বিষয়ে নিয়ে হাদিপুর ব্লাড ব্যাংক সংগঠনকে জানায়। তারা গিয়ে নিষেধ করলে কাটা আম গাছ ফেলে রেখে চলে যায়। তিনি আরো বলেন, সরকার যেখানে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করছে সেখানে দিনদুপুরে আমার জমির উপরের ফল ধরা আম গাছ কেটে ফেলেছে। আমি সরকারের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী হয়ে আইনের প্রতিশ্রদ্ধা দেখিয়ে বিষয়টি গ্রাম্যপর্যায়ে শালিশের মাধ্যমে মেটানোর জন্য হাদিপুর ব্লাড ব্যাংক এ একটি অভিযোগ দিয়েছি। তারা উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষ এছাক কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। কিন্তু এতদিন সয্য করে আসছি, এবার ফল ধরা আম গাছ কেটে ফেলায় তিনি মর্মহত হয়েছেন বলে জানান।
অভিযুক্ত এছাক পেয়াদার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জমির গাছ আমি কেটেছি তাতে কার কি করার আছে।
এবিষয়ে হাদিপুর ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি আল-আমিন হোসেন জানান, ঘটনার দিন আমরা খবর পেয়ে ওই জমিতে গিয়ে দেখি একটি আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছটিতে অনেক আম ধরেছিল। পরে গাছ কেটে না নিয়ে যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শক্রমে উভয় পক্ষকে নোটিশ করে বসাবসির মাধ্যমে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। পরে নির্ধারিত দিন বাদিপক্ষ হাজির হলেও বিবাদী উপস্থিত হননি। যেহেতু জমিটি নিয়ে একটু ঝামেলা রয়েছে। তাই স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে মাপ জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্প ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

তথ্য উপদেষ্টার উপর হামলার ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও সিএমইউজে’র নিন্দা ।

রাজধানীর কাকরাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সাথে লক্ষ্য করে অনাকাংক্ষিত ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি এক বিবৃতিতে এমন ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ বর্তমান সরকার গঠিত হয়েছে ছাত্র জনতার অসীম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে সরকারের একজন উপদেষ্টার ওপর হামলাকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে।

বিবৃতিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ বলেন ভিন্নমত ও দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কোন অপরাধ নয়, এটি নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। তবে দাবি আদায়ের নামে প্রকাশ্যে মাহফুজ আলমের মতো একজন উপদেষ্টা কে লাঞ্চিত করা আইনের চরম অবমাননা

গণমাধ্যমে পাঠানো আরেক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান বলেন, ‘ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যে কেউ নিজের দাবি জানাতে পারেন—এটি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। তবে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির উপর হামলা পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের দুর্বৃত্তায়ন রীতিকে পুনরায় উসকে দেবে। আন্দোলনের নামে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা – সহিংসতার প্রচেষ্টা রুখে দিতে হবে। আমরা তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন- বৈশ্বিক আন্দোলনের মতোই বাংলাদেশে দাবি আদায়ের আন্দোলনও সরলরৈখিক নয়। তার আছে নানান বাঁক। সাফল্য-ব্যর্থতার ইতিহাস। কিন্তু দাবি আদায়ের আন্দোলনের কোন পর্যায়ে এমন বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা গ্রহনযোগ্য নয়। ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানোর হাতছানি সত্ত্বেও নানামুখী ষড়যন্ত্রে আবার মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অনেক কষ্টার্জিত সাফল্য ধরে রাখতে অব্যাহত চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকল পক্ষের বৃহত্তর ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।

রাজশাহীতে ৭ মামলার আসামি বিপ্লব গ্রেপ্তার।

৭ মামলার আসামি হিসেবে আত্মগোপনে থাকা রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল হোসেন বিপ্লব (৩২)–কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোতনশী এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিপ্লব ওই গ্রামের মহসিন আলীর জামাতা এবং বাঘা পৌরসভার মিলিক বাঘা (পন্ডিতপাড়া) এলাকার বাসিন্দা আলতাফ হোসেনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা, ভাঙচুর, চাঁদা দাবি এবং মারধরের অভিযোগে বিএনপির পক্ষ থেকে চারটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা হওয়ার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিফাত রেজা জানান, বিপ্লবের বিরুদ্ধে বিএনপির করা চারটি মামলার পাশাপাশি অস্ত্র ও মাদকসহ আরও তিনটি মামলা রয়েছে, যার সংখ্যা মোট সাতটি। রিমান্ড চাওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে আবেদন করা হবে।

বাঘা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, বিপ্লব স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ পাওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের মামলা ছিল। পরবর্তীতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে তিনি এ পদ লাভ করেন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে দাপট দেখাতে থাকেন।

তিনি আরও জানান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কারাগারে থাকাকালীন সময়ে তার মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানোর সময় বিপ্লবসহ আওয়ামী লীগের নেতা সামিউল ইসলাম নয়ন, আনোয়ার হোসেন মিল্টন এবং তাদের সহযোগীরা তাকে ও অন্যান্য পোস্টার লাগানো কর্মীদের মারধর করে এবং পোস্টার লাগাতে বাধা দেয়। এরপর পুলিশ ডেকে তাদের গ্রেপ্তার করিয়ে মামলা করে। পুলিশ বিষয়টি জানলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ. ফ. ম. আসাদুজ্জামান বলেন, বিপ্লব আত্মগোপনে থেকে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছিলেন। এমন খবরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।এ বিষয়ে আরও অধিক তদন্ত চলছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ