আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

দেবহাটায় ফলন্ত আম গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

 দেবহাটার হাদিপুুরের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যর ফলন্ত আম গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ প্রতিকার পেতে ওই ভূক্তভোগী সন্যাসির চক গ্রামের মৃত গহর আলীর ছেলে আবু তালেব গাজী স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবু তালেব গাজী জানান, দেবহাটার রামনাথপুর মৌজার এসএ-২৭, বিআরএস- ২১০৩ নং খতিয়ানে এসএ-২৭৯২/৫৪৭৪ দাগে ১৬ শতক, এসএ-২৭৯১/৫৪৭৫ দাগে ১৪ শতক জমি ক্রয় করেন। ১৬ শতক জমির মধ্যে বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে। সম্পত্তি কেনার পর থেকে সে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু গত ২০ এপ্রিল ওই জমিতে থাকা একটি ফল সহ আমগাছ রামনাথপুরের ফরমান পেয়াদার ছেলে এছাক পেয়াদা কাউকে কিছু না বলে গোপনে গাছ কেটে আত্নসাৎ করার চেষ্টা করে। পরে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ততক্ষণে গাছ কেটে ফেলা হয়। পরে বাধা দিলে এছাক সহ তার লোকজন হুমকি ধামকি দিতে থাকে। বিষয়ে নিয়ে হাদিপুর ব্লাড ব্যাংক সংগঠনকে জানায়। তারা গিয়ে নিষেধ করলে কাটা আম গাছ ফেলে রেখে চলে যায়। তিনি আরো বলেন, সরকার যেখানে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করছে সেখানে দিনদুপুরে আমার জমির উপরের ফল ধরা আম গাছ কেটে ফেলেছে। আমি সরকারের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী হয়ে আইনের প্রতিশ্রদ্ধা দেখিয়ে বিষয়টি গ্রাম্যপর্যায়ে শালিশের মাধ্যমে মেটানোর জন্য হাদিপুর ব্লাড ব্যাংক এ একটি অভিযোগ দিয়েছি। তারা উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষ এছাক কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। কিন্তু এতদিন সয্য করে আসছি, এবার ফল ধরা আম গাছ কেটে ফেলায় তিনি মর্মহত হয়েছেন বলে জানান।
অভিযুক্ত এছাক পেয়াদার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জমির গাছ আমি কেটেছি তাতে কার কি করার আছে।
এবিষয়ে হাদিপুর ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি আল-আমিন হোসেন জানান, ঘটনার দিন আমরা খবর পেয়ে ওই জমিতে গিয়ে দেখি একটি আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছটিতে অনেক আম ধরেছিল। পরে গাছ কেটে না নিয়ে যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শক্রমে উভয় পক্ষকে নোটিশ করে বসাবসির মাধ্যমে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। পরে নির্ধারিত দিন বাদিপক্ষ হাজির হলেও বিবাদী উপস্থিত হননি। যেহেতু জমিটি নিয়ে একটু ঝামেলা রয়েছে। তাই স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে মাপ জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্প ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

কুষ্টিয়ায় নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনতাইচেষ্টা, যুবক আটক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ফোন ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগে আশিকুর রহমান (২১) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে থানাপাড়া পাঁচ বিল্ডিং এলাকায় এই ছিনতাইচেষ্টার ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে আটক করা হয়। আশিকুর রহমান খোকসা চরপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চুরি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।সন্ধ্যায় খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, থানার পাশেই ভুক্তভোগী নারী কনস্টেবলের বাসা। ডিউটি শেষে ফেরার পথে তাঁর মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ