আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ জুন, ২০২৫

চিটাগাং চেম্বারে শ্রম বিষয়ক স্ট্যান্ডিং সাব-কমিটির সভা শ্রমিকদের শ্রমের উপর বেঁচে আছে দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

 চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র শ্রম বিষয়ক স্ট্যান্ডিং সাব-কমিটির প্রথম সভা গতকাল মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও চেম্বার পরিচালক মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন)’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে কমিটির যুগ্ম আহবায়কদ্বয় মোঃ ছগীর ও সৈয়দ খুরশিদ আলম, সদস্যবৃন্দ মোঃ কামাল উদ্দিন, আলহাজ্ব জানে আলম, মনসুর আলম চৌধুরী, মহিন উদ্দিন বাপ্পি, উত্তম কুমার বিশ্বাস ও আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। এ সময় চেম্বার সেক্রেটারী ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুকসহ চেম্বার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রম বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন-মালিক-শ্রমিক আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশী। শ্রমিকদের শ্রমের উপর বেঁচে আছে দেশ। বিদেশে কর্মরত প্রবাসী ও দেশে কলকারখানা নিয়োজিত শ্রমিকরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। তাই তাদের খাটো করে দেখার কোন অবকাশ নেই। চিটাগাং চেম্বার সবসময় ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন-বাংলাদেশে একজন উদ্যোক্তা ব্যবসা করতে গেলে কি পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হবে, মার্কেট যাচাই ও লেবার সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন না জেনে ব্যবসা করতে আসেন। ফলে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়ে ফিরে যান। তাই উদ্যোক্তা তৈরীতে ব্যবসা সংক্রান্ত ডাটা ব্যাংক তৈরী করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিটাগাং চেম্বার যেকোন ৫টি সাব-কমিটিকে গুরুত্ব দিয়ে পাইলট প্রকল্প হিসেবে সংশ্লিষ্ট সেক্টরে গবেষণা করবে।
সাব-কমিটি নেতৃবৃন্দ অভিমত করে বলেন যে, বাংলাদেশের শ্রমিকরা উৎপাদনশীলতায় এখনো পিছিয়ে। শ্রমিকদের দক্ষ করা তাদের জীবনমান উন্নয়নের শুরুতেই এগিয়ে আসতে হবে মালিকপক্ষ কিংবা ব্যবসায়ীদের। কারণ শ্রমিকরা দক্ষ হলে বাড়বে উৎপাদনশীলতা। সাব-কমিটি নেতৃবৃন্দ প্রচলিত আইন অনুযায়ী মালিক ও কর্মচারীর সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখতে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে শুরুতেই সকল সেক্টরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নিয়ে শ্রম আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

যানজটমুক্ত হচ্ছে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকা, ঈদযাত্রায় হতে পারে স্বস্তি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজায় আরও দুটি নতুন বুথ স্থাপন করা হয়েছে, ফলে মোট বুথ সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ১০টিতে। বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) তত্ত্বাবধানে থাকা এই টোল প্লাজায় যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নতুন এই দুটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। মূলত ঈদুল আজহার পূর্বে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিতে এবং দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারগামী যাত্রীদের সুবিধার্থে নতুন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত টোল প্লাজায় এসব বুথ স্থাপন করা হয়।

সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ চৌধুরী জানিয়েছেন, নতুন বুথগুলো চালু হওয়ায় এখন আর আগের মতো যানজট হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, শাহ আমানত সেতু, যা তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নামেও পরিচিত, কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম এক্সট্রাডোজড টাইপ সেতু। সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে এবং শেষ হয় ২০১০ সালের জুলাই মাসে। এটি
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯৫০ মিটার এবং প্রস্থ ২৪.৪৭ মিটার। এটি চার লেনবিশিষ্ট এবং দুই পাশে রয়েছে ১.৫ মিটার প্রশস্ত ফুটপাত। সেতুর নকশা করে যুক্তরাজ্যের রেনডেল পামার অ্যান্ড ট্রিটন (জবহফবষ চধষসবৎ ্ ঞৎরঃঃড়হ) এবং নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং এতে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (কঋঅঊউ) অর্থায়ন করে।

সেতুর নির্মাণে মোট ব্যয় হয় প্রায় ৫৯০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৩৭২ কোটি টাকা ছিল কুয়েত ফান্ডের ঋণ সহায়তা। মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৩৩৬ কোটি টাকা, এবং বাকি ব্যয় সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য সহায়ক অবকাঠামোর পেছনে ব্যয় হয়। সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই এটি চট্টগ্রাম মহানগরী ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বিশেষ করে আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া,

চন্দনাইশ ও কক্সবাজারসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক সংযোগ নিশ্চিত করে চলেছে। এটি চট্টগ্রাম নগরীর উপর থেকে ভারী যানবাহনের চাপ কমিয়ে দিয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
টোল আদায়ের দিক দিয়ে সেতুটি একটি গুরুত্বপূর্ণ
আয়ের উৎস। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেতু দিয়ে চলাচল করেছে ৭ লাখ ২৩ হাজার ৭৮৬টি যানবাহন এবং ওই মাসে টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৭১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭৬ টাকা। ২০২৩ সালে বার্ষিক টোল আদায় হয়েছে ৭৯ কোটি ১৯ লাখ ৮ হাজার ৩৮৭ টাকা এবং যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৯১ লাখ ২ হাজার ৪২৫টি। বর্তমানে টোল আদায়ের পুরো প্রক্রিয়াটি কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়, যা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।

নতুন দুটি বুথ চালু হওয়ায় সেতুর টোল প্লাজায় যান চলাচল আরও দ্রুত ও সহজ হবে এমনটি বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। অতীতে যেসব সময় দীর্ঘ যানজটে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হতো, এখন তা অনেকটাই কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা করছে। ঈদসহ যেকোনো জাতীয় ছুটি বা উৎসবের সময়ে এই অতিরিক্ত বুথগুলোর কার্যকারিতা আরও বেশি দৃশ্যমান হবে। সেতুটি কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক প্রবাহকে আরও গতিশীল করে তুলছে।

চট্টগ্রামে অধিক ভাড়া আদায় : বাস কাউন্টারকে জরিমানা ।

পবিত্র ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে দুরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার তালিকা দৃশ্যমান না রেখে যাত্রীদের কাছ থেকে বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অধিক ভাড়া আদায় করছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিআরটিএ’র সহযোগিতায় নগরীর বহদ্দারহাট ও চান্দগাঁও বাস টার্মিনালে এস.আলম, সাঙ্গু, সৌদিয়া ও হানিফসহ বিভিন্ন দুরপাল্লার বাস কাউন্টারে তদারকির পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযান চলাকালীন সড়ক পরিবহন

আইন, ২০১৮ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর আওতায় নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন না করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও লাইসেন্স সংক্রান্ত অনিয়মের কারণে দুই বাস কাউন্টারকে পৃথক ২ মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে কাউন্টারগুলোর প্রতি নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা স্পষ্টভাবে প্রদর্শনের নির্দেশনা প্রদানসহ সতর্ক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া মুমতাহিনা ও মোঃ ইসরাফিল জাহান। বিআরটিএ’র কর্মকর্তাবৃন্দ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ অভিযানে সহযোগিতা করেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়,

নগরবাসীর নিরাপত্তা, যাত্রীসাধারণের ন্যায্য ভাড়া নিশ্চিতকরণ ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে। ঈদসহ বিভিন্ন সময়ে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ