আজঃ বৃহস্পতিবার ২২ মে, ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে চসিক-সিডিএ একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মহানগরের দুই সরকারি সেবা সংস্থার প্রধান চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। জাপান সফর শেষে দেশে ফিরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছকে কাছে পেয়ে বুকে জড়িয়ে নেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় দুইজনই নগরীর উন্নয়নে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। গত বুধবার বিকেলে জাপান থেকে ঢাকা হয়ে বিমানে চট্টগ্রাম শাহ —আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় বিমানবন্দরে দুজনের সাক্ষাৎ হয়।

জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা থেকে বিমানে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ। মেয়র আসছেন জানতে পেরে তিনি ভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষা করতে থাকেন। ১০ মিনিট পর আরেকটি বিমানে আসেন মেয়র। সিডিএ চেয়ারম্যান মেয়রকে এগিয়ে আনতে রানওয়ে পর্যন্ত যান। মেয়রকে ইউনুছ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। মেয়র তাকে বুকে টেনে নেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন এবং কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, নিছার উদ্দিন আহমেদ, শাহেদ ইকবাল বাবু, আবদুস সালাম মাসুম, আবুল হাসনাত বেলাল, নুরুল আলম মিয়া, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, পুলক খাস্তগীর, এসরারুল হক, আতাউল্লা চৌধুরী ও মোহাম্মদ ইলিয়াস।
সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে সিটি করপোরেশন এবং সিডিএকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে নগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে হলে প্রতিষ্ঠান দুটির সমন্বয়ের বিকল্প নেই। সিডিএ যে খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তা যথাযথ ব্যবস্থাপনার আওতায় আসলে নগরীর মশাও কমবে। সিডিএর চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে নান্দনিক চট্টগ্রাম নির্মাণে একযোগে কাজ করব। বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশ স্বাধীন করতে দু’জন একসঙ্গে লড়েছি। এবার আমাদের লড়াই চট্টগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার।
সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, আমি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখব। সিটি করপোরেশন এবং সিডিএর মধ্যে কোনো দূরত্ব থাকবে না, সমন্বয়হীনতা থাকবে না। আমরা দীর্ঘসময় রাজপথে একত্রে লড়েছি। দু’জনের অভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতায় চট্টগ্রাম এগিয়ে যাবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবু বক্কর আর নেই।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব সারোয়াতলী গ্রামের গর্বিত সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবু বক্কর আর নেই। তিনি রবিবার বিকেলে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

পূর্ব সারোয়াতলী গ্রামের স্থানীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বোয়ালখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমার নেতৃত্বে এই রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করা হয়।

মরহুম মোহাম্মদ আবু বক্কর ছিলেন পূর্ব সারোয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত আবদুল মালেকের পুত্র। জীবদ্দশায় তিনি একজন সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এলাকায় সম্মানিত ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, এক কন্যা ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি -চট্টগ্রাম,রহমতগঞ্জের আহ্বায়ক কমিটি গঠন।

বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি -চট্টগ্রাম,রহমতগঞ্জের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সর্বস্তরের ঠিকাদারদের অনাস্থাজনিত কারণে বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি, চট্টগ্রাম জোন, রহমতঞ্জ চট্টগ্রামের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে উক্ত এডহক কমিটি

অনুমোদন দেয়া হয়। বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সামছুল কাউনাইন(কুতুব) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে চট্টগ্রাম জোনাল কমিটি বিলুপ্ত করে প্রস্তাবিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি আগামী ৬ মাসের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির তিন সমদস্য হলেন,মেসার্স ইমাম হোসেনের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ ইমাম হোসেন, মেসার্স হাবিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী

মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মেসার্স ঐশী এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী এস.এম. আবু ছালেহ। চিঠিতে অনুমোদিত এডহক কমিটি ৬ মাসের মধ্যে সমিতির কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি নির্বাচিত করার কথা বলা হয়।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতির (রেজিঃ নং-টি.ও-৩২৮(১৬)-৯৪) এর আওতাধীন বাংলাদেশ ঠিকাদার সমিতি, চট্টগ্রাম জোন, রহমতঞ্জ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ