আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলায় সাড়ে ৯ হাজার ব্যক্তি পেনশন স্কিমের আওতায় এসেছে : জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যেক নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে গড়ে উঠার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম অত্যন্ত জরুরী। অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ১৮-৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশী নাগরিক এই পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবে। তবে বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকগণ ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন জমা প্রদান করলে পেনশন সুবিধা পাবেন। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য পেনশন স্কিমের বিকল্প নেই। স্কিমগুলোর গ্যারান্টি সরকার নিজেই। সরকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোন ধরণের প্রভার পড়বে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসতে হবে।

গতকাল বুধবার বেলা ১২টায় নগরীর টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত ‘টেরীবাজারের ব্যবসায়ী ও কর্মচারী ভাইদের মাঝে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ঃ সচেতনতা ও স্পর্ট রেজিস্ট্রেশন’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি সভার আয়োজন করেন। সভায় কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীর সর্বজনীন পেনশন স্কিমের স্পর্ট রেজিস্ট্রেশনের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।
ডিসি বলেন, সকল নাগরিকের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যবস্থা চালু করেছে। এটি বাস্তবায়নে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত এ জেলায় সাড়ে ৯ হাজার ব্যক্তি পেনশন স্কিমের আওতায় এসেছে। বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি একটি রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী। তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আপাতত চার ধরণের স্কিম চালুৃ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রবাসীদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারী চাকুরীজীবিদের জন্য প্রগতি স্কিম, অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থ্যাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রয়েছে সমতা স্কিম। সরকার গত বছর সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার পর ব্যাপক সাড়া পড়লে একটি মহল এটি নিয়ে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাতে থাকে। পেনশন স্কিমের নামে না কি সরকার মানুষের পকেটের টাকা নিয়ে যাচ্ছে। পেনশন স্কিমের সুবিধা কি তা দেশের মানুষ এখন বুঝতে পারছে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আরও বলেন, প্রবাসীরা প্রবাস থেকে অনলাইনে পাসপোর্ট, ছবি, ব্যাংক একাউন্ট এবং তার নমিনির আইডি কার্ড ও ছবি দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সদস্য হওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। দেশে অবস্থানরত ১৮-৬০ বছর বয়সী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক তাদের আইডি কার্ড, ছবি, ব্যাংক একাউন্ট, নমিনির আইডি কার্ড ও ছবি দিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সদস্য হতে পারবে। ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার গ্রাহক যত বছর বেঁচে থাকবেন তত বছর পেনশন পাবেন এবং ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত পেনশন পাবেন এবং ৬০ বছরের আগে মারা গেলে তার নমিনি মুনাফাসহ টাকাটা ফেরত পাবে। জমা টাকার মধ্যে ৫০ শতাংশ লোন পাবে।
অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ধারণা, উদ্দেশ্য, উপকারিতা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন জেলা প্রশাসক। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ৪টি স্কিমের মধ্যে কে কোন স্কিমের আওতায় পড়বেন সে বিষয়ে ধারণা দেন তিনি। ৬০ বছর পর একজন ব্যক্তি কি পরিমান পেনশন পাবেন তা উপস্থাপনসহ উপস্থিতিদের মধ্যে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ডিসি।
জেলা প্রশাসক বলেন, বিদেশে কর্মরতবা অবস্থানকারী যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক তার অভিপ্রায় অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধের শর্তে নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান পূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করলে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর সমপরিমান অর্থ দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করাসহ প্রয়োজনে স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মচারী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক নির্ধারিত চাঁদা প্রদান পূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরতবা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি যেমন-কৃষক, রিক্সা চালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিসহ সকল অনানুষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ নির্ধারিত হাওে চাঁদা প্রদান পূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হলে চাঁদাদাতা আজীবন পেনশন ভোগ করবেন। দারিদ্র সীমার নিম্নে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিগণ নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান পূর্বক এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবংসমতা স্কিমে কর্তৃপক্ষ বিধি অনুসারে সমপরিমান অর্থ জমা করিবে।
টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আহমদ হোছাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন (সিআইপি), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ, চসিক’র ২০নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। সভায় ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা, পৃষ্টপোষক, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীগণ তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে স্কুল ও দোকানে আগুন

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন কলসি দিঘির পাড় উত্তর রেল গেট এলাকায় একটি কেজি স্কুল ও পাশের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে হযরত শাহ আলী কেজি স্কুল ও দোকানে আগুন লাগে।

সিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, ভোরে খবর পেয়ে সোয়া ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় সকাল পৌনে ৭ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে দ্রুত পদক্ষেপে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা জানা যায়নি।

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ