
চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য সহকারী পদে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছে তিনজন। গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ভাইভা বোর্ডে তাদেরকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে সোর্পদ করেছে কর্তৃপক্ষ। এই তিনজন অন্যজনকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে পারলেও মৌখিক দিতে এসেছেন নিজেই। নকল পরীক্ষার্থী পার পেলেও এবার আসল পরীক্ষার্থী ধরা পড়ে। স্বাস্থ্য সহকারী পদে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে।
গ্রেফতার তিনজন হলেন বাঁশখালী উপজেলার কাথরিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল মতলব চৌধুরীর ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী, চন্দনাইশ উপজেলার পশ্চিম কেশুয়া গ্রামের মোহাম্মদ ছাদেকুল ইসলামের ছেলে মো. জাবেদ এবং লোহাগাড়া উপজেলার সুখছড়ী গ্রামের স্বপন দাশের ছেলে রনি দাশ।
এর আগে গত ৩ মে একই পদের লিখিত পরীক্ষায় অন্যের হয়ে প্রক্সি দিতে এসে পরীক্ষা চলাককালীন সময় মো. আব্দুর রৌফ (২৮) নামের এক যুবক আটক হন। পরবর্তীতে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মে স্বাস্থ্য সহকারী পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর সেই পরীক্ষায় এই তিনজনের হয়ে অংশ নেয় অন্য তিনজন। লিখিত পরীক্ষায় প্রবেশ পত্রে পরীক্ষার্থীর ছবি জালিয়াতি করে পার পেয়ে যান এই তিনজন। তবে এবারে সেই প্রবেশ পত্রে নিজের ছবি বসিয়ে নিজেই মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসেন। কিন্তু বিপত্তি বাধে নিজদের স্বাক্ষরে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার উপস্থিতির স্বাক্ষরে মিল না পাওয়ায় ধরা পড়ে এমন জালিয়াতি। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজন স্বীকার করলেও একজন বিষয়টিকে ভয়ে হাতের লেখার অমিল হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীর মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে ভাইভা বোর্ডে পরীক্ষার্থীদের আচরণ সন্দেহজনক হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।