আজঃ সোমবার ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

সিডিএ চেয়ারম্যান- এর সাথে সমিতির নেতৃবৃন্দদের দেখা যাচ্ছে

সিডিএ কর্নফুলী হাউজিং-এর পানি সংকট অবসান হতে চলছেে ৩৩ বছরের বিড়ম্বনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৫১৯ টি প্লট সম্বলিত মেগা প্রকল্প কর্ণফুলী বামতীর হাউজিং এ সুপেয় পানি সংকট সহ ৩৩ বছরের পূরানো বিড়ম্বনার অবসান হতে চলেছে । নব নিযুক্ত সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ এর আন্তরিক উদ্যোগে এ সংকটের অবসান কল্পে আজ দিনভর তাঁর কার্যালয়ে দফায় দফায় প্রকৌশলী, ওয়াসার এমডিসহ প্লট মালিক নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক হয়েছে । অতিসত্বর উক্ত হাউজিং- এ ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি প্রকল্প হতে পানি সরবরাহে আন্তরিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ওয়াসার এমডি ফজলুল্লাহ সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা । গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় সিডিএ চেয়ারম্যানের কনফারেন্স রুমে সিডিএ কর্ণফুলী প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির সাথে এক জরুরী সভায় মিলিত হয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, এ প্রকল্পটি দেশের সবচেয়ে সুন্দর আবাসন প্রকল্প।

এটিতে পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি সরবরাহ করা হলে তা বসবাসের উপযুক্ত হবে এবং সিডিএ ও জনসাধারণ উভয়েই উপকৃত হবেন । তিনি বলেন, ওয়াসার চেয়ারম্যান আমাকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন । প্লট মালিকগণও সহযোগীতা দিলে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা প্রকল্পটি অতি অল্প সময়ে সাফল্যের মুখ দেখবে, ইন-শা-আল্লাহ্ । এ সময় প্লট মালিক সমিতি নেতৃবৃন্দ তাঁর সাথে ঐক্যমত পোষণ করলে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, তাহলে তৈরী হোন, আমি নিজে গিয়ে প্রকল্পে মাটি কেটে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করবো এবং সম্ভব হলে উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা এতে পানি সরবরাহ উদ্বোধন করবেন, ইন-শা-আল্লাহ্ । তিনি উক্ত হাউজিং-এ কোরবানির গরুর বাজার ইজারার নামে কোটি কোটি টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন ও সিডিএ- এর তত্ত্বাবধানেই ভবিষ্যতে ইজারা ডাকা হবে এবং এর অর্থ উক্ত প্রকল্পের উন্নয়নে ব্যয় হবে মর্মে ঘোষণা দেন। মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্লট মালিক সমিতির সভাপতি প্রিন্সিপ্যাল মোজাম্মেল হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সান, সহ-সভাপতি গোলাম ওয়ারেছ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল হুদা, অর্থ সম্পাদক এডভোকেট সেলিম উদ্দিন, সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম, মোফাজুল হোসেন চৌধুরী, মোঃ রিজোয়ান, আব্দুল মালেক, ফয়সাল আলম, মুবিনুল হক চৌধুরী, মোঃ ইকবাল প্রমুখ । সিডিএ চেয়ারম্যান- এর আন্তরিক উদ্যোগের জন্য সমিতি নেতৃবৃন্দ তাঁকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে সভার কাজ শেষ হয় এবং সিডিএ চেয়ারম্যান সকলকে কাজের ফলোআপ সহ সিডিএ’র ডাকে সাড়া দিতে প্রস্তত থাকতে সকলকে আহবান জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোণা হাসপাতালে আলাদা ডায়ারিয়া ওয়ার্ড উদ্বোধন।

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলাদা ডায়রিয়া ওয়ার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬ নভেম্বর (রবিবার) ৩য় তলায় উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোমেনুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম রতন, প্রধান সহকারি মোঃ মাহবুবুর রহমান খান, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শহিদুর রহমান, সিনিয়র স্টাফ নার্স নূরে ফারজানা প্রমুখ। মোহনগঞ্জ হাসপাতালের ডায়ারিয়া রোগীদের আলাদা কোন ওয়ার্ড ছিল না।

পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের মাঝামাঝি খালি জায়গার মেঝেতে ডায়ারিয়া রোগীর চিকিৎসা করা হতো। ৪ নভেম্বর নেত্রকোণা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ গোলাম মাওলা নঈম এর কাছে আলাদা ওয়ার্ড খোলার জন্য মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম রতন দাবী করলে তিনি মানবিক বিবেচনায় বিষয়টি আমলে নিয়ে আলাদা ওয়ার্ড খোলার নির্দেশ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোমেনুল ইসলামকে।

উক্ত নির্দেশের প্রেক্ষিতে আজকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আলাদা ডায়ারিয়া ও ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়। এতে ডায়ারিয়া রোগীরা অনেকটা ভোগান্তি থেকে রেহায় পেয়েছে আজ থেকে। মোহনগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি আজ বাস্তবায়ন হয়েছে। এলাকা বাঁশি নেত্রকোণা সিভিল সার্জনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বোয়ালখালীতে নাম মাত্র ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ফার্মেসি, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ম-নীতি না মেনেই চলছে ওষুধের ব্যবসা। অধিকাংশ ওষুধের দোকানের নেই কোনো ড্রাগ লাইসেন্স। ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান। ফার্মাসিস্টের স্থলে সাধারণ কর্মচারীরাই বিক্রি করছেন ওষুধ।ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না এসব ফার্মেসিতে। ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন এসব ফার্মেসিতে বিক্রি করা হচ্ছে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ। অনেকেই
এসব ফার্মেসির ওষুধ সেবন করে নানা ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়ছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রতিনিয়তে এসব ফার্মেসির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার পৌরসভা ও কধুরখীল,পশ্চিম গোমদন্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী, পোপাদিয়া, আমুচিয়া, চরনদ্বীপ, শ্রীপুর-খরনদ্বীপ, আহল্লা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, হাটা-বাজারে, আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে প্রায় দুই শতাধিক ফার্মেসি। এর মধ্যে অধিকাংশ ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্স নেই। লাইসেন্সবিহীন এসব ফার্মেসিতে অদক্ষ বিক্রয় কর্মীরা ওষুধ বিক্রি করছেন।

স্থানীয় কয়েকজন সচেতন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন ফার্মেসিতে আর বিশেষজ্ঞ লোকের দরকার হয় না। ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা বলে দেন কোন ওষুধ কী কাজে লাগে- সেই অনুযায়ী ওষুধ বিক্রি হয়। এ ছাড়া অনেক ওষুধের দোকানে নিম্নমানের ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা ওষুধ বিক্রি করে দেন। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে ভালোমানের ওষুধের চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি কমিশন নেওয়া হচ্ছে। এতে বেশি লাভের আশায় ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রিতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। সাধারণ মানুষও কোন ওষুধটি আসল ও কোনটি ভেজাল তা চিহ্নিত করতে অপারগ। এর ফলে এ ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের বাণিজ্য দিন দিন জমজমাট হচ্ছে। আর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া অসচেতন রোগীদের চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে উল্লিখিত ওষুধের একই গ্রুপের নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করার অভিযোগও রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাফরিন জেরিন জিতি বলেন, ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে এই বিষয়ে অবহিত করে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ফার্মেসির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ