আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমানবন্দর এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটে ত্রুটি ১৬৪ যাত্রী হোটেলে

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম 

চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমানবন্দর এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটে ত্রুটি ১৬৪ যাত্রী হোটেলে
এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শারজাহগামী এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যায়নি। আজ শুক্রবার (১০ মে) সকাল পৌনে ৭টায় ফ্লাইটটি শারজাহ’র উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা ছিল। পরে বোর্ডিং নেওয়া ১৬৪ যাত্রীকে হোটেলে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে এয়ার অ্যারাবিয়ার। তবে কখন ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি এয়ার এরাবিয়া এবং চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর আগে শুক্রবার সকালে যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। এয়ার অ্যারাবিয়ার ওই ফ্লাইটে শারজাহ থেকে ক্রুসহ ১৫৮ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামে আসে। বিমানটির হাইড্রোলিক সমস্যা ছিল বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সূত্র জানায়, ওই ফ্লাইটটি সকাল ৭টা ৫ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও প্রায় ১ঘণ্টা ৩৫ মিনিট বিলম্বে সকাল ৮ টা ৫০ মিনিটে অবতরণ করে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে শারজাহ থেকে আসা এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটটিতে হাইড্রোলিক প্রেসারের সমস্যা ছিল। ফ্লাইটটির ল্যান্ড করার পর রানওয়ে ট্যাক্সি করার সুযোগ ছিল না। পরে বিমানটিকে রানওয়ে থেকে টেনে টারমার্কে নিয়ে এসেছি। এটি জরুরি অবতরণ নয়। তিনি বলেন, ফ্লাইটটি এখনো চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে রয়েছে। তাদের প্রকৌশলীরা আসবেন। ফ্লাইটটির ত্রুটি সারিয়ে রাতেই তাদের ফ্লাই করার কথা রয়েছে। পাশাপাশি ওই বিমান পরবর্তীতে শারজাহগামী যাত্রীদের হোটেলে রাখা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

এনআইডি পরিষেবা নতুন কমিশনে স্থানান্তরের পরিকল্পনায় চট্টগ্রামে মানববন্ধন।

জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) পরিষেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন হতে সংবিধিবদ্ধ নতুন কমিশনে স্থানান্তরের কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লাভ লেইন মোড়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে

আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রকে (এনআইডি) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে নতুন একটি কমিশনে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা রাতের ভোটের আয়োজক ও কুশীলবদেও সাজানো একটি ষড়যন্ত্র ছিল। একই অবস্থা সামনের দিনগুলোকে আরও বেশি অস্থির করে তুলবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। নির্বাচন কমিশনে ৩৫টি বা তার বেশি তথ্য উপাত্ত বোনাস হিসেবে আসেনি। এটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও দিনরাত

পরিশ্রমের ফল। ভোটার তালিকা প্রণয়ন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। যদি সকল তথ্য ভান্ডারকে একসাথে করতে হয় এবং স্বাধীন কর্তৃপক্ষের অধীনে নিতে হয় তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি সর্বোত্তম সাংবিধানিক ও শক্তিশালী জাতীয় প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হওয়া অতি স্বাভাবিক।

কর্মসূচীতে বক্তারা আরও বলেন, এক বা একাধিক
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান করে এনআইডিসহ অন্যান্য তথ্য ভান্ডারকে আরও সুসংগত করা যায়। নির্বাচন
কমিশনকে একই সময়ে বিদায় না দিয়ে প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর নিয়মতান্ত্রিকভাবে দুই জন করে নিয়োগ ও বিদায় নিলে তথ্য ভান্ডারসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও
সুশৃঙ্খলতায় আনা যায় এবং মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে সিনেটের মত জাতীয় অভিজ্ঞতা ও ধারাবাহিকতাও রক্ষা করা সম্ভব। এতে করে আমাদের ঘুণেধরা ও ক্ষয়িষ্ণু সহমর্মিতা রক্ষা করাসহ জাতীয় স্বার্থ ও সংহতি আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক অতি মর্যাদা বিবেচনা করে তাকে কর্মহীন করা ও তার অর্জিত কর্মক্ষমতাকে কেড়ে নেয়ার অর্থ হলো ধর্মীয় গ্রন্থকে না পড়ে গিলাব বেঁধে উপরের থাকে তুলে রাখা একই অন্ধত্ব ও জাতীয় বিভ্রান্তি। অন্যথায় ডাল হৌসির নীতির মত এক ডিপার্টমেন্টের অর্জনকে অন্য ডিপার্টমেন্টে/কমিশনে নিয়ে গেলে বিভিন্ন বিভাগের

ইনোভেশনসহ জাতীয় উন্নয়নের মনোবল ধ্বংস হতে পারে। তাই জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) পরিষেবা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার জোর দাবী জানান নির্বাচন কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম মহানগরে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বন্দরের আহবান

চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে নগরবাসীর সচেতনতা ও সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া এ সমস্যার দীর্ঘ স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। এ সমস্যা সমাধানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৩৬ টি খাল ও নালা দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পলিথিন, প্লাস্টিক বোতল,

কাপড়সহ বিভিন্ন বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে পড়ে, যা নদীর পরিবেশের জন্য মারাত্নক হুমকি সৃষ্টি করছে। বর্জ্যের কারণে নগরীর জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কর্ণফুলী নদীর নেভিগেশন চ্যানেলের নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে ফলে ড্রেজিং কাজে সরকারের সময় ও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য খালের মুখে জমা হয়ে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে, ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। গৃহস্থালী বর্জ্য নালা নর্দমায় ফেলায় পানি দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং রোগ জীবাণুর বিস্তার ঘটাচ্ছে।

দূষণের ফলে কর্ণফুলী নদীর জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে এবং নদীভিত্তিক অর্থনীতি ও জীবিকা নিবাহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে প্রাচ্যর রানী খ্যাত বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে রক্ষার জন্য নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লিফলেট বিতরণ করা হয়। উক্ত বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, (জি), বিএসপি, পিএসসি, বিএন, চীফ হাইড্রোগ্রাফার,চবক সচিব,চবক সহ চবক এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও চবক এর স্কাউট সদস্যরা চবক স্কুল কলেজে এই চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণের নেতিবাচক প্রভাব এর লিফলেট বিলি করেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ