আজঃ রবিবার ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

রোগীদের সাথে নার্সদের ভালো ব্যবহার স্বাস্থ্য বিভাগের সম্মান বৃদ্ধি পাবে

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালন

চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নার্সিং কর্মকর্তাদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার সকালে বেলুন-শান্তির পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা ও কেক কেটে আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল’র ২০৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-“আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ ঃ অর্থনৈতিক শক্তি- নার্সিং সেবায় ভিত্তি”। অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি। এর পর বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূনঃরায় হাসপাতালে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে অতিথিবৃন্দরাসহ, নার্সিং সুপারভাইজার, সিনিয়র স্টাফ নার্স, নার্স ও কর্মচারীরা অংশ নেন। হাসপাতালের সকল নার্সিং কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবসের আয়োজন করেন।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক রাশনা দাশের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র স্টাফ নার্স দীপ্তি ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (সার্জারী) ডা. বিজন কুমার নাথ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল, হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ডা. রওশন আরা শিমুল ও সহকারী পরিচালক (নার্সিং) ঝর্ণা দত্ত। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহকারী জেলা হেলথ নার্স সালমা আক্তার, হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স চায়না রানী শীল ও সিনিয়র স্টাফ নার্স মোঃ আবদুল মুকিত। আলোচনা সভা শেষে কেক কেটে আধুনিক নার্সিংয়ের প্রবর্তক ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল’র ২০৪-তম জন্মবার্ষিকী ও আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (সার্জারী) ডা. বিজন কুমার নাথ বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মান আরও বৃদ্ধি করতে বর্তমান সরকার নার্সিং পেশাকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। নার্সিং পেশ অত্যন্ত মহৎ ও সেবাধর্মী একটি কাজ। এ পেশাকে গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সরকার নার্সদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি রোগীদের সাথে নার্সদের ভালো ব্যবহার, যোগাযোগ ও নিয়মিত উপস্থিতি স্বাস্থ্য বিভাগের সম্মানটুকুও বৃদ্ধি পাবে। কারণ ভালো ব্যবহার পেলে রোগীরা অর্ধেক সুস্থতা অনুভব করে। রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রাপ্তি দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। এজন্য সবাইকে আরও আন্তরিক হয়ে রোগীদেরকে সেবা দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের রোগীরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশে যায়। সে সকল দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবায় রোগীরা সন্তুুষ্ট। সেখানকার হাসপাতালের নার্সরা রোগীদের সাথে ভালো আচরণের মাধ্যমে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে সেবা দেয়। আমাদের দেশেও সরকারী-রেসরকারী অনেক নার্সিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। সেগুলো থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নার্সগণ রোগীদের সেবার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল-ক্লিনিকে চাকুরী করছে। তাই উন্নত চিকিৎসা-সেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তার-নার্সসহ আমাদেরকে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। সেবার মানসিকতা ও আন্তরিকতা নিয়ে নার্সদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবসময় রোগীর পাশে থাকতে হবে। রোগীর সমস্যাকে নিজের সমস্যা মনে করে নিজের অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে সেবা দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল বলেন, চিকিৎসকগণ হাসপাতালে রোগীদেও চিকিৎসা দেন আর নার্সগণ রোগীদের যাবতীয় সেবা দিয়ে থাকেন। ফলে আমাদের দেশে বর্তমানে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার অনেকাংশে হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশে বিশ্বমানের নার্স গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের গৃহীত ও বাস্তবায়িত কার্যক্রমসমূহ সর্বস্তরে প্রশংসিত হয়েছে। নার্সদের কারণে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে স্বাস্থ্য বিভাগের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। নার্সিং পেশাকে একটি আদর্শ পেশা হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নার্সদের কঠিন পরিশ্রম ও তাদের সেবা ছাড়া কোনো রোগীর সুস্থ হয়ে উঠা কঠিন। আজ সেই মানুষদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য বর্তমান সরকার আমাদেরকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা জণগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক নার্স নিয়োগ, নতুন পদ সৃজন, বিশেষায়িত নার্স গড়ে তোলা, নার্সিং খাতের নানাবিধ প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল করা, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে নার্সিং সেবার মান বৃদ্ধি করাসহ নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা, সমাজ সংস্কারক ও পরিসংখ্যানবিদ মহিয়সী নারী ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল’র জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজের দরিদ্র-অসহায় মানুষের সেবায় নার্সদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, ১৮২০ সালে ১২ মে ইতালির এর আভিজাত পরিবারে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের ১৯৭৪ সাল থেকে তাঁর জন্মদিনটি ‘ইন্টারন্যাশনাল নার্সেস ডে’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ডার্বিশায়া থেকে ১৭ বছর বয়সে লন্ডনে আসেন ফ্লোরেন্স। সেই সময় লন্ডনের হাসপাতালের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কারণে কোনও সেবিকা সে সময় কাজ করতেন না। সে সময় নার্সিং পেশাকে সামাজিকভাবে মর্যাদা দেওয়া হত না। তা সত্ত্বেও নাইটিংগেল লড়াই করেন। তিনি ১৮৫১ সালে নার্সের প্রশিক্ষণ নিতে জার্মানিতে যান। তারপর তিনি নজে ১৮৬০ সালে নার্সিংকে সম্পূর্ণ পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্থাপন করেন নাইটিংগেল ট্রেনিং স্কুল। তারপর ১৮৬৭ সালে নিউইয়র্কে চালু হয় উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ।
এভাবে একে জন সমক্ষে আসতে শুরু করে এই পেশার গুরুত্ব। ভারতেও তাঁরই প্রচেষ্টায় এই পেশার খ্যাতি বাড়তে থাকে। ১৮৮৩ সালে তাঁর এই কাজের জন্য তিনি রয়েল রেডক্রস সম্মান লাভ করেন। একের পর এক সম্মান পান ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল। তারপর ১৮৬০ সালে লন্ডনে বিশ্বে প্রথম তৈরি হয় নার্সিং শেখানোর স্কুল। যে স্কুল নির্মাণে তাঁর ভূমিকা ছিল বিস্তর। যুগ যুগ ধরে সেবিকাদের পরিশ্রম চাক্ষুস করেছেন সকলে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা বাজারে বুধবার গভীর রাতে একদল দুর্ধর্ষ ডাকাত দল চার-পাঁচ টি স্বর্ণের দোকানে ও একটি বাড়িতে ডাকাতি করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টমণিষা বাজারের শ্রী রতন কুমার কর্মকার, তপন কুমার কর্মকার, উত্তম কুমার কর্মকার, ইউসুফ আলী ও আত্তাব আলীর স্বর্ণের দোকানগুলোর তালা ভেঙে দুর্বৃত্ত ডাকাত দল প্রায় ৩০/৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে ডাকাত দল রতন কুমার কর্মকারের বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও ছেলে রঞ্জন কর্মকার কে মারধর করে আরও ১০ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

শ্রী রঞ্জন কুমার কর্মকার বলেন,একটি ডাকাত দল বাজারে নেমে দুই নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রথমেই বেঁধে ফেলেন।রতন কর্মকার বলেন, ‘ডাকাতেরা বাড়িতে ঢুকতেই আমি তিন তলায় উঠে প্রতিবেশীদের ফোন করি। কিন্তু কেউ আসেনি। পরে দীপকে ফোন করলেও বের হতে পারেনি, কারণ তার দরজার সামনে দুইজন অস্ত্রধারী দাঁড়িয়ে ছিল।’

তারপর প্রায় ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে স্বর্ণের দোকানগুলোতে হামলা চালায় এবং কিছুক্ষণ পরে তারা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা সব লুট করে। তার মা স্বর্ণের গহনা খুলে দিতে দেরি করলে তাকে অনেক মারধর করে। রঞ্জন কর্মকার বাধা দিলে তাকেও বেদম প্রহার করা হয়। দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের হাতে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র সহ সাপল,লোহার রড ছিলো বলে তারা জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান,দুর্ধর্ষ ডাকাত দল স্পিডবোট যোগে গভীর রাতে বাজারে এসে স্বর্ণের দোকানগুলোতে ডাকাতি করে গুমানী নদীর ভাটির দিকে চলে যায়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া সার্কেল) আবু বকর সিদ্দিক, পাবনা ডিবির ওসি রাশিদুল ইসলাম, ডিবির একটি টিম এবং ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কারা জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কাজ। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তার করা হবে।’অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।’

মহিলা ডিগ্রী কলেজ ভাঙ্গুড়ায় অভিভাবক সমাবেশ

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পৌর সদরে- নারী শিক্ষায় পাবনা জেলায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ভাঙ্গুড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভাঙ্গুড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সিনিয়র প্রভাষক মোঃ লুৎফর রহমান এর সঞ্চালনায় শুরুতেই কোরআন ও গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল স্যারের স্বাগত বক্তব্য দিয়ে অভিভাবক সমাবেশ শুরু হয়।

প্রথমেই অভিভাবক কলেজ ছাত্রী ২য় বর্ষের মানবিক বিভাগের মোছাঃ রিয়া খাতুন এর মাতা দুলারি বেগম বলেন কলেজে প্রতি বিষয়ে প্রতি সপ্তাহে একটি করে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা নিতে হবে,তবেই মেয়েরা পড়াশোনা বেশি বেশি করবে।

প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের কৃতি ছাত্রী মোছা রিদনা আহমেদ এর পিতা মোঃ রাসেল আহমেদ বলেন প্রকৃত শিক্ষা তখনই হবে যখন মেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা দীক্ষা নিবে,যেমন প্রতিদিনের ক্লাসের পড়া ক্লাসে শেষ করবে,তারপর কলেজ ক্যাম্পাসে বার্ষিক খেলাধুলা, কম্পিউটার,লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করবে,বার্ষিক শিক্ষা সফরের যাবে,এভাবেই প্রকৃত শিক্ষা লাভ করবে একজন শিক্ষার্থী।

১ম বর্ষ মানবিক, আফসনা খাতুন এর বাবা মোঃ আফসার আলী বলেন, পিতা-মাতার পরই ছাত্রীর অভিভাবক তার শিক্ষকমন্ডলীরা,কোন শিক্ষকই চায়না তার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা না করে।প্রত্যেক শিক্ষকই চায় সকল ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো পড়াশোনা করে যেন মানুষের মত মানুষ হয়।

অভিভাবক সমাবেশে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে লেখাপড়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন অত্র কলেজের রসায়ন বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান,
ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা জন্য কলেজ এর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে অভিভাবকদের অবহিত করেন যে প্রতিটা ছাত্রী প্রতিদিন যেন সকল বিষয়ে ভালো পড়াশোনা করে প্রতিদিন কলেজের ক্লাসে আসে এই বিষয়ে প্রত্যেক অভিভাবক খেয়াল করবেন,তখন অবশ্যই প্রত্যেক ছাত্রী ভালো পড়াশোনা করে ভালো জীবন গড়বে।

পরিশেষে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল স্যার সকল ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক সবার উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলেন,যে অভিভাবক,ছাত্রী ও শিক্ষকমন্ডলী সবাই কে একসাথে লেখাপড়ার সকল বিষয়ে সতর্ক হয়ে একমত হতে হবে,তবেই ছাত্র-ছাত্রীরা প্রকৃত শিক্ষা পাবে।আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য মোঃ এহতেশান হায়দার মন্টু সহ অত্র কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃনন্দ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ