আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

রানীশংকৈলে,হিসাব রক্ষক বিভাগের ৩দিন ব্যাপী সেবা প্রাপ্তির শুভ উদ্বোধন

বিজয় রায়, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি


ওয়ান স্টপ সার্ভিস,সেবা প্রাপ্তি সুনিশ্চিত, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে,বাংলাদেশ কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয়ের ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনে ১২ থেকে ১৪ মে ৩দিন ব্যাপী বিশেষ সেবা কার্যক্রম উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা হিসাব রক্ষক অফিসের আয়োজনে ১২ই মে রবিবার উপজেলা হিসাব রক্ষক অফিস চত্বরে সকালে ৩ দিনব্যাপী সেবা প্রাপ্তির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়| উদ্বোধন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় |

উক্ত আলোচনা সভায় উপজেলা হিসাব রক্ষক অফিসার হাসান তারিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ চৌধুরী,উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাহিম উদ্দীন ও বেলাল হোসেন,কৃষি কর্মকর্তা সইদুল ইসলাম, সমাজসেবা অফিসার আ: রহিম,প্রকৌশলী অফিসার আনিসুর রহমান,পরিসংখ্যান অফিসার,ইউ আর সি হাবিবুর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা,ফায়ার সার্ভিস অফিসার তোফাজ্জল হোসেন,অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফইজুল ইসলাম,সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সীমান্ত বসাক,প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল মার্ডি,আনসার কর্মকর্তা,

স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা হাসান তারিক বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শিকতার ফসল হিসাবে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল এর কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১১ মে বাংলাদেশ প্রথম কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল( সিএজি) নিযুক্ত করেন যা ছিল সামগ্রিক সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ| নিয়মিত সেবা প্রদানে চলমান কার্যক্রম সিএজি কার্যালয়ের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকলে দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপ বিশেষ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা,সেগুলো হলো অডিট একাউন্ট ডিপারমেন্ট সংক্রান্ত ডকুমেন্টরি প্রদর্শন, বেতন-ভাতা দি,  জিপিএফ,পেনশন,অডিট আপত্তি ও প্রযোজ্য অন্যান্য সকল সেবা বিষয়ে সেবা প্রদান|এছাড়াও রানীশংকৈল প্রেসক্লাব (পুরাতন) সাবেক সভাপতি কুশমত আলী,বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ,সাংবাদিকবৃন্দ সহ অন্যান্য অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীগন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন| উক্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হিসাব রক্ষক অফিস অডিটর চন্দন কুমার রায় |

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কাপাসগোলায় টিসিভি টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শনে যুগ্ম সচিব

‘টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধ করব টাইফয়েড মুক্ত বাংলাদেশ গড়বো’Ñশ্লোগানে ১লা নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত কমিউনিটি পর্যায়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে স্বাস্থ্য বিভাগে ৪১টি ওয়ার্ডের সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরে কম বয়সে সকল শিশুকে বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা দেয়া হচ্ছে।

১৬নং চকবাজার ওয়ার্ডে নাজমাঈ ডেমিরেল সিটি কর্পোরেশন দাতব্য চিকিৎসালয় গতকাল ঢাকা হইতে আগত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (জনসাস্থ্য) ডা. শিব্বির আহমেদ ওসমানী কাপাসগোলা ইপিআই জোনের অধীন দেবপাহাড সমাজসেবা কার্যালয়ে ঞঈঠ টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন ও দেবপাহাড সংলগ্ন বস্তিতে জঈগ করেন, সাথে ছিলেন ডা. ইমং প্রু, ডিভিশনাল কো-ডিনেটর (ডঐঙ), ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, চসিক ও ডা. খাদিজা আহমেদ, ঝওগঙ(ডঐঙ)। এ সময় কাপাসগোলা জোনের ইপিআই টেকনিশিয়ান ও বেসরকারি সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

নেত্রকোনায় হুইল চেয়ার বিতরণ।

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানীতে অংশ নিয়ে গত বুধবার তিনজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের নিকট হুইল চেয়ারের আবেদন করেন।

এরই প্রেক্ষিত মঙ্গলবার সকালে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম সরদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুন মুন জাহান লিজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন, সর্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা বিনতে রফিক, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা সঞ্জীব চক্রবর্তী প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, প্রতি বুধবার জেলার বিভিন্ন এলাক হতে আগত সাধারন নাগরিকদের জন্য গণশুনানীর কার্যক্রম চলমান থাকবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ