আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

বায়েজিদ  চোরাই মোটরসাইকেল  চক্রের -৪ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার, ৫ টি মোটর সাইকেল উদ্ধার

প্রেস রিলিজ

 

*বায়েজিদ  চোরাই মোটরসাইকেল  চক্রের -৪ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার, ৫ টি মোটর সাইকেল উদ্ধার

বায়েজীদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন জেলা পরিষদ আবাসিক এলাকার একটি ভবনের নিচতলার পার্কিং থেকে অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা একটি Pulsar 150 মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি মামলা রুজু হয়।

  • মামলার তদন্তকারী কর্মকতা এসআই মোঃ মনিরুল ইসলাম মামলার প্রাথমিক তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানতে পারেন যে, কক্সবাজার জেলার রামু থানা এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র  মোটরসাইকেলটি চুরি করেছে এবং চোরাই গাড়িটি ওই এলাকায় আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন রামু বাইপাস, ফুটবল চত্বর, রেলবিটের পশ্চিম পাশে নুরুল ওয়ারেজ মটরস্ গ্যারেজের সামনে থেকে  মোঃ রিয়াজ উদ্দিন জাহেদ (২০)-কে আটক করেন। আটককৃত ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যে সে  মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িত আছে সন্দেহ হওয়ায় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে থেকে মোঃ জাকির হোসেন ২৬কে কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন রামু বাইপাস এলাকা থেকে   গ্রেফতার করে।  জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তাদের কাছে চোরাই মোটরসাইকেল আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে  রিয়াজের গ্যারেজ থেকে ২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।  উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল দুটির ইঞ্জিন ও চেচিস নম্বর ঘষামাজা থাকায় এবং বর্ণিত মোটরসাইকেলের সাথে মিল না পাওয়ায় উভয়কে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায়ে তারা জানায় তাদের অপর সহযোগী   মোঃ রহমত উল্লাহ এবং মোঃ রফিকুল ইসলাম প্র. সাগর নিকট  চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলসহ আরও চোরাই মোটরসাইকেল আছে। তাদের দেওয়া তথ্যে ও শনাক্তমতে রামু থানাধীন বাইপাস এলাকা থেকে  তাদের  গ্রেফতার করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে তারা  তারা জানায়,  রামু থানাধীন বাইপাস ফুটবল চত্বর এলাকায়  আরও ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল তাদের কাছে আছে । উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলগুলো বাদীর চোরাই মোটরসাইকেলের সাথে মিল না পাওয়ায় এবং উদ্ধারকৃত মোটর সাইকেল গুলোর চেচিস এবং ইঞ্জিন নম্বর ঘষামাজা হওয়ায় এবং মোটরসাইকেলগুলো সংক্রান্তে তারা কোনো কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারায় বিধি মোতাবেক সাক্ষীদের উপস্থিতিতে চোরাই সন্দিগ্ধ আলামত হিসেবে জব্দতালিকামূলে জব্দ করেন।  তারা সঙ্গবদ্ধ চোরচক্রের এবং চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচা চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা চট্টগ্রাম থেকে চুরি করে পরবর্তীতে কক্সবাজার এলাকায় নিয়ে ইঞ্জিন ও চেচিস নম্বর ঘষামাজা করে পুনরায় বিক্রয় করার জন্য রেখেছিল।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ