আজঃ শুক্রবার ১৬ মে, ২০২৫

চট্টগ্রামে  যুবলীগের বর্ধিত সভায় মন্ত্রীর এপিএসে ছবি থাকায়  সভায় হট্টগোল, একাংশের বয়কট

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম 

′″চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের বর্ধিত সভার ব্যানারে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের এপিএস মোহাম্মদ রিদুওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েমের ছবি থাকায় হট্টগোল সৃষ্টি ও নেতারাও প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছেন। এ নিয়ে যুবলীগের একাংশ নেতাকর্মীরা হঠাৎ কিছু বুঝা উঠার আগেই বর্ধিত সভা বয়কট করে কনভেনশন হল ত্যাগ করেন।গতকাল রবিবার (১২ মে) রাত ৯ টায় শুরু হওয়া এ বর্ধিত সভা চলাকালে উপজেলার চরলক্ষ্যার একটি  কনভেনশন হলে বয়কটের ঘটনাটি ঘটে। কিছু নেতা সভা বয়কট করলেও রাত সাড়ে ১২ টায় এ সভা শেষ হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ হোসেন ও অন্যান্য নেতারা। এসব বিষয় জানতে কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা মাহবুব বর্ধিত সভায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন ছুঁড়লে কোন উত্তর না দিয়েই সভার প্রধান অতিথি জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী তাঁকে বাঁধা সৃষ্টি করে বলে দাবি করেন। এক পর্যায়ে হট্টগোল ও হইছই সৃষ্টি হলে বেশ কিছুক্ষণ সভার কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে সভা চালু হলেও বর্ধিত সভাস্থল বয়কট করে মূল অনুষ্ঠানের বাহিরে চলে যান কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা মাহবুব, শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ছৈয়দ, সহ-সম্পাদক মো. হানিফ, সদস্য সোলাইমান কবির ও চরপাথরঘাটা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দিন চৌধুরী। তাঁদের পিছু পিছু আরো কিছু নেতাকর্মী বেরিয়ে যান। এসব যুবলীগ নেতাদের অনেকেই অর্থপ্রতিমন্ত্রীর অনুসারী বলে আখ্যায়িত করেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের উপস্থিতিতে সভা বয়কট করে যুবলীগ নেতারা এমন অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় সর্বমহলে নিন্দিতও হচ্ছেন। কারণ এতে শুধু জেলা নেতাদের অপমানিত করা হয়নি। পাশাপাশি উপজেলা যুবলীগের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে বলে তৃণমূল নেতারা অভিমত জানিয়েছেন।  অপরদিকে, সভায় বক্তব্যদান কালে  জুলধা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন ফরহাদ বলেন, ‘আমাকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলধার পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে আলোচনা সভা করতে বলেছিলেন। মাহে রমজান আসায় ঈদের পরে করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এরমধ্যে উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক সেলিম ভাই বারবার বলেন কমিটি থেকে আমাকে বাদ করে দেবেন। বহিষ্কার করে দেবেন। আমি সংগঠনে রাজনীতি করতে আসলাম সম্মানের জন্য। টাকা ইনকামের জন্য নয়। এখনো নাকি আমি বহিষ্কৃত। আবার অনেকেই বলেন স্থগিত আমার পদ। আমার একটা সম্মান আছে তো। আমি জেলা যুবলীগের সভাপতির কাছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম। জুলধা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কারো চাকরি করি না। আমরা সংগঠন করি। কথায় কথায় আমাদের বলা হয় কমিটি বিলুপ্ত করে দেবেন। আমরা কি পয়সা ইনকাম করার রাজনীতি করি। আমাদের বারবার কমিটি বাতিলের ভয় দেখানো হয়। এমনকি দক্ষিণ জেলা যুবলীগের মিছিল মিটিং-এ কেন যাই সেটার জন্যও ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক। আমরা রাজনীতি করি। যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেতে পারি।
চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার সাদত মোবারক বলেন, ‘কোন একটা মিটিং হচ্ছে আমাকে লোকজন নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু ওয়ার্ডে কোন কিছু হলে আমাকে ডাকা হয় না। সুবিধার বেলায় আমরা নাই। দেওয়ার বেলায় আমরা আছি। রাজনীতি কারো বাপের সম্পদ নয়। আমাদের যখন অবমূল্যায়ন করা হয়। তখন আপনারা (জেলা-উপজেলা নেতারা) কোথায় থাকেন। আমাদের প্রাপ্ত সম্মানটা আমাদের দেওয়া হোক। সেটাই প্রত্যাশা করি। চরপাথরঘাটা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘আমরা যেদিন অর্থ প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি সেদিনই আমাদের উপজেলা যুবলীগের মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যুবলীগের আর কোন প্রোগ্রামে দাওয়াত পাই না। তারপরও ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে যুবলীগের বর্ধিত সভায় অংশ নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা আমাদের বক্তব্য দিতে দিচ্ছে না। বর্ধিত সভার ব্যানারে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর এপিএসের ছবি কেন থাকবে? এসব নিয়ে প্রশ্ন করতে গেলে প্রধান অতিথি আমাদের বাঁধা সৃষ্টি করেন। এই জন্য আমরা বর্ধিত সভা বয়কট করে চলে এসেছি। কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মাহবুব বলেন, ‘আমরা সভায় যে সিদ্ধান্ত গুলো গ্রহণ করি। সে সব সিদ্ধান্ত পরে বাস্তবায়ন করা হয় না? তা কাগজে কলমে রয়ে যায়। বিগত সময়ে সাবেক সভাপতি সোলায়মান তালুকদার ভাই যেভাবে কর্ণফুলী যুবলীগ কে দক্ষিণ জেলায় চাঙ্গা করেছিলেন। এখন সেই যুবলীগ নাই। অনেকটা পিছিয়ে গেছে। আমাকে ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলনের আয়োজনের আহ্বায়ক করা হলো। কিন্তু চরপাথরঘাটায় যুবলীগের কমিটি দেবার সময় আমাকে জানায়নি। আমরা পদ-পদবি নিয়ে কি করব। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবো। যদি কোন সাংগঠনিক কোন কাজেকর্মে আমাদের জানানো না হয়। এক পর্যায়ে তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘আমার সাথে কারো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। আমাদের যুবলীগের একটি নিজস্ব গঠনতন্ত্র আছে, কিন্তু বর্ধিত সভার ব্যানারে এপিএস সায়েম ভাইয়ের ছবি কেন? সায়েম ভাই আমাদের জেলা বা কেন্দ্রীয় কোন নেতা নয়। এর ব্যাখ্যা চাই আমি নেতাদের কাছে? যদি ব্যাখ্যা দিতে না পারেন তবে এই সভা আমি বয়কট করলাম। আমরা সাথে যারা একমত তাঁরাও বয়কট করতে পারেন।
এরপরে উপজেলা যুবলীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর বাদশা বলেন, ‘আজকেই যদি সায়েম ভাইয়ের ছবিটা নতুন করে ব্যানারে লাগানো হতো? তাহলে বয়কটের বিষয়টি মানা যেতো। আসলো সবাই সবকিছু জানে না। আজকে বর্ধিত সভা। সিনিয়র নেতারা আছেন। পরিশেষে যদি সিদ্ধান্ত হয়। তবে বয়কট করতে পারতেন। কর্ণফুলী যুবলীগের বর্ধিত সভায় থাকবে উপজেলার ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নেতাকর্মীরা। এখানে ইউনিয়ন যুবলীগ আমরা প্রত্যাশা করি না। এ বিষয়ে আমি কর্ণফুলী যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম।
কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াজ উদ্দিন আজাদ বলেন, ‘রাজনীতি আমাদের ব্যবসা না। রাজনীতি আমাদের পেশাও না। রাজনীতি আমাদের নেশা। মানুষের জন্য রাজনীতি করি। চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি দেওয়ার জন্য আমরা ফরম বিতরণ করি। নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করি। গত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে মাঠে সব সময় সক্রিয় ছিলো এই সব যুবলীগের নেতাকর্মীরা। কিন্তু এখনো ইউনিয়ন কমিটি হয়নি। যারা মিছিল মিটিং-এ আসে না তাঁদের বাদ দিয়ে অতি দ্রুত ইউনিয়ন কমিটি দেওয়া হোক। কেননা, চরলক্ষ্যায় বিগত ২০ বছরেও যুবলীগের ইউনিয়ন কমিটি হয়নি। আমরা শুনতেছি, আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হবে। কোন গঠনতন্ত্রে আছে সম্মেলন করার পরও আহ্বায়ক কমিটি দেওয়ার। বর্ধিত সভায় হট্টগোল ও কিছু যুবলীগ নেতাদের বয়কট, এপিএস সায়েমের ছবি প্রসঙ্গসহ বর্ধিত সভার বিবিধ বিষয়ে জানতে কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দারকে একাধিকবার কল করার পরেও ফোন রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হক বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা বর্ধিত সভায় যার যা ইচ্ছে বলতে পারে। আমরাও তা এনজয় করেছি। কোন সমস্যা নেই। তবে মির্জা মাহবুব ব্যানারে থাকা ছবি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, সেটা সত্য। কিন্তু আমরা উত্তর দেবার আগেই তিনি সভাস্থল থেকে বয়কট করে বেরিয়ে গেলেন। এটা তাঁর উচিত হয়নি।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরীর বরাত দিয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আমাদের বলেছেন সংগঠনে যারা বিশৃঙ্খলাকারী তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার। এছাড়াও সভায় আমরা আগামী আগষ্ট মাসের বিষয়ে কিছু দলীয় কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সভায় কর্ণফুলী উপজেলা যুবলীগ নেতাকর্মী ছাড়াও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ তৃণমূল যুবলীগের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোনায় পাহাড় না কেটেই রাস্তায় উন্নয়ন।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের একটি পুরোনো পাহাড়ি পথকে চলাচলযোগ্য করতে গিয়ে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ উঠলেও স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি, কাটা হয়নি গাছও। সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছগুলো সরিয়েই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী সুবেন ঘাঘড়ার টিলা থেকে চৈতানগর মহসিন মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ কয়েক দশক ধরে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এবং পর্যটকদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্ষায় কাঁদায় মাখা পিচ্ছিল এই পথে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে স্থানীয় প্রশাসন কাবিখা প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির সমতলকরণ ও মাটি ফেলার কাজ শুরু করেছে।

লেংঙ্গুরা ইউপি চেয়ারম্যান ও কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “এটি বহু পুরোনো চলাচলের রাস্তা। এখানে কোনো নতুন পাহাড় কাটা হয়নি। ঝড়ে ভেঙে পড়া কিছু গাছ রাস্তা থেকে সরিয়ে সংস্কারকাজ চলছে। এলাকাবাসীর বহুদিনের চাওয়া ছিল এই পথটি উন্নয়ন করার—এখন সেটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে।”

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের গা ঘেঁষা পুরোনো এই পথে মাটি ফেলে সমান করা হয়েছে। আশপাশে পাহাড় কাটা বা গাছ কাটার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, এটি পুরোনো পথ, নতুন করে কিছুই ধ্বংস করা হয়নি।

এই পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন নব্বই বছরের ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর সদস্য সুবেন মানখিন। তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে এই রাস্তা দিয়ে বাবা-দাদার সঙ্গে চলাফেরা করেছি। অনেক কষ্ট করে চলতে হতো। এখন রাস্তা সংস্কার হওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

স্থানীয়রা—তপন সাংমা, চুহিন হাজং, জুই ঘ্রা, পীযূষ বণিক ও রফিকুল ইসলাম—সবাই বলেন, “এটি পুরোনো রাস্তা, নতুন করে কিছুই কাটা হয়নি। বরং আমাদের চলাচলের সুবিধার জন্য যেই পথে আমরা আগে চলতাম, সেটাই উন্নয়ন করা হচ্ছে। এজন্য আমরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।” একইসঙ্গে তারা রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানান সরকারের কাছে।

এ বিষয়ে লেংঙ্গুরা বনবিভাগের বিট অফিসে কর্মরত বনরক্ষী আখতারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, “এই রাস্তা পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ও পর্যটকদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। পুরোনো রাস্তাটিকে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন করে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি।”

স্থানীয়দের অভিমত, উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনগণের স্বার্থ—উভয়কেই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই প্রকল্পে সেই ভারসাম্য বজায় রেখেই কাজ হচ্ছে বলে তারা মত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চট্টগ্রামে আনন্দ মিছিল।

‘বোয়ালখালী নাগরিক সমাজ’ নামে একটি সংগঠন চট্টগ্রামের কালুরঘাটে সড়কসহ রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করায় আনন্দ মিছিল করেছে। তারা প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যমান শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে মিছিল শুরু হয়ে পূর্ব প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

মিছিল শেষে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুস্তফা নঈমের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন সাংবাদিক সৈয়দ জাকির হোসাইন, মনজুর মোর্শেদ, প্রকৌশলী মো. ইকবাল, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, এস এম সেলিম, মোহাম্মদ রফিক, হাজী আবু আকতার, আ ন ম ইলিয়াস, নুরুল আবছার, ফায়াজ মেহের, ইব্রাহিম তালুকদার, গোলাম হোসেন নান্নু ও ইব্রাহিম চৌধুরী মানিক।

সভায় মুস্তফা নঈম বলেন, একটি সেতুর জন্য বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ ২০১৩ সাল থেকে নতুন সেতুর দলমত নির্বিশেষে একটি প্লাটফর্মে এনে এ জনদাবিকে জোরালো করে। সেই বহুল প্রত্যাশিত কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। এজন্য আমরা শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।এর আগে, বুধবার (১৪ মে) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম সফরে এসে কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ