
মিরসরাইয়ে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে নির্যাতন চালিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা লুটের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। গতকাল মঙ্গলবার মিরসরাই জোরারগঞ্জ থানার বঙ্গনুর পূর্ব কাঁটাছড়া গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের পুত্র আবুল কালাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রামে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের গোয়েন্দা(ডিবি) শাখাকে তদন্তের দায়িত্ব দিযেছেন। মামলায় একই থানার ভরদ্বাজহাট পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের মজিবুল হকের পুত্র মাজহারুল ইসলাম ফিরোজ ও দূর্গাপুর গ্রামের নুর ছোবহানের পুত্র নুরুন নবী প্রঃ দাঙ্গা নবীসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাদী গাছের ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ইতিপূর্বে আসামীরা নানা অজুহাতে বাদীর সহিত প্রতারণা করে ১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করলে উক্ত টাকা না দিতে আসামীরা বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ পাতে। গত ৯ মে বাদী তার বাড়ী থেকে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা নিয়ে ফার্নিচারের কাঠ ক্রয় করতে মোটর সাইকেলযোগে ফটিকছড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এ সময় জোরারগঞ্জের ঠাকুরদিঘী বাজারস্থ নাজিম উদ্দিনের বসত বাড়ীর সামনে সুফিয়া রোড দিয়ে যাওয়ার পথে আসামী মাজহারুল ইসলাম ফিরোজ ও নুরুন নবী লোহার রড় দিয়ে বাড়ি দিলে বাদী মোটর সাইকেলসহ লুটিয়ে পড়ে। এ সময় আসামী ফিরোজের নির্দেশে আসামী নুরুন নবী বাদীর কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পশ্চিম দুর্গাপুর মেস্ত্রী বাড়ির পাশে গাছের সাথে বেঁধে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এ সময় এক লাখ টাকা চাঁদা না দিলে বাদীকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে বাদীর মুখে ছুরিকাঘাত, ইলেট্রিক প্লাস দিয়ে বাদীর মুখমন্ডলে এলাপাতাড়ি বাড়ি দেয়া হয়। বাদীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বাদীকে উদ্ধার করে মিরসরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। বাদী স্থানীয় থানায় মামলা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট থানা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ প্রদান করে।
