আজঃ বুধবার ১৪ মে, ২০২৫

তুরস্কের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে ব্যবসায়ীদের মতবিনিময়

তুর্কি ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী এবং খাদ্যের বিশাল বাজার রয়েছে বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক

তুরস্কের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে ব্যবসায়ীদের মতবিনিময়
তুর্কি ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী এবং খাদ্যের বিশাল বাজার রয়েছে বাংলাদেশে

ছবি-৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: তুরস্কের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সাথে গতকাল বুধবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। চিটাগাং চেম্বার প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, প্রতিনিধি দলনেতা হেদায়েত ওনুর ওজদেন, তুর্কি দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর কেনান কালাইসি, সিনিয়র বাণিজ্য দূত সেলমা বারদাক্কি, বিভিন্ন সেক্টর বাণিজ্য প্রতিনিধিবৃন্দ ইজিট আকবাস, তাইলান কোবান, সামেত গাজী সেপিটসিওগলু, এরকাম ইলদিরিম, হায়দার হোকেলেকলি ও ফাতিহ আয়দিন, চেম্বার পরিচালকবৃন্দ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, মাহবুবুল হক মিয়া ও আখতার উদ্দিন মাহমুদ, রিয়ালেন্স শিপিং লিঃ’র চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদ ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়াহিদ আলম, শেঠ প্রোপার্টিজ লিঃ’র ডিরেক্টর উমাইর আলম শেঠ, শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশ’র পরিচালক লোকপ্রিয় বড়ুয়া, বাংলাদেশ শিপিং এসোসিয়েশন’র সাজ্জাদুর রহমান, এ. কে. খান গ্রুপ’র মোস্তফা এ. কে. খান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নির্বাহী সদস্য মহসিন উদ্দিন চৌধুরী, বিআরবি ক্যাবলস’র মোঃ জাফর আহমেদ ও গাজী নাসির উদ্দিন, নাভানা গ্রুপ’র মোঃ সেলিম এবং আরআর গ্রুপ’র তাসফিকুল আলম বক্তব্য রাখেন।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন-বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার লজিস্টিক্স ও ইকোনমিক হাবে পরিণত করতে সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। এই অঞ্চলে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর। তুর্কি ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী এবং খাদ্যের বিশাল বাজার রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিশাল বাজারে প্রবেশ করতে এবং ভৌগোলিক সুবিধা, বিনিয়োগবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ কাজে লাগিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, হালাল ফুড প্রসেসিং, আধুনিক এগ্রো প্রসেসিং সেক্টরে বিনিয়োগের আহবান জানান। তিনি বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমি এবং কক্সবাজারে বিদেশীদের জন্য বিশেষায়িত নাফ ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে তুর্কি ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান।

প্রতিনিধি দলনেতা হেদায়েত ওনুর ওজদেন বলেন-বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হচ্ছে চট্টগ্রাম। এখানকার বন্দর সুবিধার কারণে চট্টগ্রাম ব্যবসার অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সাথে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই হচ্ছে আলোচনার মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টর উদ্ভাবন এবং বিজনেস টু বিজনেস যোগাযোগের অংশহিসেবে এই মতবিনিময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর কেনান কালাইসি বলেন-ভৌগোলিক ও জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দু’দেশের মধ্যে বিজনেস টু বিজনেস যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত দূতাবাস। এছাড়া বাংলাদেশের সাথে আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করবে তুর্কি দূতাবাস।

অন্যান্য বক্তারা বলেন-বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক্স, নবায়নযোগ্য জ্বালানী এবং এলএনজি গ্যাস এবং হালাল ফুডের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম জনসংখ্যা বহুল এদেশের বাজার ধরতে এবং হালাল ফুড প্রসেসিং-সহ এসব সেক্টরে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সাথে যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান বক্তারা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে মাছ বাজারে প্রশাসনের অভিযান।

৩০শে এপ্রিল, বুধবার, বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা চৌমুহনী বাজারে ভেজাল রোধে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ । এসময় চিংড়িতে অবৈধ জেলী পুশ করে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখেন উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ নাঈম হাসান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন – এছাড়াও দোকানের নির্ধারিত সীমার বাইরে এসে বেআইনিভাবে স্থাপনা নির্মাণ কিংবা দখল করে রাখায় সংশ্লিষ্টদের অনতিবিলম্বে তা অপসারণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অন্যথায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জনভোগান্তি লাঘবে শাকপুরা বাজারের সাপ্তাহিক বাজারের দিনসহ অন্যান্য দিনে সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে উপজেলা প্রশাসন সকলকে নিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

মনের আনন্দে ধান কাটছে কৃযক।

রাজশাহী শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কেশরহাট থেকে, পাশে বিশাল মাঠ। মাঠে রয়েছে সারি সারি জিরা ধান। ধান পেকে গেছে। তাই পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত কৃষক। মনের আনন্দে ধান কেটে কেটে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে কৃষক।

সবুজে শ্যামল আমাদের এই সুন্দর দেশ। অপরূপ সৌন্দর্য সেই ধান কাটার দৃশ্য। জমি থেকে ধান কেটে জমিতেই রাখা হয়। তারপর ছোট ছোট আটি করে সেগুলো বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে নিয়ে এসে তারপর শুরু হয় ধান শুকানো। তারপর শুরু হয় ধান মাড়াই। ধান মাড়াই করলে ধান থেকে ধান গাছ আলাদা হয়। আবার শুকানো হয় সেই ধান। তারপর ধান গাছ গুলো গরুর খাবার হিসেবে কেউ জমা করে রাখে। আবার কেউ এই ধান গাছ বিক্রি করে দোয়। এই ধান গাছকে গ্রামের ভাষায় পোয়াল বা খ্যার বলে। এ কাজগুলি সাধারণত বাড়ির গৃহিণীরা করে। কৃষক মাঠে কাজ করে আর গৃহিণী সারাদিন বাড়িতে ধান শুকানো থেকে শুরু করে গরু ছাগল সবকিছুই দেখাশোনা করে। এক অপরূপ দৃশ্য না দেখলে উপলব্ধি করা সভ্বব না।

গ্রাম ছাড়া এই রাঙা মাটির পথ আমার মন ভোলায় রে ।আমি অল্প সময়ের জন্য হলেও হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই মাটির মাঝে । সেকি কৃশকের মাঝে ।আমার মন বারবার টানে সেই গ্রামের উদ্দেশ্য ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ