আজঃ বৃহস্পতিবার ১৫ মে, ২০২৫

রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

দুদকের করা মামলায় ৮ বছরের সাজাভোগের কারনে তার প্রার্থীতা বাতিল

মাহাবুবুর রহমান রনি, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি:

আলোচিত ক্যাসিনোকান্ডের সেলিম প্রধানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

  1. নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আদালতকে হয়রানী করার অভিযোগে আলোচিত ক্যাসিনোকান্ডের সেলিম প্রধানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। গতকাল ১৬ মে বৃহস্পতিবার সকালে ৮জন মহামান্য বিচারপতি এই আদেশ প্রদান করেন। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে পারছেন না।
    আইনজীবী ব্যারিষ্টার নাহিম হোসেন জানান, দ্বিতীয়ধাপে আয়োজিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন ক্যাসিনোকান্ডের সেলিম প্রধান। কিন্ত দুদকের করা মামলায় ৮ বছরের সাজাভোগের কারনে তার প্রার্থীতা বাতিল করেন নির্বাচন কমিশন। পরে তিনি রিভিও আবেদন করলে হাইকোর্টের আপিল ডিভিশন তার প্রার্থীতা বহাল রাখে। পরবর্তিতে নির্বাচন কমিশন ও একজন প্রার্থীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চেম্বার ডিভিশন ওই আদেশের উপর স্থিতি অবস্থা জারি করেন। যে কারনে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হয়ে পড়েন ক্যাসিনোকান্ডের সেলিম প্রধান। পরে তিনি ফুল বেঞ্চে রিভিও আবেদন করলে গতকাল ১৬মে বৃহস্পতিবার শুনানীর দিন ধার্য্য করে আদালত। কিন্তু তার আইনজীবী বৃহস্পতিবার শুনানী না করার জন্য লিখিত আবেদন করলে বিচার বিভাগকে হয়রানী করার অভিযোগে দু’টি আবেদনের বিপরিতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে হাইকোর্টের ফুলবেঞ্চ। পরে সেলিম প্রধানের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই অর্থদন্ড কমিয়ে আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানা বহাল রাখে এবং পরবর্তিতে আদালতকে এ ধরনের হয়রানী না করতে তাকে সতর্ক করা হয়।
    জানা গেছে, সেলিম প্রধান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছর সাজাও খেটেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন। অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধান।
    ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডগামী বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাঁকে নিয়ে তাঁর অফিস ও বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ১৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক, ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইনে তাঁকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে দু’টি মামলা হয়।
    অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার হোতা সেলিম প্রধানের নামে বেনামে প্রায় শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে সেলিমের ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান এ মামলা করেন। থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসা চালিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে ক্যাসিনো মার্কেট পি-২৪ লিমিটেড নামে গেমিং কোম্পানি গঠন করেন সেলিম।
    সেলিম প্রধান রূপালী ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ঋণখেলাপি হয়েছেন। অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসাসহ অন্যান্য অনৈতিক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে প্রতি মাসে অন্তত ১০০ কোটি টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন।
    সেলিম প্রধানের ২০১৮-২০১৯ করবষের্র আয়কর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তাঁর নিজ নামে ১১ কোটি ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ৬১৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে কোম্পানির পরিচালক হিসেবে শেয়ারে বিনিয়োগ ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা, এফডিআর বিনিয়োগ ৬ কোটি ১২ লাখ ১৫ হাজার, সঞ্চয়পত্র কেনায় ব্যয় ৭৬ লাখ ৬২ হাজার এবং হাতে নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত হিসেবে ঘোষিত ৬ লাখ ২৮ হাজার ৬১৮। এই টাকা অর্জনের পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
    এ ছাড়া তাঁর ২০ লাখ টাকা স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। বিএফআইইউ থেকে পাওয়া রেকর্ডে তাঁর বিভিন্ন ব্যাংকে ৫৪ লাখ ৫০ হাজার ১৩৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়, যা তিনি আয়কর নথিতে উল্লেখ করেননি। সব মিলিয়ে সেলিমের ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট বৈধ আয়ের উৎস নেই।
    প্রথমে সেলিম প্রধান বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো চালু করেন। তিনি গুলশান ও বনানীতে পি-২৪ এবং টি-২১ অনলাইন নামে অনলাইনে ভিডিও গেম খেলার প্লাটফর্ম চালু করেন। ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সেগুলোকে অনলাইন ক্যাসিনোয় রূপান্তর করেন। ওই অনলাইন ক্যাসিনোর প্রধান কেন্দ্র ছিল ফিলিপাইনে।
    সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ছাড়াও ঢাকার গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা হয়। বিচারাধীন এসব মামলায় জামিনে রয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল দুদকের করা মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। তাতে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের দুই ধারায় সেলিম প্রধানকে চার বছর করে কারাদন্ড দেন আদালত। ইতিমধ্যে তাঁর সাজাভোগ শেষ হওয়ায় এবং বাকি মামলায় জামিন পাওয়ায় গত বছরের অক্টোবরে মুক্তি পান তিনি। সাজার বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে যে আপিল করেছেন, সেটা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
    রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার তাজাল্লী ইসলাম বলেন, এবারের রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৪২টি। পুরুষ ভোটার ২ লক্ষ ৫১ জন, মহিলা ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৫৪জন ও হিজড়া ২ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৬০৭ জন। ২১মে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমরা কঠিন ও অস্বাভাবিক সময় অতিবাহিত করছি।

আমরা কঠিন ও অস্বাভাবিক সময় অতিবাহিত করছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে, তার প্রেতাত্মারা এখনো আছে। তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। দুর্ভাগ্য আমরা যাদের দায়িত্ব দিয়েছি, আমাদের দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য, তারা সঠিকভাবে এখনো কাজটি করতে পারছে না। ফলে মাঝে মাঝেই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, তাদের আরও শক্তিশালী করার সুযোগ করে দিচ্ছে।

শনিবার চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগের যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার’ প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, আজকে এখানে সমাবেশ হচ্ছে, আরেকটি হচ্ছে নিউমার্কেটে এবং আরেকটি হচ্ছে ঢাকায়। দাবিটা কী? আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে তাই না? আমরা মাঠে যারা আছি তারা শুধু নয়, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে দেখতে চায় না। কারণ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে।

গণতন্ত্র ধ্বংস, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে।আপনারা সংস্কার সংস্কার বলছেন, কিন্তু প্রথম সংস্কার করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদাতের পর নয়টি বছর পথে-ঘাটে ঘুরে ফিরে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। কিছু কিছু মানুষ সব ভুলে যায়। শুধু সুন্দর সুন্দর মুখরোচক কথা বললেই জাতি বোধ হয় সব ভুলে যাবে। তাদের বলব, আজকে সমাবেশটা দেখে যান, আপনাদের সম্বিৎ ফিরে এলে জাতি উপকৃত হবে। সোজা হিসাব বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও অধিকারকে প্রয়োগ করতে চায়। আমাদের তরুণরা চাকরি, ব্যবসা ও কর্মসংস্থান চায়। আমাদের মায়েরা ছেলেদের লেখাপড়া শেখাতে চায়।

তরুণরা জেগে উঠেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মাথা ঠান্ডা রেখে সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে হবে। আধুনিক ও উপযোগী একটি বাংলাদেশ করার শিক্ষা দিচ্ছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে আমরা কোনভাবেই কোনো কিছু করতে দেব না। বাংলাদেশের প্রশ্নে আমরা আপোস করবো না। তাই আমাদের নেতা বলেছেন, সবার আগে বাংলাদেশ। তিনি বলেছিলেন, ফয়সালা হবে রাজপথে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনয়িক তামিম ইকমাল, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান নাজিম প্রমুখ।

সমাবেশে বাংলাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে এবং কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের পথে কেউ যাতে রুদ্ধ করতে না পারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, আজকে এখানে তামিমকে দেখে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে চট্টগ্রামের তরুণরা আজকে ছক্কা মেরে দিয়েছে। এ-ই তরুণরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা হঠানোর মূল শক্তি। ওয়াসিম আকরামের জীবন দিয়ে এ আন্দোলন সফল করেছে। সেদিন ছাত্রদল যুবদল বুক পেতে দিয়েছে গুলির সামনে। গণতন্ত্র, মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তরুণরা লড়াই করেছে, সব অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই করেছে।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা ১৬-১৮ বছর আন্দোলন করেছি। মামলা, হামলা, গুম ও খুনের শিকার হয়েছি। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে অনেক নেতাকর্মীর। আমাদের নেতাকর্মীরা যার জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেছে, সেই গণতন্ত্র যেন কেউ জিম্মি করতে না পারে। এ রকম একটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আমির খসরু বলেন, কারো যদি দর্শন থাকে, ভাবনা থাকে, কর্মসূচি থাকে তাহলে তাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। কিন্তু কারো স্বার্থের জন্য দেশকে জিম্মি করা যাবে না। মানুষের মধ্যে নতুন যে ভাবনা এসেছে তা বুঝতে হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে সে আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করতে হবে। নতুন

রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কথা শুনি, ৩১ দফার মধ্যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কথা অনেক আগে বলেছে বিএনপি। খালেদা জিয়া বলেছেন, তারেক রহমান বলেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কোনো দল তো সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জনগণের কাছে যেতে দেখিনি। আমরা কেন যাচ্ছি, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটের জন্য, জনগণ ভোট দিলে আগামীতে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হবে। সরকার গঠন করলে সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। এখানে কোন কিছু অস্পষ্ট নেই, দিনের আলোর মতো পরিস্কার।

খসরু বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু হয়েছে, এটা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। গণতন্ত্রের পথে কেউ যাতে রুদ্ধ করতে না পারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা শান্তি পূর্ণ ভাবে এগিয়ে যাবো, কারো উস্কানিতে পা দেওয়া যাবে না। এটা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত। আমরা নতুন সংস্কৃতি সৃস্টি করতে চাই, সহনশীল থাকতে হবে সবাইকে।

এর আগে সমাবেশে উপস্থিত হয় বক্তব্য দেন জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, আমি পলিটিক্যাল কেউ না। আমি একজন স্পোর্টসম্যান। তাই আমি স্পোর্টস নিয়ে কিছু কথা বলবো। একসময় মানে চট্টগ্রাম থেকে ৫-৬ জন করে ন্যাশনাল টিমে প্রডিউস করতো। কিন্তু লাস্ট ১০-১৫ বছর আগে সেরকম প্লেয়ার উঠে আসেনি।

তিনি বলেন, আমি চাইবো, আগামীতে যেন উঠে আসে। এজন্য কার জন্য কি প্রতিবন্ধকতা হয়েছে তা নয়। আমরা কেন ন্যাশনাল টিমে যেতে পারিনি তা দেখতে হবে। আর কি করলে আমরা স্পোর্টসে আরও অংশগ্রহণ করতে পারবো, অবদান রাখতে পারবো তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

এইদিন সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা গেছে, ছাত্র-শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সমর্থক ভিড় করছেন। কেউ হেঁটে, কেউ বাসে আর কেউ ট্রাকে করে আসছেন। কেউ আবার ঢাক-ঢোলের তালে তালে।

নেত্রকোনা জেলা উলমা দলের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।

জাতীয়তাবাদি ওলামা দলের আয়োজনে এক সাধারণ সভা নেত্রকোনা ছোট বাজার দলিয় কার্য্যালয়ে অনুষ্ঠিত। জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদারের দিক নির্দেশনায়।

নেত্রকোনা জেলা ওলামা দলের হাফেজ কারী মাওলানা সভাপতি মিছবাহ উদ্দিন মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি এ টি এ্ম আব্দুল বারী ড্যানী। সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপি।

সভা পরিচালনা করেন, জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ মনিরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন জেলা ওলামা দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল,পূর্বধলা উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মোঃ সাইদূর রহমান, দুর্গপুর উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মোঃ আবুল মুলিব,মদন উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মুফতি মোঃ আবু রায়হান, আটপাড়া উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মোঃ সাজিদুর রহমান, বারহাট্রা উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মোঃ মাহবুব আলম কাজল,কেন্দুয়া উপজেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ