আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন, ২০২৫

বাকলিয়া দ্বীপে বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন বন্ধের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

৫ দিনের মধ্যে মধ্য ঘোষণা না দিলে চসিক ঘেরাও

বাকলিয়া দ্বীপে বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন বন্ধের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন
৫ দিনের মধ্যে মধ্য ঘোষণা না দিলে চসিক ঘেরাও
ছবি-৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আগামি পাঁচ দিনের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর মাঝখানে বাকলিয়া দ্বীপে বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প স্থাপন বন্ধের ঘোষণা দিতে হবে। অন্যতায় আগামি ২৭ মে সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। সেই সাথে উচ্চ আদালতে নির্দেশ অমান্য করাসহ সংশ্লিষ্ট আইনে প্রতিকার প্রার্থনা করে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান ও হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হবে।
গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আয়োজনকারী এই আল্টিমেটাম প্রদান করেন। চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র, আরএসকে ফাউন্ডেশন,কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন, গ্রিন ফিঙ্গার্স ফাউন্ডেশন, তারকেশ^র দস্তিদার স্মৃতি পরিষদ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে প্রকল্প হয় জনস্বার্থে নয় কতিপয় মানুষের পকেট ভারী করতে। বাকলিয়া দ্বীপে বর্জ্য শোধণাগারও এর ব্যতিক্রম নয়। নদীর মাঝখানে চট্টগ্রাম শহরের বর্জ্য নিয়ে নদী হত্যার পরিকল্পনা সুস্থ মানুষের মাথায় কি করে আসে। এখন ভদ্রভাবে দাবী জানাচ্ছি। আপনারা মেনে যান না হয় সর্বস্তরের জনগণ রাস্তার আন্দোলনে নেমে আপনাদের এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বাধ্য করবে।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলীউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজনীতিবিদ ও পরিবেশ সংগঠক মিঠুল দাশ গুপ্ত, পরিবেশ সংগঠক ডাক্তার মঞ্জুরুল করিম বিপ্লব, নারী নেত্রী ও পরিবেশ সংগঠক হাসিনা আক্তার টুনু, চট্টগ্রাম মহানগর যুব লীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, আওয়ামী লীগ নেতা ও পরিবেশ সংগঠক এম শাহাদাৎ নবী খোকা, চট্টগ্রাম জেলা নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি এম.নুরুল হুদা চৌধুরী, এইচ ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান শাহিন শিরিন, আর এস কে ফাউন্ডেশন প্রধান নির্বাহী জাহেদুল করিম শিকদার, সাবেক ছাত্রনেতা জাফর আল তানিয়ার, বাশখালী নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি মো. আজগর হোসেন তালুকদার, পতেঙ্গা নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি মো. হাছান বাদশা প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মহামান্য হাইকোর্টের “আদালতের রায়ে আমাদের দেশের নদীগুলোকেও জীবন্ত সত্তা, জুরিসটিক পারসন বা লিগ্যাল পারসন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং মূলত এর মাধ্যমে মানুষের মত নদীর মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। হাইকোর্টের এই আদেশ অনুযায়ী নদীর মাঝখানে বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প করা অবৈধ এবং আদালতের আদেশের লঙ্ঘন করে। সুতারাং এই প্রকল্প হতে পারে না। বাংলাদেশের সংবিধান (অনুচ্ছেদ ১৮ক) বলছে, ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।’ তার মানে জলাভূমি অর্থাৎ নদীর নিরাপত্তা বিধান সংবিধানস্বীকৃত এবং সেটি সেটি করতে হবে স্বয়ং রাষ্ট্রকে। রাষ্ট্র মানে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। যে কারণে ২০১৯ সালে হাইকোর্ট যখন একটি রায়ে নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেন, তখন নদী রক্ষা কমিশনকে নদীর অভিভাবক হিসেবে ঘোষণা করা হয়-যারা রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে নদীমাতার অধিকার রক্ষা করবে। কিন্তু এই প্রকল্প নদীর অধিকারকে হত্যা করবে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী নদীর মাঝখানে বর্জ্য শোধণাগার প্রকল্প করা থেকে সরে আসতে হবে।
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরে বন্দরনগরী ভিত্তিক পরিবেশ সংস্থা ইফেক্টিভ ক্রিয়েশন অন হিউম্যান ওপিনিয়ন(ইসিএইচও) এর সহযোগিতায় কর্ণফুলী নদীর প্রাণ প্রকৃতি, উদ্ভিদ বৈচিত্র্য ও দূষণ নিয়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী ৮১ প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে বলে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। দূষণ রোধে কোনো ব্যবস্থা না নিলে আরও ৬১ প্রজাতির উদ্ভিদ বিপন্ন হয়ে পড়বে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। ৫৩টি শিল্পসহ ৮৯টি উৎস থেকে কর্ণফুলী নদী দূষিত হচ্ছে। গবেষণায় কর্ণফুলী নদীর তীরে ৫২৮ প্রজাতির উদ্ভিদ পাওয়া গেছে।
উপরোক্ত গবেষণা তথ্য মতে কর্ণফুলীর তীর থেকে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা ৮১ প্রজাতির দেশীয় উদ্ভিদ সংগ্রহ করে নাসারিতে বিকাশিত করে সামানের বর্ষা মৌসুমে এই চরে লাগানো হোক। এতে কর্ণফুলী নদী প্রাণ ফিরে পাবে।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে মানুষের বিনোদনের কোন স্থান নাই। পৃথিবীতে অনেক দেশে নদী বা সাগরের মাঝখানের চরে নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করে দেশি বিদেশি পর্যটক দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছে। এই চরটি পরিবেশ বান্ধন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি ইকো ট্যুরিস্ট স্পট গড়ে তোলা হোক। এতে করে কর্ণফুলীর নাব্যতা রক্ষার পাশাপাশি চট্টগ্রামের ও দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে থানায় অস্ত্র লুটে জড়িত ‘ব্লেড মাসুম’ গ্রেফতার।

চট্টগ্রাম মহানগরের পাহাড়তলী থানায় সংঘটিত অস্ত্র লুটের ঘটনার সঙ্গে ‘জড়িত’ সাইদুর রহমান মাসুম ওরফে ‘ব্লেড মাসুম’ (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নগর পুলিশ ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিএমপি’র পশ্চিম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ৭ দশমিক ৬২ এমএম পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন।

‘ব্লেড মাসুম’ দীর্ঘদিন ধরে নগরজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল জানিয়ে জানিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, পাহাড়তলী থানার ওসি মো. বাবুল আজাদের নেতৃত্বে এসআই জসীম উদ্দীন ও সঙ্গীয় ফোর্স বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে জেলেপাড়া রানী রাসমণিঘাট ওভারব্রিজের নিচে চেকপোস্ট পরিচালনা করে। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে মাসুম পায়ে হেঁটে সাগরিকা রোড চৌরাস্তার দিকে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে থামতে বলে। এসময় সে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া দিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, তল্লাশিতে মাসুমের কোমরে বেল্টে ঝোলানো অবস্থায় একটি কালো রঙের পিস্তলের খোলস, একটি ৭.৬২ এমএম পিস্তল, লোড করা ম্যাগাজিনে চার রাউন্ড গুলি এবং একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম জানায়, গত ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে

জড়িত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে। এরপর তা নিজের হেফাজতে রেখে বিভিন্ন ছিনতাই ও ডাকাতির কাজে ব্যবহার করে আসছিল। মাসুম ও তার অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা পাহাড়তলী, টোল রোড, পতেঙ্গা সৈকত এবং বন্দর এলাকায় পথচারী, সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক, যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িচালকদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মালামাল লুটে নিত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির একটি পুরনো মামলাও রয়েছে।

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি-জেলা জজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১ জুলাই।

ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ১ জুলাই সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।

এদিন মামলার ধার্য তারিখে অন্তবর্তী জামিনে থাকা পাঁচ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। এরা হলেন- কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, ওই আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তাদের অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন আদালত।

মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় জানা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি এলাকায় কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।এতে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন।

কিন্তু তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলার এক নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে নথিপত্র পাঠান দুদকের প্রধান কার্যালয়ে।জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে একই আদালতে বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করেন।

ওই মামলার তদন্ত শেষে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন ২০২৪ সালের ১ জুলাই আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।তদন্তে নথি জালিয়াতির ঘটনায় সহযোগিতা করায় সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ ছাড়াও আসামি করা হয় বাদীপক্ষের

আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদকে।দুদকের কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম ও কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শাহ হাবিবুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি কক্সবাজারের বিশেষ জজ আদালতে জালিয়াতির বিষয়ে দুদকের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়। ২৩ জানুয়ারি আদালত ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তারা আদালতে হাজির হয়ে অন্তর্র্বতী জামিন পান। সম্প্রতি মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ