আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

আশাশুনিতে টানা চতুর্থবারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন এবিএম মোস্তাকিম

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

৬ষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে টানা চতুর্থবারের মত চিংড়ি মাছ মার্কা প্রতিকের প্রার্থী এবিএম মোস্তাকিম ৫১ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তিনি আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঘোড়া প্রতীকের এস এম শাহনেওয়াজ ডালিম পেয়েছে ৫০ হাজার ৭০৭ ভোট। তিনি আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাজরা ইউনিয়নের পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান। এছাড়া দোয়াত কলম প্রতিকে মোঃ গাউছুল হোসেন রাজ পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৩০ ভোট ও আনারস প্রতীকে এড. শহীদুল ইসলাম পিন্টু পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩৪ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে তালা প্রতিকে এস এম সাহেব আলী ৫০ হাজার ৬৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৬৫ ভোট, এছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসমাউল হুসাইন মাইক প্রতিকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮০৮ ভোট, প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আল ফারুক টিয়া পাখি প্রতিকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৬১৫ ভোট ও কৃষক লীগের সভাপতি এনএমবি রাশেদ সরোয়ার শেলী চশমা প্রতিকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩২৬ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) কলস প্রতিকের প্রার্থী মোসলেমা খাতুন মিলি ৩৯ হাজার ১৪৫ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে ২য় বার নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সীমা পারভীন হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮ হাজার ১২৪ ভোট, মারুফা খাতুন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতিকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৩৬ ভোট ও ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৬ ভোট।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় মোট ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ২২০ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১ লক্ষ ২০ হাজার ৫৯১ ভোট। বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৩৩ ভোট। বাতিলকৃত ভোটের ২ হাজার ৮৫৮ ভোট। ভোট পড়েছে শতকরা ৫০:৪১ ভাগ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে দশ লক্ষ গাছ রোপন করা হবে।

১৯৯১ সালের ভয়াল ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় ‘ মেরি এন’ স্মরণে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে যে ভয়াবহ তান্ডব ঘটিয়েছে তা এখনো স্বজনহারা মানুষ ভুলতে পারেনি। ওই সময়ের ঘূর্ণিঝড় ছিলো ভয়াল এক ট্রাজেডি।

মেয়র বলেন, ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেতে আমাদের টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। একই সাথে আমাদেরকে প্রচুর বৃক্ষ রোপন করে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এ লক্ষ্যে মেয়র শহরের ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ লাখ চারা রোপন করা হবে বলে জানান। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহ তান্ডবের চিত্র প্রদশনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসবকথা বলেন।

তিনি বলেন, ওই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কাজ করেছি। ঘূর্ণিঝড়ে স্বজনহারানো মানুষগুলো ঘরবাড়ির পাশাপাশি খাদ্য সংকটে ভুগছিল। আমরা উপকূল অঞ্চলের বাঁশখালী, আনোয়ারা, শহরের মধ্যে গতেঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে সেই করুণ দৃশ্য খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই আগামীতে উপকূল রক্ষায় অবশ্যই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চিত্র প্রদর্শনীতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, আলোকচিত্র প্রদর্শনী উপকমিটির আহবায়ক গোলাম মাওলা মুরাদ, আলোকচিত্রী সাংবাদিক শিশির বড়ুয়া ও রূপম চক্রবর্তী, দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল বিজনেস বাংলাদেশ ব্যুরো চীফ জাহাঙ্গীর আলম, শাহাদাত চৌধুরী, এম এ হোসাইন, সাইফি আনোয়ার আজিম প্রমুখ।


প্রদর্শনীতে ৫০টি ছবি প্রদর্শিত হয়। এসব ছবিতে ৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা ফুটে উঠে।কাকঁডার ভোজ শিরোনামে প্রদর্শিত একটি ছবির বর্ণনা দিতে গিয়ে আলোকচিত্রী শিশির বডুয়া বলেন, একটি লাশকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে লাল কাকঁডার দল পুরোপুরি নিঃশেষ করতে দেখেছি।

সেই বীভৎস চিত্র ধারণ করেছি আমার ক্যামেরায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৯১ এর ভয়াবহতার চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করেছিলাম। সেই স্মৃতিগুলো চোখে ভাসলে এখনো কষ্ট পাই। তিনি দুর্লভ এই ছবিগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান।

তরুণ দলকে জাতীয়তাবাদের আদর্শে ঢেলে সাজাতে তরুণ দলের কার্য পরিকল্পনার আলোচনা সভা ও প্রতিবাদী মিছিল।

বি,এন,পির, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান এর নির্দেশনা মোতাবেক ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং গাজা সহ ভারতে মুসলমানদের উপর নির্মম অত্যাচারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় তরুণ দল (চট্টগ্রাম মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা) নেতা কর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় তরুণ দলকে জাতীয়তাবাদের আদর্শে ঢেলে সাজাতে তরুণ দলের আগামী কার্য পরিকল্পনার আলোচনা সভা ও প্রতিবাদী মিছিল করা হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় তরুণ দল এর অফিস কার্যালয়ে সভা আয়োজিত হয় উক্ত আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় তরুণ দলের টিম প্রধান ও তরুণ দল কেন্দ্রীয় সংসদের সংগ্রামী সহ-সভাপতি -লায়ন রাসেল মির্জা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তরুণ দল কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক- আমিনুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , তরুণ দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- সোহেল সওদাগর, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক- মোঃ দিদার, সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক- সাইদুর রহমান, ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি সহ সভাপতি- আলি আজম, এডভোকেট আবু হানিফ, মোঃ ফারুক, সিএনজি অটো রিক্সা শ্রমিক দল চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি – রাকিব।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর তরুণ দল সংগঠক আব্দুল কাদের , জাহিদুল ইসলাম , হাসান, মহানগর তরুণ দল থানা আহ্বায়ক- আবদুল সালাম টিপু (ডবলমরিং ), আহ্বায়ক- ফরহাদ মাহমুদ ও সদস্য সচিব সাকিল (বায়েজিদ) , রাসেল উদ্দিন (চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা), সহ সাধারণ সম্পাদক – সানি (সদরঘাট)
পারভেজ, কাজী মোঃ নোমান, দিদার, শাকিল, হারুন, এমরান, রুবেল, সুমন, মিন্টু, ইব্রাহিম বাপ্পি, মুন্না, আরাফাত, আলামিন, মোমিন, আরিফ, সবুজ, রফিকুল, ফারুক, সোহেল
সহ চট্টগ্রাম মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা তরুণদল নেতৃবৃন্দ।

এসময় আলোচনা সভা শেষ করে নেতা কর্মীরা একটি প্রতিবাদী মিছিল করে যাহা “চট্টগ্রাম ইপিজেড থেকে শুরু হয়ে সিমেন্স হোস্টেল” সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ