আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

মদন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নেত্রকোনার মদন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে ১৮ হাজার ৬৭৭ ভোট পেয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইফতেখারুল আলম খান আজাদ বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কদ্দুছ আনারস প্রতীকে ১০ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে এম এ সোহাগ মাইক প্রতীকে ৩২ হাজার ৫৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী শেখ বদরুল ইসলাম টিয়াপাখি প্রতীকে ১৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতি আক্তার ইভা ফুটবল প্রতীকে ২১ হাজার ৪৬৬ ভোপ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী হাসনা চৌধুরী প্রজাপতি প্রতীকে ১৩ হাজার ৩১০ ভোট পেয়েছেন।

মদন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৫ জনই বীর মুক্তিযোদ্ধা। প্রার্থী ছিলেন সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান (কাপ পিরিচ), উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল কদ্দুছ (আনারস), উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন তালুকদার (মোটর সাইকেল), বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মমতাজ হুসেন চৌধুরী (হেলিকাপ্টার), উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মিজাজুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম) ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইফতেখারুল আলম খাঁন চৌধুরী আজাদ (ঘোড়া)।

এর সাথে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ আহম্মেদ পাঠান (তালা), এম এ সোহাগ (মাইক), আলহাজ¦ শেখ বদরুল ইসলাম (টিয়াপাখি) ও মোঃ নূরুজ্জামান সুজন (চশমা)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোছাঃ রিনা তালুকদার (হাঁস), ইতি আক্তার ইভা (ফুটবল), মোসাঃ তাজমহল আক্তার দোলেনা (কলসি), হাসনা চৌধুরী (প্রজাপতি)।

মদন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলায় মোট ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ৫১টি ভোট কেন্দ্র ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৭০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৭ হাজার ২৪০ জন, মহিলা ভোটার ৬৪ হাজার ৪৬৫ জন ও তৃতীয় লিঙ্গে ৭ জন ভোটার রয়েছে। ৫৭ হাজার ৭৮৬ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৫০৭ টি ভোট বাতিল হয়।

মদন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হামিদ ইকবাল জানান, মদন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইফতেখারুল আলম খান চৌধুরী আজাদ ঘোড়া প্রতীকে ১৮ হাজার ৬৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে এম এ সোহাগ মাইক প্রতীকে ৩২ হাজার ৫৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতি আক্তার ইভা ফুটবল প্রতীকে ২১ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দুপুরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন,নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়। এর আগে, গত নভেম্বর মাসে দেশি-বিদেশি ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন হাদি। ১৪ নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুনসহ তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ওসমান হাদি ইতিমধ্যে তার ভেড়িফাইড ফেইস বুকে লিখেছিলেন, গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টা বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে। যার সামারি হলো- আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে।

আজ শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন-নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ