আজঃ বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

সাতক্ষীরায় জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট

ইব্রাহীম হোসেন সাতক্ষীরাঃ

জেলার গরু ও ছাগলের হাটগুলো জমে উঠেছে। এবার ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ থাকায় খুশি খামারি ও ব্যবসায়ীরা। সীমান্ত এলাকা দিয়ে যেন কোনভাবেই ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবির পক্ষ থেকেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া খামারিরা এবার গরু মোটাতাজাকরণে ওষুধ প্রয়োগ থেকেও বিরত রয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, জেলায় খামারি রয়েছে ১২ হাজার ৮৮৯ জন। এসব খামারিদের কাছে এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৭০৮টি। তবে জেলার চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৫৭৭টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৪৫ হাজার ২৬৫টি, মহিষ ৭৩৭টি, ছাগল ৭৬ হাজার ৫৯২টি ও ভেড়া রয়েছে ৬ হাজার ৩১১টি। সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে।

খামারি মজনুর রহমান মালি বলেন, আমি ১৯৯৬ সাল থেকে গরু পালছি। এ বছর ৫০ থেকে ৬০টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা আছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর খাবারের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেক্ষেত্রে গরুর দাম বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক। গত বছরের তুলনায় একটু দাম বেশি না হলে খামারিরা বাঁচবে না। কমবেশি পশুর হাটে কেনাকাটা শুরু হয়েছে। শহরে যারা আছে বেশিরভাগ মুখোমুখি এসে কেনাকাটা করে। আমরাও এখন থেকে বিক্রি শুরু করেছি। তবে অনেকের জায়গা না থাকায় কিনে খামারে রেখে দেয় আমরাও তাদের এ সুযোগ দেয়।

সাতক্ষীরা সদরের তালতলা এলাকার গরু খামারি মো. আব্দুল কাদের জানান, আমি ৩০ বছর ধরে গরু পালন করি, কোরবানির উপলক্ষে ৬০ টা ষাঁড় গরু দেশি কোরবানী উপলক্ষে পুষেছি। এগুলো কোরবানির বাজারে উঠাবো এবং বাড়ি থেকে বিক্রি করব। আমার খামারে ৭০ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সব সাইজের দেশি গরু আছে।

খামারে গরু কিনতে এসেছে মাগুরা গ্রামের কামরুজ্জামানের তিনি বলেন, কাদের ভাইয়ের খামার থেকে ১ লক্ষ ১ হাজার টাকা দিয়ে একটি দেশি গরু কিনেছি। আমার বাড়িতে জায়গা না থাকাই কোরবানির আগের দিন বিকালে খামার থেকে গরু বাড়ি নিয়ে যাব।

এমনই এক গরু পালনকারী তালা উপজেরার শিবপুর গ্রামের রুবেল মোল্লা। তিনি বলেন, আমার একটি গরু আছে। এখনও বিক্রি করিনি। আশা করছি, দুই লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি হবে। গরুটিকে কোনো ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। ওষুধের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করলে ক্রেতারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, দামও কম হয়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা আবাদের হাটের ইজারাদার হাবিবুর রহমান হবি বলেন, সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার আবাদের হাট বসে। আজ হাটের দিন ছিল, মোটামুটি কোরবানির পশু আসা শুরু হয়েছে। তবে আগামী মঙ্গলবার হাট আরও বড় হবে। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। ঈদের ১০ থেকে ১৫ আগে হাট জমে উঠবে।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম মাহবুবুর রহমান জানান, সাতক্ষীরাতে বিগত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ২৯ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। দানাদার জাতীয় খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হাওয়ায় সাতক্ষীরার খামারিরা ঘাসের উপর নির্ভরশীল হয়েছে। ঘাস পাঁচ থেকে সাত টাকা কেজি এবং দানাদার জাতীয় ৫৫ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত। ঘাসের উপর মোটামুটি ৭০ শতাংশ কৃষক নির্ভরশীল হয়ে গেছে। ফলে গতবারে যেমন বাজার স্বাভাবিক ছিল, অনুরূপভাবে এবারও স্বাভাবিক থাকবে।
আমার নিউজ দিয়েছিলাম কিন্তু পাবলিশ হয়েছে না

ibrahim
Show quoted text

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন।

সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরে এরা। চলে যায় একেবারে গ্রামের ভিতর। পুরাতন কাগজ, বই, কার্টুন, পুরাতন টিন, নষ্ট বোতল, নষ্ট প্লাস্টিকের কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাল সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে আসে তাদের মহাজনের কাছে। মহাজন সেগুলো একটা দাম ধরে কিনে নেয়।

কথা হলো শহিদুল নামের একজনের সাথে। মোটামুটি যা হয় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার । তারপর মহাজন সেগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কাগজ আলাদা, টিন আলাদা, লোহা আলাদা। মহাজনের রয়েছে ৩ জন লোক। তাদের কাজ এগুলো বাছাই করা বস্তায় ভর্তি করে ওজন দেয়া। তারপর সেগুলো যাবে রাজশাহী বিসিক এলাকায়, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো কিনে নিয়ে। তারা আবার এগুলো নিয়ে, মেশিনের সাহায্যে কুচি, কুচি করে ঢাকাতে পা ঠায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। ঢাকা যাবে আবার এগুলো বিভিন্ন জায়গায়। এসব দিয়ে আবার নতুন করে জিনিস তৈরি করা হবে। এই ভাবে চলে কিছু মানুষের জীবন জিবিকা।এই পুরাতন জিনিস গুলো আবার নতুন রুপে বাজারে আসবে, এই রিসাইকেল হয়ে ।

বরেন্দ্র অঞ্চলে ছাগল পালন করে সাবলম্বী।

বরেন্দ্র অঞ্চলের ছাগলপালন করে অনেকে সাবলম্বী হয়েছে ন। রাজশাহীর গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে, বিশেষ করে প্রান্তিক পরিবারগুলোতে ছাগল পালন উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এ অঞ্চলের বহু মানুষ বিভিন্ন জাতের ছাগল মোটাতাজা করে তাদের জীবিকা উন্নত করেছে।

বরেন্দ্র অঞ্চল ও জেলা জুড়ে ছাগল পালন অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গরু ও ভেড়া মোটাতাজাকরণের পাশাপাশি অনেক সুবিধাবঞ্চিত পরিবার আয়ের টেকসই উৎস হিসেবে ছাগল পালনের দিকে ঝুঁকছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুসারে, জেলায় ছাগল মোটাতাজাকরণ খামারের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং এ বছর মোট ছাগলের সংখ্যা ৫.২৬ লক্ষে পৌঁছেছে- যা গত বছরের তুলনায় এক লাখ বেশি।

বিভিন্ন জাতের ছাগল পালন- বিশেষ করে ব্ল্যাক বেঙ্গল কেবল গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যেই অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতাই নয়, প্রোটিনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণেও অবদান রাখছে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুচিকিৎসা ও প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জালাল সরদার বলেন, অনেক তৃণমূল পরিবার ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল, বিশেষ করে ব্ল্যাক বেঙ্গল পালন করছে। তারা তাদের উদ্যোগে বেশ সফল এবং প্রতি বছর বিপুল মুনাফা অর্জন করছে।

ব্ল্যাক বেঙ্গল শীর্ষ পাঁচটি মাংস উৎপাদনকারী জাতের মধ্যে একটি। এর উচ্চ প্রজনন হার, সুস্বাদু মাংস ও চামড়া আন্তর্জাতিক মানের। তিনি আরও বলেন, এটি দারিদ্র্য বিমোচনের একটি কার্যকর হাতিয়ার।

গ্রামবাসীরা এখন খড়, গুড়, তেলের খোসা, ছোলা, সবুজ ঘাস ও গমের ভুসির মতো প্রাকৃতিক খাদ্য ব্যবহার করে ছাগল মোটাতাজা করছে। তারা এখন আর ক্ষতিকারক স্টেরয়েড ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করে না। তিনি এই সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রটি সম্প্রসারণে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যাপক প্রচার, উন্নত প্রজনন পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও আরও প্রদর্শনী খামার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ছাগল পালনের ওপর দক্ষ জনবল ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

সরকারি চাকরি না পেয়ে, বাগমারা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের স্নাতক পাশ দম্পতি সোহেল রানা ও তার স্ত্রী রিমা খাতুন প্রায় সাত বছর আগে তাদের বাড়িতে ছাগল পালন শুরু করেন।তারা এখন তাদের বাড়ির পাশে একটি ছাগল মোটাতাজাকরণ খামার পরিচালনা করছেন।

সোহেল বাসসকে বলেন, ‘এই বছর আমরা প্রায় ২ লাখ টাকায় ৪০টি ছাগল কিনেছি। আমরা ইতোমধ্যেই ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় আটটি ছাগল বিক্রি করেছি ও বাকি ছাগল থেকে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।’এভাবেই চলছে সফলতার গল্প। অনেকে ছাগল পালন করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ