
চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক এলাকা এবং প্রশাসনিক অঞ্চল খ্যাত লালদিঘীর পাড়, লালদিঘী পার্কে অবস্থিত জামে মসজিদের মেইন গেইটের সামনে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রকাশ্য নারী বানিজ্য।
প্রশাসনের নাকের ডগায় একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পাশে চলতে থাকা এসব অপকর্ম যেন দেখার কেউ নেই।
জানা গেছে লালদিঘীর পশ্চিম পাশে অবস্থিত হোটেল লালদিঘি (আবাঃ) পরিচালনায় রয়েছেন ৩ জনের একটি সিন্ডিকেট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার শাহাজাদা পুরের বকুল খাদেম পিতা রহমত আলী খাদেম, মুন্না মিয়া পিতা বাচ্চুমিয়া ও কক্সবাজার উখিয়ার মাহফুজ, তাদের নেতৃত্বে হোটেল লালদিঘীতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে প্রকাশ্য দেহ ব্যাবসা।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যাবসায়ী মহল প্রতিদিন মসজিদে নামাজ আদায় শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা লজ্জায় মাথা নিচু করে বাহির হতে দেখা যায়।

এসব হোটেলে প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে দিগুন বেড়ে যায় নারীর সংখ্যা, দিন-রাত চলে পতিতা ব্যাবসা, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় এক ব্যাবসায়ী বলেন দিনরাত ভাসমান পতিতাও মাদকাসক্তের আড্ডাস্হল এই লালদিঘী হোটেল, ভাই এসব কারনে দোখানে কোন ভাল গ্রাহকও আসেনা, আপনাদের মাধ্যমে বিষয়গুলো আমরা প্রশাসনের দৃষ্টিতে আনতে চায়।

তাদের দাবি যদিও বহুবার কোতোয়ালি থানা ও ডিবি অভিযান চালিয়ে একেক বারে ১৫-২০ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, ইতিপূর্বে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন ১৮ আবাসিক হোটেলের লাইসেন্স বাতিলের আবেদন করেছে কোতোয়ালি থানা।
কিন্তু অদৃশ্য কারনে তারা বারবার ছাড়া পেয়ে যায়, ছাড়া পেয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবারও একই কাজে জড়িয়ে পড়ে। এসব অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও বিভিন্ন ব্যাবসায়ীরা।