আজঃ রবিবার ১৩ জুলাই, ২০২৫

চিটাগাং চেম্বারের সাথে চট্টগ্রাম এওটিএস এলুমনি সোসাইটির মতবিনিময়

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালকমন্ডলীর সাথে চট্টগ্রাম এওটিএস এলুমনি সোসাইটির প্রতিনিধিদল গতকাল শনিবার সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, পরিচালকবৃন্দ মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, চট্টগ্রাম এওটিএস এলুমনি সোসাইটি’র সভাপতি লতিফ আনোয়ার চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি এ.আর.এম. শামীম উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ট্রেজারার মোহাম্মদ রহিম উল্যাহ, পাবলিসিটি সেক্রেটারী এ.এ.মোঃ আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী, আরএন্ডডি ও পাবলিকেশন সেক্রেটারী এ. টি. কায়সার আহমেদ চৌধুরী ও চেম্বার সেক্রেটারী ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুক বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মধ্যে সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহ মোঃ কেরামাতুল আজিম, নির্বাহী সদস্যবৃন্দ সৈয়দ নুরুল বাশার, মোহাম্মদ সাইফ উল্যাহ মনসুর, মোঃ কামরুল হাসান ও জাফর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন-জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপান সরকার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। দেশের মেগা প্রকল্প বিশেষ করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর-সহ উল্লেখযোগ্য প্রকল্পে জাপানীরা কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও এসোসিয়েশন ফর ওভারসীস টেকনিক্যাল কো-অপারেশন এন্ড সাস্টেনাবল পার্টনারীশীপস (এওটিএস)’র মাধ্যমে জাপান সরকার দেশের উৎপাদনশীল ও সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন-প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন। এসব উন্নয়নের সুফল পেতে বিদেশী বিনিয়োগ যেমন দরকার তেমনি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলাও প্রয়োজন। কারণ দেশে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে না উঠলে বিদেশীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না। তাই চট্টগ্রামের এওটিস এলুমনি সোসাইটির সাথে চিটাগাং চেম্বার যৌথভাবে দক্ষতা উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করতে পারে।

চট্টগ্রাম এওটিএস এলুমনি সোসাইটি’র সভাপতি লতিফ আনোয়ার চৌধুরী বলেন-এওটিএস এলমুনি সোসাইটি চট্টগ্রামে দক্ষ মানবসম্পদ, ম্যানুফ্যাকচারিং ও সার্ভিস সেক্টরে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রশিক্ষণমূলক সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করে থাকে। তিনি বলেন-জাপানীরা মনে করে একটি কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি প্রশিক্ষিত হয় তাহলে প্রতিষ্ঠান গতিশীল হবে। তাই জাপানীরা এওটিএস এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত হস্তান্তরের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তিনি চেম্বারের সাথে অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে আগামীতে চট্টগ্রামে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজনে সহযোগিতা কামনা করেন।

অন্যান্য বক্তারা বলেন-যেকোন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় অনেক দুর্বলতা থাকে। আবার শিল্পকারখানাগুলোর অনেক সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। তাই দেশের শিল্পের চাহিদানুযায়ী দক্ষ মানবসম্পদ ও প্রযুক্তিগতভাবে প্রশিক্ষিত করতে গবেষণা প্রয়োজন। এজন্য শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী এনজিএস প্রোগ্রাম, কাইজেন, ফাইভ এস, জাপানের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক নির্ণয় এবং জাপানী ভাষা শিক্ষা কোর্স চাহিদানুযায়ী চেম্বার এবং এওটিএস চট্টগ্রাম সোসাইটি যৌথভাবে আয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ, পাইকারি-খুচরায় দামের তফাত

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পেঁয়াজ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল নগরবাসী। এখন পেঁয়াজের বাজারের চিত্র পাল্টাতে শুরু করে। পাইকারীতে এক দাম, খুচরায় আরেক দাম। বিশেষ করে এক কেজি পেঁয়াজেই কিনা খুচরা ব্যবসায়ীরা লাভ করছেন ২০ টাকার বেশি। কদিন ধরেই চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারখ্যাত খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি মানভেদে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু সেই পেঁয়াজ কিনা খুচরা বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০টাকায়। দামের এমন তফাতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তাঁরা খুচরা বাজারগুলোতে প্রশাসনের তদারকির অনুরোধ জানিয়েছেন।

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়তগুলোতে পেঁয়াজের সরবরাহ বেশ ভালো ছিল। দামে কোনো হেরফের হয়নি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছিল পণ্যটি। খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়ার বাজারের মেসার্স কাজী স্টোরের স্বত্বাাধিকারী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমলেও দাম বাড়েনি। আগের দামেই মানভেদে পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি আগামী কদিন এই দাম অব্যাহত থাকবে। তবে গত সোমবার থেকেই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। পুরো সপ্তাহজুড়ে তাই খাতুনগঞ্জে ৪০-৪৫টাকাতেই বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। কিন্তু সেই দাম কমার সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা।

জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা পেঁয়াজের খুচরা বাজারে শিগগির তদারকি কার্যক্রম চালাবো।
বহদ্দারহাট ও কর্ণফুলী মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। তবে পাইকারির চেয়ে এত বেশি দামে বিক্রি করার তেমন কোনো কারণ দেখাতে পারেননি খুচরা বিক্রেতারা। বহদ্দারহাটের রাঙ্গুনিয়া স্টোরের দোকানি মোহাম্মদ সাহেদের কাছে দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে বলেন, বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

একই কথা বলেন কর্ণফুলী মার্কেটের আরেক খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা সাইদুল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, আগের সপ্তাহে কেনা পেঁয়াজই বিক্রি করছেন। যেহেতু ৫০-৫৫ টাকায় কিনতে হয়েছে সেজন্য মানভেদে ৬০-৭০টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

তবে ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁরা বলছেন পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। এটি বেশিদিন সংরক্ষণ করে রেখে বিক্রির পণ্য না। পাইকারি বাজারের প্রভাব দিনে দিনে না হলেও এক দুদিনের মধ্যে খুচরা বাজারে পড়ার কথা। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পুরনো দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।

বহদ্দারহাটে পেঁয়াজ কিনতে এসে তাই ক্ষোভ ঝাড়লেন গৃহিনী হালিমা বেগম। তিনি বলেন, পত্রিকা-টিভিতে পেঁয়াজের দাম কমার খবর পড়ছি-শুনছি কদিন ধরে। কিন্তু বাজারে এসে দেখছি উল্টো চিত্র। আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে প্রশাসনের তদারকি না থাকার সুযোগে ব্যবসায়ীরা জোট বেঁধে আমাদের ঠকাচ্ছে।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরাও মনে করেন পাইকারি বাজারের পাশাপাশি খুচরা বাজারেও নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, আমরাও শুনতে পাচ্ছি পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারগুলোতে সেটির প্রভাব এখনো পড়েনি। আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এটা অনেক সময়েই হয়ে থাকে। প্রশাসন খুচরা বাজারে তদারকি বাড়ালে আশা করি দাম কমবে।

চট্টগ্রামে টানা তিনদিন বৃষ্টিতে চাল-সবজির বাজারে অস্বস্তি।

দফায় দফায় টানা বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাঁচাবাজারে। খুচরা পর্যায়ে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। তবে সবজির দাম বাড়লেও ডিম-মুরগির দাম কমেছে। কিন্তু বেড়েছে মাছের দাম।এদিকে নগরীতে পাইকারি চালের দাম বস্তা প্রতি বেড়েছে ২০০ টাকা। শুক্রবার সকাল থেকে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও আসকার দিঘীর পাড়ের কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

পাইকারি বাজারে খবর নিয়ে জানা গেছে, কোয়ালিটি চালের দামই বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে মিনিকেট ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, জিরাশাইল ৬৭ থেকে ৬৯ টাকা আর পাইজাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগের চেয়ে কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা বেশি। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে।

চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঈদুল আজহায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বেড়েছে চালের দাম। পাইকারিতে বস্তা প্রতি বেড়েছে প্রায় ২০০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে তা আরও বেশি হতে পারে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মোটা চালের দাম।
বেড়েছে সবজির দামও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ এখনো পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় এবং ঈদুল আজহার বন্ধের কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেশি।

বাজারে খুচরা পর্যায়ে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ৫০ টাকা কিংবা তারও বেশি। কেজিপ্রতি লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৫০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শসা, করলা, কাঁকরোল, ঝিঙা, মিষ্টি কুমড়ার দাম কেজিতে অন্তঃত ১০ টাকা বেড়েছে। টমেটোর দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা। তবে কাঁচামরিচের দাম কম আছে। খুচরা বাজারে ২০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে।
আসকার দিঘীর পাড় কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আলী বলেন, বৃষ্টির কারণে আড়তে সবজি কম আসছে। এজন্য দাম কিছুটা বেড়েছে। বৃষ্টি কমলে আবার দাম কমে যাবে। চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় কোরবানির ঈদের আগ থেকে তিন দফায় টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার পর্যন্ত তিনদিন ধরে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি অব্যাহত আছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কম আছে। প্রতিকেজি ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে ১৬০-১৭০ টাকা দাম ছিল। এছাড়া কক মুরগি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, আর সাদা ডিম ১০৫ থেকে ১১০ দরে বিক্রি হয়েছে। ডিমের দাম ডজনপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে।
বাজারে খাসির মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। তবে বৈরি আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলারগুলো মাছ ধরার জন্য যেতে পারছে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ অবস্থায় প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানান।

বাজারে আকার, ওজন ও মান অনুযায়ী ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। রুই ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বেলে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কালিবাউশ ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চিংড়ি ৯০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, চিতল ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে মুদি পণ্যের দামে তেমন হেরফের নেই। কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুন্সীগঞ্জের আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, বগুড়ার লাল আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, চায়না রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া প্রতি কেজি ছোট মসুর ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, মাষকলাই ডাল ১৮০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, কাজু বাদাম ১ হাজার ৭০০ টাকা, পেস্তা বাদাম ২ হাজার ৭০০ টাকা, কাঠ বাদাম ১ হাজার ২২০ টাকা, কিশমিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৫২০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ১ হাজার ৩০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ৬০০ টাকা, জিরা ৬০০ টাকা, প্যাকেট পোলাও চাল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, খোলা পোলাও চাল মান ভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

আর প্রতি কেজি প্যাকেটজাত সাদা চিনি ১২৫ টাকা, খোলা সাদা চিনি ১২০ টাকা, খোলা লালচিনি ১৪০ টাকা, প্যাকেট লালচিনি ১৭০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ৯০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৫০ টাকায় দরে বিক্রি হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ