আজঃ সোমবার ১২ মে, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ের ঝড়ের কবলে নিহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা

রেজাউল ইসলাম মাসুদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ঝড়ের কবলে পরে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। একই সাথে ওই দিন
স্টক করে এক নারী ও পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হওয়া পরিবারকেউ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন।

আজ রোববার (০২) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে ঝড়ে মারা যাওয়া পরিবারসহ পৃথক পৃথকভাবে আরো দুইজন মৃত্যুবরণ করায় প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার করে ৭৫ হাজার টাকা ও ২০ কেজি চাল সহায়তা প্রদান করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুবুর রহমান। এসময় নিহত পরিবারের স্বজনদের সমবেদনা জানান জেলা প্রশাসক।

এ সময় জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান জানান, ঝড়ের কবলে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে যা অনাকাংঙ্খিত। অপরদিকে একই দিনে ঝড়ের সময় আতঙ্কে আরো এক নারী ও ঝড় পরবর্তি সময়ে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। এটি একটি দূর্ঘটনা। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ উপজেলায় যেসব বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার তালিকা তৈরি করছে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তিতে তাদেরকেউ সহায়তা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসক।

সহায়তা প্রদানের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তা সাইদুর রহমানসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ছাড়াও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার ভোররাতে ক্ষনস্থায়ী ঝড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় কয়েকটি গ্রামের ঘড়বাড়ি লন্ডভন্ড হয়। উড়ে যায় ঘড়ের চালা, দোকানপাট ও গাছপালা। ঝড়ের কবলে টিনের চালার নিচে পরে এক নারী মৃত্যু হয়।
এছাড়া ওই দিন আতঙ্কে আরো এক নারী ও এক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

যে নারীর পায়ের নিচে জান্নাত—তাঁকে শুধু একটি দিনে বন্দী করে রাখো না

বিশ্বময় আজ মাতৃভক্তির আনুষ্ঠানিকতা। ফুলের তোড়া, পোস্টের বহর, নকল আবেগের প্রদর্শনী। অথচ যাঁর স্তব্ধ ভালোবাসায় গড়ে ওঠে মানবতা, যাঁর নিঃশব্দ কান্নায় হয় সভ্যতার সূচনা, সেই মাকে মনে রাখা হয় শুধুই একটি দিনে? এত সংকীর্ণ আমাদের ভালোবাসা?

ইসলাম এমন একটি আদর্শ যে নারীর মর্যাদা ঘোষণা করে তখন, যখন সমাজ তাকে জীবন্ত কবর দিত। মরুপ্রান্তরের রুক্ষ বাতাসে যখন কন্যাসন্তান জন্ম এক অভিশাপ, তখন ইসলামের কণ্ঠে উঠে আসে মুক্তির জয়ধ্বনি—“মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত।”

এ শুধু একটি ধর্মীয় বাণী নয়, এ এক বৈপ্লবিক প্রতিজ্ঞা। পৃথিবীর কোনও সংবিধান, কোনও সভ্যতা, কোনও নারীবাদী ভাষ্য—মায়ের এমন আত্মমর্যাদা ঘোষণা করতে পারেনি, যতটা করে ইসলাম।

রাসূল সা.—যিনি নারীকে ‘রহমত’ বলে সম্বোধন করেন—তাঁর মুখে এক অমর বাণী:
“তোমার সবচেয়ে বেশি হকদার কে?”
“তোমার মা।”
“এরপর কে?”
“তোমার মা।”
“এরপর?”
“তোমার মা।”
তারপর তবে আসে পিতা।

এ এক ত্রিস্তরের সম্মান। ইসলাম নারীর সম্মান শুধু মুখের বুলি নয়—এ এক বিধাতার দেয়া মর্যাদা, আসমানি ঘোষণা।

মা—একজন নারী যিনি নিজেকে প্রতিদিন ভেঙে নতুন করে গড়েন সন্তানের জন্য, রাতের নিদ্রা বিসর্জন দিয়ে হাসি খুঁজে দেন মুখে, নিজে ক্ষুধার্ত থেকে তুলে দেন শেষ লোকমাটি।
ইসলাম বলেনি, ‘তাঁকে বছরে একদিন স্মরণ করো’। বরং বলেছেন, ‘তাঁর চরণতলে খুঁজে নাও জান্নাতের ঠিকানা।’

আধুনিক বিশ্ব যেখানে নারীকে স্বাধীনতার নামে ভোগ্যবস্তু বানিয়ে ছেড়েছে, সেখানে ইসলাম তাঁকে দিয়েছে পূর্ণ মর্যাদার স্বীকৃতি—একজন মা, একজন আদর্শ নির্মাতা, একজন প্রজন্মশিল্পী।

আজকের এই মা দিবসে আমাদের প্রয়োজন—ফুল নয়, ফেসবুক নয়—প্রয়োজন সত্যের কাছে ফেরা। ফেরার সেই নীতিতে, যেখানে নারী মানেই নিঃস্বার্থ, মা মানেই মহিমা।

আসুন, আমরা একটিবার ভাবি—একজন মায়ের যে পায়ের নিচে জান্নাত, তাঁকে কেবল একটি দিনে সীমাবদ্ধ করেতে কি আমাদের আত্মা কাঁপে না? আমরা কি সত্যিই ভালোবাসি, নাকি ভালোবাসার অভিনয় করি?

মাকে ভালোবাসা মানে ধর্মকে ভালোবাসা, জান্নাতকে ভালোবাসা। মায়ের সম্মান শুধু আবেগ নয়, এটি ঈমানের প্রমাণ।

বিদেশ থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না: খাদ্য উপদেষ্টা।

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে প্রচুর পরিমাণ বোরো ধান উৎপাদন হওয়ায় বিদেশ থেকে চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না। উপদেষ্টা শনিবার কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি জেলার খাদ্য মজুদ ও বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় এইসব কথা বলেন।খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ি কৃষকরা এখন ধান চাষের পাশাপাশি জুম চাষে ভুট্টা,সবজি,হাঁস, মুরগি পালন,মাছচাষসহ বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। বহুমাত্রিক কাজেই তাদের জীবনমান আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। কৃষক হলো দেশ উন্নয়নের প্রথম সারির সৈনিক। তারা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা যে ফসল ফলায়, তা দিয়ে আমাদের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের জোগান হয়। সার ও বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, ফসল সংরক্ষণ ও এগুলোর ন্যায় সংগত মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।
গত বন্যায় আমন ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার খাদ্যশস্য আমদানি করেছে। এই মৌসুমে বোরো ধানের ব্যপক চাষাবাদ হয়েছে।সরকার আশা করছে দেশে এইবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত হবে।

মতবিনিময় সভায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুগতি চাকমা,কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন, কাপ্তাই উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বখতিয়ার মিয়া,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্ণফুলী,জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও অনুসন্ধান বিভাগের সহকারী পরিচালক সাখওয়াত কবির এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ