আজঃ বুধবার ২৫ জুন, ২০২৫

বেগমগঞ্জে ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

রিপন মজুমদার নোয়াখালী:

নোয়াখালী:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১।

শনিবার (১ জুন) রাতে উপজেলার মিরওয়ারিশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আবুল কাশেম বাবুল (২৭) উপজেলার আমানউল্যাপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের আরিফুর রহমানের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, আসামি বাবুল একজন অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবত সে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা এলাকায় অস্ত্র এবং মাদক ব্যবসা করে আসছিল। ২০১৯ সালের ৩০ মে তাকে আমানউল্যাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ ১টি দেশীয় তৈরি পাইপগান, ২টি কার্তুজ ও ৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বেগমগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র ও একটি মাদক মামলা রুজু হয়। ওই অস্ত্র মামলায় আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি বাবুলকে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে সে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাজাপাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) বেলা ১১ টার সময় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আঞ্জুমান সুলতানা, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিউর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন দাশ,  সহ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় এলাকার বিভিন্ন সমস্যা, যেমন – মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ,

চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, বাল্য বিয়ে বন্ধে পদক্ষেপ এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও, সভার আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে রাস্তাঘাটের নিরাপত্তা, যানজট নিরসন, এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টিও ছিল। 

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয় এবং অপরাধ দমনে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে, বাল্য বিয়ে, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান প্রতিরোধে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরো তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য ২১৪৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

আগামী অর্থ বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য ২১৪৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন মেয়র শাহাদাত হোসেন, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১২৫ কোটি টাকা, এডিপি ও উন্নয়ন রাজস্ব তহবিল খাতে ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছেন। আর উন্নয়ন অনুদান খাতে সবচেয়ে বেশি ১০৪৪ কোটি টাকা আয় হবে বলে মেয়র আশা করছেন।সোমবার দুপুরে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাজেট অধিবেশনে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র। একই অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ১২২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেটও পেশ করা হয়।

মেয়র বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অবৈধ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসরদের পতনের পর মাননীয় আদালত কর্তৃক সুবিচারপ্রাপ্ত হয়ে মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করছি। তাই নগরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যাশা এবং মহানগরীকে ক্লিন-গ্রিন, হেলদি ও সেইফ সিটি, আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ও অর্থনৈতিকভাবে বাসযোগ্য নান্দনিক পর্যটন নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

শাহাদাত হোসেন বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নগরবাসীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়ক আলোকায়ন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, রাস্তাঘাট নালা-নর্দমা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতাদি নির্বাহ করতেই করপোরেশনের আয়ের সিংহভাগ ব্যয় হয়।আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করতে চাই, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চট্টগ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় নগরবাসীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য আমার নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। দায়িত্ব গ্রহণের সময় মোট ৫৯৬ কোটি টাকা দেনা থাকার কথা তুলে ধরে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “বিগত ৮ মাসে ধারাবাহিকভাবে পরিশোধের পর আজকে সিসিসির দেনার পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা।

করের আওতা বাড়ানোর নির্দেশনা অনুসারে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগ কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় সকল খাতেই গত বছরগুলোর তুলনায় অধিক কর আদায় হয়েছে। সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হতে ১৪০ কোটি টাকা পৌরকর আদায় সম্ভব হয়েছে।

চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে রূপান্তর করতে নিয়মিত কর পরিশোধ করুন। জনগণকে করের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিতে চাই না, বরং করদাতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই। হোল্ডিং ট্যাক্স যদি ঠিকমত পাই তাহলে এ শহরকে বাসযোগ্য, স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ করতে পারব।

বাজেট অধিবেশনে ২০২৫-২৬ সালের ২১৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০৪৪ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে উন্নয়ন অনুদান খাতে। যার মধ্যে ‘বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পে সর্বোচ্চ ৬০০ কোটি টাকা উন্নয়ন অনুদানই সবচেয়ে বড় আয়ের খাত।প্রস্তাবিত বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় ধরা হয়েছে হাল কর ও অভিকর খাতে ৩২১ কোটি টাকা।এরপর বকেয়া কর ও অভিকর খাতে ১৯৯ কোটি টাকা, অন্যান্য কর থেকে ১৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন প্রকার ফিস থেকে ১৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।

২০২৫-২৬ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে সবচেয়ে বেশি খরচ ধরা হয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন এডিপি ও উন্নয়ন রাজস্ব তহবিল খাতে মোট ১১২৫ কোটি টাকা।এছাড়া বেতন ভাতা ও পারিশ্রমিক খাতে আগামী অর্থ বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিদায়ী অর্থবছরে এই সিটির প্রস্তাবিত বাজেট ছিল

১৯৮১ কোটি ৫২ লাখ টাকার। সংশোধনে তা ১২২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।বিদায়ী অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন অনুদান খাতে সর্বোচ্চ ৯০৯ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে দেখা যায়, উন্নয়ন অনুদান খাতে বরাদ্দ মিলেছে মোট ৫৯৪ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ‘বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পে ৩৯৫ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ মিলেছে।আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে হাল কর ও অভিকর খাতে। গত অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩২ কোটি টাকা।

তবে গত অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ২৩৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বকেয়া কর ও অভিকর আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও আদায় হয়েছে মাত্র ৬২ কোটি টাকা। আর অন্যান্য কর খাতে ২০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১১৮ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে উন্নয়ন এডিপি ও রাজস্ব তহবিল খাতে, মোট ৫৮৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বেতনভাতা ও পারিশ্রমিক খাতে। আর বকেয়া পরিশোধে খরচ হয়েছে ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ